হজরত মুহাম্মদ صلى الله عليه وسلم বলেছেন , যে বিয়েতে খরচ কম , তাতে বরকত বাড়ে অর্থাৎ সেটা তত বেশী কল্যাণকর । অথচ আজ মুসলমানরা আল্লাহর রাসুল صلى الله عليه وسلم এর শিক্ষা থেকে কতই না দূরে ।
এখন প্রথমে হয় মেয়ের পান-চিনি অনুষ্ঠান বা এনগেজমেন্ট , তারপর ছেলেরটা , তারপর কখনো হয় মেয়ের হাতে মেহেদী পরানো , এরপর মেয়ে ও ছেলের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান । এরপর বিয়ে ও বৌ-ভাত অনুষ্ঠান ।
সাধারণত পান-চিনি অনুষ্ঠান হয় বাসায় , তাছাড়া আর সবই হয় কমিউনিটি সেন্টারগুলিতে । বিশেষ করে বিয়ে ও বৌ-ভাত হোটেল শেরাটন , সোনার গাঁ ও সেনাকুজ্ঞতে করাটা সামাজিক মর্যাদার প্রতীক হয়ে উঠেছে ।
এসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে , মেয়ের গয়না ও দেনমোহর , ছেলে ও মেয়ের উভয় পরিবারের সদস্যদের নতুন কাপড় উপহার দেয়া , বিউটি পারলারে বৌকে সাজানো , ফুল দিয়ে বিয়ের গাড়ি সাজানো , লাইট ভাড়া করে কমপক্ষে চারদিনের জন্য বাড়ি সাজানো , কোন ব্যান্ড দলকে দিয়ে গান গাওয়ানো , ভিডিও করা , একাধিক পদ দিয়ে অতিথি ও ড্রাইভারদের আপ্যায়ন , ছেলেকে যৌতুক দেয়া - এসবের পিছনে খরচ হয় লাখ লাখ টাকা ।
এত ধুমধামের বিয়ের পর মাস না যেতেই দেখা যায় স্বামী – স্ত্রীর ঝগড়া বা বৌ – শাশুড়ির ঝগড়া । এরপর রাগ করে বৌয়ের বাপের বাড়ি যাওয়া ও যৌতুক আইনে শ্বশুরবাড়ির সবার নামে মামলা করা । তারপর মাসের পর মাস দুই পক্ষের সদস্যদের উকিল আর আদালত পাড়ায় দৌড়াদৌড়ি , এরপর কখনো মীমাংসা কখনো বা তালাকের মধ্যে দিয়ে কোটি টাকার বিয়ের সমাপ্তি ঘটে । ভুক্তভোগীদের অবস্থা হয় নেড়া বেলতলায় একবাই যায় – এর মত ।
অনেকেই বিয়ের মত পবিত্র সম্পর্কের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে বাকী জীবন একাকী থাকে , কেউ বা পরকীয়ার মত পাপের জড়িয়ে পড়ে কিন্ত্ত ভয়ে আর বিয়ের নাম মুখেও আনে না ।
খরচের ভয়ে অনেক তরুণ –যুবকই বিয়ে করতে পারছে না ; কেউ বা লম্বা , ফর্সা , সুন্দরী ও ধনী পাত্রী না পেয়ে অবিবাহিতই থেকে যাচ্ছে । এখন তাই বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি ঘর অবিবাহিত নারী – পুরুষে ভরে যাচ্ছে । মেয়েদের বয়স ত্রিশ বা তার বেশী হয়ে যাচ্ছে অথচ আজো সে অবিবাহিতা । এটা যে একটি পরিবারে কী পরিমাণ অশান্তির কারণ হয় , তা ব্যাখ্যা করার দরকার নেই । অবিবাহিত পুরুষরাও দেখা যায় নানা অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছে ।
খ্রীষ্টানরা গীর্জায় বিয়ে করে , মুসলমানরা কেন মসজিদে বিয়ে করে না - এটা নিয়ে ভাবার সময় হয়েছে । পাত্র - পাত্রী নির্বাচনের সময় গায়ের রং ফর্সা কি না বা ঢাকায় তাদের নিজেদের বাসা আছে কি না , এ সব দেখা বন্ধ করে রাসূলের উপদেশমত দ্বীনদার পাত্র – পাত্রীকে গূরুত্ব দিতে হবে । পান –চিনি , গায়ে হলুদ এসব অনুষ্ঠান বাদ দিতে হবে , হোটেল বা কমিউনিটি সেন্টারে হিন্দি গান বাজিয়ে সিনেমার নায়ক – নায়িকাদের নকল করে মুসলমান নারী – পুরুষের একসাথে নাচ – গান করা ও অশালীন হৈ- হুল্লোড়ের বদলে মসজিদে ধর্মীয় পবিত্রতা বজায় রেখে অনাড়ম্বরভাবে বিয়ে অনুষ্টানের আয়োজন করা এখন সময়ের দাবী ।
Christ will never be proud to reject to be a slave to God .....holy Quran, chapter Women , 4: 172
Hey there! Looks like you're enjoying the discussion, but you're not signed up for an account.
When you create an account, we remember exactly what you've read, so you always come right back where you left off. You also get notifications, here and via email, whenever new posts are made. And you can like posts and share your thoughts.
Sign Up
Bookmarks