রোজার ভুলভ্রান্তির জন্য ফিতরা

মাওলানা সাখাওয়াত উল্লাহ



......ফিতরা কত দিতে হবে?


১৬৫০ গ্রাম অথবা এর সমমূল্য গম ও আটার হিসাবে দিতে হয়। খেজুর, কিশমিশ, জবের হিসাবে ৩৩০০ গ্রাম অথবা এর সমমূল্য। জেনে রাখা প্রয়োজন, নবীজি (সা.)-এর যুগে মোট চারটি পণ্য দ্বারা সদকাতুল ফিতর আদায় করা হতো।

যেমন—খেজুর, কিশমিশ, জব ও পনির। হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, আমাদের সময় ঈদের দিন এক সা খাদ্য দ্বারা সদকা আদায় করতাম। আর তখন আমাদের খাদ্য ছিল জব, কিশমিশ, পনির ও খেজুর। (সহিহ বুখারি) রাসুল (সা.)-এর যুগে গমের ভালো ফলন ছিল না বিধায় আলোচিত চারটি পণ্য দ্বারাই ফিতরা আদায় করা হতো। এরপর হজরত মুয়াবিয়া (রা.)-এর যুগে গমের ফলন বেড়ে যাওয়ায় গমকে আলোচিত চারটি পণ্যের সঙ্গে সংযোজন করা হয়। আর তখন গমের দাম ছিল বাকি চারটি পণ্যের তুলনায় বেশি।


এই দাম বেশি থাকার কারণেই হজরত মুয়াবিয়া (রা.) গমকে ফিতরার পণ্যের তালিকভুক্ত করেছিলেন। সে হিসাবে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক এবার জনপ্রতি সর্বনিম্ন ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৫ টাকা। সদকাতুল ফিতর দুই সময়ে দিতে হয়। উত্তম হলো ঈদের নামাজের আগে আদায় করে দেওয়া। কেননা রাসুল (সা.) ঈদগাহে যাওয়ার আগেই সদকাতুল ফিতর আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন। জাকাত গ্রহণের উপযুক্ত এমন অভাবী লোকদের সদকাতুল ফিতর দিতে হবে।

একজন দরিদ্র মানুষকে একাধিক ফিতরা দেওয়া যেমন জায়েজ, তেমনি একটি ফিতরা বণ্টন করে একাধিক মানুষকে দেওয়াও জায়েজ। সদকাতুল ফিতরের অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য হচ্ছে ঈদের খুশিতে গরিব শ্রেণির লোককেও শামিল করে নেওয়া। এর মাধ্যমে রোজার মধ্যে ত্রুটিবিচ্যুতির ক্ষতিপূরণও হবে। দরিদ্র ব্যক্তির প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন করা হয়। এর ফলে ঈদের দিনগুলোতে দরিদ্র ব্যক্তিরা ধনীদের মতো সচ্ছলতা বোধ করে। সদকাতুল ফিতরের ফলে ধনী-গরিব সবার জন্য ঈদ আনন্দদায়ক হয়। সদকাতুল ফিতর আদায়কারী দানশীল হিসেবে পরিগণিত হয়। - See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edi....wBHaWwcB.dpuf


......