এতোদিন ধরে আঙুর গাছের দায়িত্ব ছিলো কেবল আঙুর উৎপাদন আর সেগুন গাছের দায়িত্ব ছিলো কেবল মজবুত কাঠের যোগান দেওয়া। সুমিষ্ট আঙুর ফল উৎপাদন করে আঙুর গাছ যেমন সমাজে সুস্বাদু ফলের চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছিলো, ঠিক তেমনি মজবুত কাঠ যোগানের মাধ্যমে সেগুন গাছও খুব যত্ন সহকারে পালন করে যাচ্ছিলো নিজের দায়িত্ব।
বিপত্তি ঘটলো একদিন। কিছু আঙুর গাছ হঠাৎ করে বিদ্রোহ ঘোষণা করে বসলো। তারা বলতে লাগলো, - ‘সমাজে আমাদের কাজ কি কেবল আঙুর উৎপাদন করা? কেনো আমরা সেগুন গাছের মতো মজবুত কাঠ উৎপাদন করতে পারবো না?’
তাদের কথা শুনে অন্যান্য গাছেরা বলতে লাগলো,- ‘সমাজে যার যা কাজ, তাই করা উচিত। মজবুত কাঠ সেগুনই যোগান দিতে পারবে, আঙুর গাছ চাইলেও কোনদিন এই কাজ করতে পারবে না’।

এই কথা শুনে বিদ্রোহী হয়ে উঠা আঙুর গাছেরা বলতে লাগলো,- ‘কী? আমরা মজবুত কাঠ যোগান দেওয়ার ক্ষমতা রাখি না? কোনদিক দিয়ে আমরা সেগুন গাছের চেয়ে কম? তাদের পাতার রঙ সবুজ, আমাদের পাতার রঙও সবুজ। তাদের যেমন শাখা-প্রশাখা আছে, আমাদেরও সেরকম শাখা-প্রশাখা আছে। তারা যেমন কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে আর অক্সিজেন ছাড়ে, আমরাও তাই করি। তাহলে তারা মজবুত কাঠ যোগান দিতে পারলে আমরা পারবো না কেনো? যারা বলে আমরা মজবুত কাঠ যোগান দেওয়ার ক্ষমতা রাখিনা, তারা আসলে বৃক্ষসমাজে আমাদের ‘নিঁচু স্তরের’ করে রাখতে চায়। তারা আমাদের একটা নির্দিষ্ট গন্ডির মধ্যে আবদ্ধ করে ফেলতে চায়। তারা চায় না যে আমরাও বৃক্ষসমাজের প্রভূত কল্যাণে শরীক হই।


যারা আঙুর গাছের কাজকে কেবল আঙুর ফল উৎপাদনের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে ফেলতে চায়, তারা আঙুর ফলের শত্রু এবং তারা সর্বোপরি বৃক্ষ সমাজেরই শত্রু’।

এভাবে বিদ্রোহী আঙুর গাছেরা একটা আন্দোলনের ডাক দিলো। সমান অধিকারের আন্দোলন। তাদের দাবি, কেবলমাত্র আঙুর উৎপাদনের মধ্যেই আঙুর গাছকে বন্দী করে রাখার অর্থ হলো তাদেরকে সমান মর্যাদা, সমান অধিকার না দেওয়া। তারা সমাজে সেগুন আর গরান গাছের ভূমিকাও চায়। অর্থাৎ, তারাও মজবুত কাঠের যোগান দিবে সমাজে।
সমান অধিকার আর কর্তব্যের এই ডাকে কিছু কিছু আঙুর গাছ সম্মতি দিলো। তারা মনে করলো আসলেই তারা নিগৃহীত। তাদের আসলে সমান অধিকার দেওয়া হয়না। তাদের উচিত সমান অধিকারের জন্য আন্দোলনে নামা।
যেই ভাবা সেই কাজ। কিছু আঙুর গাছ একত্রিত হয়ে সমান অধিকারের ডাক দিলো। তারা মজবুত কাঠ যোগান দেওয়ার ব্যাপারে তৎপর হয়ে উঠলো।

