রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থমস্তিষ্কসম্� �ন্ন, মুকিম, সুস্থদেহি মুসলিমের জন্য রোজা রাখা ফরজ। তবে রোজার কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে। এখানে রোজার কিছু গুরুত্বপূর্ণ মাসায়েল বর্ণনা করা হলো : রোজা অবস্থায় টুথপেস্ট, টুথ পাউডার, মাজন বা কয়লা দিয়ে দাঁত মাজা মাকরুহ। রোজা অবস্থায় ইনহেলার ব্যবহার করলে রোজা ভেঙে যাবে। কোনো ব্যক্তি যদি হাঁপানি অথবা অ্যাজমার কারণে ইনহেলার ব্যবহার করতে বাধ্য হয়, তাহলে রোজা ভাঙার অনুমতি আছে। তবে ওই রোজা পরে কাজা করতে হবে। (ফাতাওয়ায়ে শামি : ২/৩৯৫)
রোজার কথা স্মরণ থাকা অবস্থায় কুলি করার সময় যদি পানি গলার ভেতর চলে যায়, তাহলে রোজা ভেঙে যাবে। এতে শুধু কাজা ওয়াজিব হবে। কাফফারা ওয়াজিব হবে না। (দুররে মুখতার : ১/১৫০)
কোনো কারণে রোজা ভেঙে গেলেও দিনের বেলায় পানাহার করা যাবে না। সারা দিন রোজাদারের মতো থাকা ওয়াজিব। (হিদায়া : ১/১৮৫)
কানে তেল বা ওষুধ প্রবেশ করালে রোজা ভেঙে যাবে। এতে শুধু কাজা ওয়াজিব হবে। কাফফারা ওয়াজিব হবে না। তবে গোসল করার সময় যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে কানে পানি প্রবেশ করে, তাহলে রোজা ভাঙবে না।

(রদ্দুল মুহতার : ২/৩৯৬)
পায়খানার রাস্তায় ডুশ ব্যবহার করলে রোজা ভেঙে যাবে। এতে শুধু কাজা ওয়াজিব হবে। কাফফারা ওয়াজিব হবে না। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া : ১/২০৪)
ভুলক্রমে পানাহার করলে রোজা ভঙ্গ হবে না। (বুখারি : ১৯৩৩)



রোজা অবস্থায় চোখে সুরমা বা শরীরে তেল, আতর ইত্যাদি ব্যবহার সম্পূর্ণ জায়েজ। এতে রোজার কোনো ক্ষতি হয় না। এমনকি যদি সুরমা ব্যবহারের পর থুথু কিংবা শ্লেষ্মায় রং পরিলক্ষিত হয়, তবু রোজার কোনো ক্ষতি হবে না। (ফাতহুল কাদির : ৪/৩২৭)
কোনো ধরনের ইনজেকশন-ইনসুলিন বা টিকা নিলে রোজা ভঙ্গ হয় না, এমনকি গ্লুকোজ ইনজেকশনের দ্বারাও রোজার কোনো ক্ষতি হয় না। (ফাতাওয়ায়ে ওসমানি : ২/১৮৬)



রোজা অবস্থায় চোখে ড্রপ ব্যবহারের দ্বারা রোজার কোনো ক্ষতি হবে না। যদিও ওষুধের স্বাদ মুখে অনুভূত হয়। (ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী : ১/২০৩)



দেহের অভ্যন্তরীণ রোগব্যাধি নির্ণয় করার জন্য এনডোসকপি করা হয়। এ সময় গলা দিয়ে পেটের ভেতর পাইপ প্রবেশ করানো হয়। যদি এই পাইপে তেল, পানি বা অন্য কোনো পদার্থ লাগানো থাকে, তাহলে রোজা ভেঙে যাবে। আর যদি তেল বা কোনো পদার্থ লাগানো না থাকে; বরং সম্পূর্ণ পরিষ্কার ও শুষ্ক থাকে, তাহলে এর দ্বারা রোজা ভাঙবে না। (রদ্দুল মুহতার, ৩/৩৬৯)


রোজা অবস্থায় কোনো প্রকার মেডিসিন ব্যতীত অক্সিজেন গ্রহণ করার দ্বারা রোজা ভাঙবে না। আর যদি কোনো ওষুধ মিশ্রিত থাকে, তাহলে রোজা ভেঙে যাবে। (জাদিদ ফেকহি মাসায়েল, ১/৮৮)



রোজা অবস্থায় ইনসুলিন ব্যবহার করা জায়েজ। এতে রোজা ভাঙবে না। (আল ইসলাম ওয়াতিব্বুল হাদিস, পৃ. ২৮৫)
রোজার দুর্বলতা দূর করার লক্ষ্যে শরীরে স্যালাইন পুশ করা মাকরুহ। তবে রোগের কারণে শরীরে স্যালাইন নেওয়া যাবে। এতে রোজা ভাঙবে না। (আল ইসলাম ওয়াতিব্বুল হাদিস, পৃ. ২৮৫)



রোজা অবস্থায় রক্ত দিলে বা নিলে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না। (ফাতহুল কাদির : ৪/৩২৭)

লেখক : শিক্ষক, মাদ্রাসাতুল মদিনা
নবাবপুর, ঢাকা

http://www.24livenewspaper.com/site/...lerkantho.com/