:sl:
কখনো ভেবে দেখেছেন কি ?
দুনিয়ার সাতটি আশ্চর্য বিষয় : ১. খ্রিস্টান নান ( ধর্মযাজিকারা ) মাথা থেকে পা পর্যন্ত গা ঢেকে কাপড় পরে । তাদেরকে সবাই সম্মান করে কেননা , তারা স্রষ্টার পথে নিজেদেরকে উৎসর্গ করেছেন । অথচ মুসলিম নারীরা পর্দা করলে কেন তবে বলা হয় তারা নির্যাতিতা ?
[ কলেজে বা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক আধুনিকা তরুণী তার ইচ্ছামত ফ্যাশন করে যেতে পারে ,
অথচ মাথায় সামান্য স্কার্ফ পরে মুসলিম ছাত্রীরা স্কুলে যেতে পারে না ।
১৫ বছরের ফরাসী স্কুলছাত্রী Cenmet Doganny স্কুলে হিজাব নিষিদ্ধ করার প্রতিবাদে প্রকাশ্যে মাথার চুল কামিয়ে ফেলেন যাতে তার চুল কেউ দেখতে না পারে । এই কিশোরী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন , আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল কিন্ত্ত আইন আমার ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাচ্ছে না । ]
২. ইয়াহুদীরা দাড়ি রাখে ও এ নিয়ে বলা হয় তারা কেবল তাদের ধর্মবিশ্বাস পালন করছে । অথচ মুসলমান পুরুষেরা দাড়ি রাখলে সে কেন হয়ে যায় চরমপন্থী ?
৩. পশ্চিমা কোন নারী যখন সন্তান - সংসারের জন্য চাকরী না করে ঘরে থাকে , তখন তার প্রশংসা করে বলা হয় সে আত্মত্যাগ করছে অথচ মুসলিম নারীরা সন্তানের জন্য একই ত্যাগ স্বীকার করলে কেন বলা হয় এই নারীদের স্বাধীন হতে হবে ? ৪. যখন কোন শিশু বিশেষ কোন বিষয়ে পড়াশোনা করে , তখন বলা হয় তার মধ্যে অনেক সম্ভাবনা আছে ; অথচ ইসলাম নিয়ে কোন শিশু পড়লে কেন বলা হয় সে অপদার্থ ?
৫. যখন কোন অমুসলিম কাউকে খুন করে , তখন গণমাধ্যমে তার ধর্মের উল্লেখ করা হয় না ( যেমন সন্ত্রাসী দল IRA বা টিমোথী মেক ভেইগ যখন সন্ত্রাস করে , তখন কোন ধর্মের দোষ হয় না ) ; অথচ কোন মুসলমান যদি অভিযুক্ত হয় , তাহলে ইসলামকে কেন দায়ী করা হয় ?
টিমোথী মেক ভেইগ [ এই মার্কিন তরুণ ১৯ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে আমেরিকার ওকলাহোমা নগরে বোমা ফাটিয়ে শিশুসহ শতাধিক নিরপরাধ মানুষকে খুন করেছিল। মিডিয়াতে প্রথমে কোন প্রমাণ ছাড়াই প্রচার করা হয় যে এটি কোন মুসলমানের কাজ । ফলে আমেরিকাতে অনেক জায়গাতেই মুসলমানদের উপর হামলা হয়।
পরে যখন জানা গেলে প্রকৃত অপরাধী একজন অমুসলিম , তখন কোন গণমাধ্যম তাকে খ্রিস্টান সন্ত্রাসী বলে নি ] ।
৬ . পরকীয়া প্রেম , পতিতাবৃত্তি এমন কী সমকামিতাকে বলা হয় ব্যক্তির স্বাধীনতা । অথচ মুসলমান পুরুষ শর্তসাপেক্ষে সর্বোচ্চ চারটি বিয়ে করতে পারবে বললে কেন বলা হয় বহুবিবাহ জঘন্য ? ৭. এত অপপ্রচারের পরেও কেন এত সব ধর্মের মধ্যে ইসলামই সারা দুনিয়ায় সবচেয়ে বেশী ছড়িয়ে পড়ছে ? এই নিয়ে চমৎকার একটি ফ্ল্যাশ ভিডিও দেখুন ; সাদ আল গামিদির ' গুরাবা ' । english.islamway.com
কেন আমরা ইসলাম কবুল করলাম ? টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাস ও মার্কিনীদের ইসলাম গ্রহণ :