আঙুর গাছ তাদের দায়িত্ব ভুলে নিজেদের নিয়োজিত করলো নতুন কাজে। তারা মজবুত কাঠ যোগানের কাজে ব্যস্ত হয়ে উঠলো। কিন্তু হায়! আঙুর গাছ আর শক্ত-পোক্ত হয়ে উঠতে পারলো না। যেমন ছিলো, তেমনই রইলো। একসময় আঙুর গাছ বুঝতে পারলো যে মজবুত কাঠ যোগানের কাজ আসলে তার নয়। তাকে এই কাজের জন্য পাঠানো হয়নি। আর সে এই কাজের জন্য উপযুক্তও নয়। তার কাজ সুমিষ্ট ফলের যোগান দেওয়া, মানুষের আসবাবপত্র হওয়ার জন্য সে ধরণীতে আসেনি।
উপরে বর্ণিত সেগুন আর আঙুর গাছের ব্যধির মতোন একটা ব্যধি আমাদের সমাজে ছড়িয়ে পড়েছে। ব্যধিটার নাম- নারীবাদ। ইংরেজিতে বলে ফেমিনিজম। তাদের দাবি, সমাজ বা ধর্ম তাদেরকে সঠিকভাবে মূল্যায়ণ করছে না। তাদের সমান অধিকার দিচ্ছে না। তারা পুরুষের মতো প্রোডাক্টিভ হওয়া সত্ত্বেও তাদেরকে পিছিয়ে রাখা হয়েছে। তারাও পুরুষের মতো খোলামেলাভাবে বাইরে আসতে চায়। তারা শার্ট, প্যান্ট, টপস পরে রাস্তায় বের হবে, সিগারেট ফুঁকবে। মোদ্দাকথা, একজন পুরুষ যা যা পারে বা করে, সেও তাই করবে। তাকে করতে দিতে হবে। এটার নাম দেওয়া হয়েছে ‘নারীবাদ’।


‘নারীবাদ’ শব্দটা আসলে শুনতে যতোটা মধুর শোনায়, ব্যাপারটা আসলে ততোটা মধুর নয়। একদল নারী যখন নারী স্বাধীণতা আর নারী অধিকারের ডাক দিয়ে আমাদের মা-বোনদের পর্দার ভিতর থেকে বের করতে উদ্যত হলো, ঠিক সেসময় এই সুযোগটা গ্রহণ করলো একদল লোলুপ পুরুষ যারা সবসময় নারীদের ঠিক এই বেশেই দেখতে চেয়েছে। পন্ডিত শেয়াল সেজে তারা নারীবাদ, নারী অধিকার আর নারী স্বাধীণতার পক্ষে সাফাই গাইতে থাকে আর সেই সাথে মুরগির জিম্মাদারী নেওয়ার মহান দায়িত্বও কাঁধে তুলে নিতে চায়। তারা চেয়ে এসেছে নারীরা ইজ্জত, আব্রু আর পর্দা ভুলে দেহ প্রদর্শনে এগিয়ে আসুক। নারীরা হয়ে উঠুক তাদের চোখ এবং দেহের কাম নিবারণের সামগ্রী। ‘লাক্স সুপারস্টার’ প্রতিযোগিতার স্লোগানের মধ্যেই তাদের নারী স্বাধীণতার সকল সারমর্ম নিহিত আছে। তাদের স্লোগান- ‘দেখিয়ে দাও অদেখা তোমায়’।

জ্বী হ্যাঁ। তারা আসলে এটাই চেয়েছে। অদেখা আপনাকে দেখার জন্য তারা সাজিয়েছে বরণ ঢালা। নাম, যশ, খ্যাতি আর পুরস্কারের নামে আপনাকে বানিয়ে ছেড়েছে খেলার সামগ্রী। আপনার দেহ, লজ্জা আর আব্রু হয়ে উঠেছে তাদের ব্যবসায়িক পণ্য। আপনি হয়ে উঠেছেন তাদের মার্কেটিং পলিসির অন্যতম অনুঘটক। আপনার দেহের সৌন্দর্য বিক্রি করে তারা নিজেদের টিআরপি বাড়ায় আর দিনশেষে আপনি কি নিয়ে ঘরে ফিরেন জানেন? একটি ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত, ভোগ হওয়া শরীর আর তার বিনিময়ে কিছু অর্থ মাত্র।
আমাদের যেসব নারীরা তাদের এই মন ভুলানো আর চোখ ধাঁধানো মিষ্টি কথার ফাঁদে পা দিয়েছে, এর বিনিময়ে তারা কি পেয়েছে? মিডিয়া আর কর্পোরেট জীবনে পর্দার আড়ালে ঘটা যেসব ঘটনা মাঝেমধ্যে আমাদের সামনে চলে আসে, এসব কি নিছক কো-ইনসিডেন্ট? যেসব নারীরা তাদের সাথে হওয়া ঘটনাগুলো সাহস করে তুলে ধরে, তাদের ঘটনাগুলোই আমরা কেবল জানতে পারি। কিন্তু যেগুলো আমরা জানতে পারিনা, সেসব?