১১ই সেপ্টেম্বর ২০০১ এর পরে অনেকেই ভেবেছিল মার্কিন মুল্লুক থেকে ইসলাম চিরতরে বিদায় নেবে। কিন্ত্ত কী আশ্চর্য । আমেরিকানরা বরং আরো বেশী করে ইসলাম নিয়ে পড়াশোনা করছে । শুধু তাই নয় , এই সন্ত্রাসী ঘটনায় তেমন কোন জোরালো প্রমাণ ছাড়াই মুসলমানদের দায়ী করা হলেও দেখা যাচ্ছে , মানুষ ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে ।
৯ /১১ এর পরে হাজারো আমেরিকান ইসলাম গ্রহণ করেছেন । টুইন টাওয়ার ধ্বংসের পর অনেক মসজিদেই মানুষের আগমণ প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে । কৌতুহলী হয়ে তারা এসেছে । এদের অনেকেই এখন মুসলমান । বিশেষ করে হিস্পানিক বংশোদ্ভূত অনেকেই মুসলমান হচ্ছে। ইংরেজী ও স্প্যানিশ ভাষায় অনূদিত কুরআনের কপির চাহিদা অনেক বেড়ে গিয়েছে। মসজিদ কর্তৃপক্ষ হিমসিম খাচ্ছে এই চাহিদা মেটাতে গিয়ে ।
২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বরের পর কোন কোন মসজিদে দ্বিগুণ , কোথাও চার গুণ বেড়েছে ধর্মান্তরিতের সংখ্যা। একজন বিশেষজ্ঞদের ধারণা , আমেরিকায় বছরে ২৫ হাজার মানুষ ইসলাম গ্রহণ করছে । পশ্চিমা নও -মুসলিমেরা বলেছেন , জীবনযাত্রা বদলাতে তাদের তেমন কোন কষ্ট হয় নি । তবে পরিবারের অসহযোগিতা , বন্ধুদের সঙ্গ ত্যাগ , বিশেষ করে হিজাবের কারনে বৈষম্য , সবার অদ্ভুত চোখে তাকানো - এসবই সবচেয়ে কঠিন মানিয়ে নেয়ার জন্য। ব্রিটিশ ও মার্কিন নারীদের ইসলাম গ্রহণ : এই আধুনিক জীবনে মেয়েদেরকে এখন অতি-মানবী হতে হয়। তাদেরকে দেখতে অবশ্যই সুন্দরী ও স্মার্ট এবং কাজে পুরষদের সমান দক্ষ হতে হবে ।
কখনো বা পুরুষদের থেকে বেশী যোগ্যতা প্রমাণ করতে হয়। আবার ঘরে ফিরে তাকে আদর্শ মা ও স্ত্রী হতে হয়।এভাবে পশ্চিমা সভ্যতা স্বাধীনতার নামে মেয়েদের উপর এক কঠিন ভারী বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে । দি টাইমস , লন্ডন ( ৯ নভেম্বর ১৯৯৩ ) গণমাধ্যমের বিদ্বেষপূর্ণ অপপ্রচারের পরেও ব্রিটিশ নারীরা মুসলমান হচ্ছে । এর কারণ কী ? আগামী বিশ বছরের মধ্যে নও - মুসলিমের সংখ্যা অভিবাসী মুসলমানের সমান বা বেশী হবে । শুধু ব্রিটেনে নয় বরং আমেরিকাতেও নও - মুসলিমের সংখ্যা বাড়ছে । ৩০-৫০ বছরের মানুষেরা বেশী করে ইসলাম কবুল করছেন ( সূত্র : Liecester Islamic Foundation ) তবে কিশোর –কিশোরী , তরুণ- তরুণীরাও মুসলমান হচ্ছে ।
১. টুইন টাওয়ারে হামলায় যিনি পরিবারের আট সদস্যকে হারিয়েছেন , সেই ইয়াহুদী মার্কিন নারী সাফিয়া এখন মুসলমান : ৯/১১ এর সন্ত্রাসী ঘটনায় এই মার্কিন নারী হারিয়েছেন পরিবারের আটজন সদস্যকে । তারপরও তিনি ইসলামকে কখনো এজন্য দোষ দেন নি। মরক্কোতে বেড়াতে গিয়ে এক মসজিদে যান , সেখানে গিয়ে তার খুব শান্তি লাগে । তিনি ইসলাম নিয়ে পড়াশোনা করলেন এবং একসময় ইসলাম কবুল করলেন । তার মেয়ে রাগ করে মায়ের সাথে আর কথা বলে না ।