তবুও একদল নারীবাদী চেঁচিয়ে বলবে- ‘মোল্লারা নারীদের অধিকার দেয় না’।
নারীবাদীরা যদি নারীর অধিকার বলতে নারীদের খোলামেলা চলাফেরা, অবাধ মেলামেশা, মিডিয়ায় দেহ প্রদর্শন, কর্পোরেট দুনিয়ার পণ্যে পরিণত হওয়াকে বুঝায়, তাহলে বলতে হয় এই অধিকার আসলেই মোল্লাদের ধর্মে নেই। কিন্তু ‘নারী অধিকার’ মানে যদি হয় নারীদের যথাযথ দায়িত্বভার, সংরক্ষণ, মর্যাদা দান, সম্মান প্রদর্শন ইত্যাদি, তাহলে বলতে হয় এর সবটাই ইসলাম খুব সুন্দরভাবেই বন্টন করেছে।

স্বনির্ভর হবার বুলি শুনিয়ে আমাদের মা-বোনদের যারা গৃহ ছাড়া করতে চায়, তারা মূলত ক্যারিয়ার আর স্বনির্ভরতার গল্প শুনিয়ে তাদের ব্রেইন ওয়াশ করে। অথচ একটা মেয়ে বিয়ের আগ পর্যন্ত তার বাবার দায়িত্বে থাকে। বিয়ের পরে তার দায়িত্ব চলে যায় স্বামীর কাঁধে। স্বামী বৃদ্ধ হলে এই দায়িত্ব চলে আসে সন্তানের কাঁধে।
না না। এগুলো মোটেও পুরুষের দয়া-দাক্ষিণ্য নয়। এগুলো নারীর হক্ব। নারীর অধিকার। যদি কোন পিতা, কোন স্বামী, কোন সন্তান এই দায়িত্বগুলো পালন না করে, তাহলে সে প্রথমে ইসলামী আইন অনুযায়ী অপরাধী হবে, পরকালেও সে আল্লাহর কাছে ধরাশায়ী হবে।


স্বনির্ভর আর ক্যারিয়ার দিয়ে একটা মেয়ে কি করে? চাঁদের দেশে তো আর বাড়ি বানায় না, তাইনা? দিনশেষে পেট চালানোই তো আসল। ইসলাম তাকে এটা থেকে সম্পূর্ণ অব্যাহতি দিয়েছে। জীবনযুদ্ধে তাকে নিজের আহারের জন্য ছুটতে হবে না। তাকে আজ ওর কাছে তো কাল অন্যের কাছে ধর্ণা দিতে হবে না। কারণ, তার ব্যয়ভার, তার সম্পূর্ণ দায়িত্ব তার বাবা, তার স্বামী, তার ছেলের উপর ন্যস্ত। শুধু তাই নয়, সে তার বাবার পক্ষ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পত্তির মালিক হতে পারে। স্বামীর সম্পত্তির মালিকানাতেও সে অংশীদার। অথচ এই যে সম্পদ, এর কোনটা কোথায় খরচা করবে এর কোন দায়ভার ধর্ম তার উপরে চাপিয়ে দেয়নি।


তবুও, এরপরও সে যদি চায় সে উপার্জন করবে, তাহলে শরীয়াতের হুকুম আহকাম মেনে, পর্দা মেনে সে চাইলে উপার্জন করতে পারে। তার উপার্জিত টাকা সে তার বাবার জন্য, তার স্বামীর জন্য বা তার সন্তানের জন্যও খরচ করতে বাধ্য নয়। শরীয়ত তাকে এখানেও ছাড় দিয়েছে। যারা আমাদের স্বনির্ভরতার গল্প শুনিয়ে ঘুম পাড়ায়, তাদের তথাকথিত স্বাধীণতাগুলো কি এখানে বড্ড ফিকে হয়ে আসেনা?


সম্মানের প্রশ্নে ইসলাম নারীকে যতোটুকু মূল্যায়ণ করেছে, পৃথিবীর আর কোন ধর্ম, আর কোন দর্শন, আর কোন সভ্যতা তাকে এতোটা মূল্যায়ণ করেনি।
কন্যা হিসেবে ইসলাম তাকে দিয়েছে সর্বোচ্চ মর্যাদা। জাহিলিয়াতের সময়ে যখন কন্যা সন্তানদের জীবন্ত দাফন করা হতো, তখন ইসলাম যেন তাদের রক্ষাকবচ হয়ে আবির্ভূত হয়েছে। কোরআন ঘোষণা করেছে,- ‘আর স্মরণ করো সেই দিনের কথা যেদিন জীবন্ত কবরস্থ কন্যা সন্তানদেরকে জিজ্ঞেস করা হবে কি অপরাধে তাকে হত্যা করা হয়েছে?’ [ আত-তাক্বাউইর ০৮-০৯]
আবু দাঊদ শরীফের হাদীসে রাসূল (সাঃ) থেকে বর্ণনা করা হয়েছে,- ‘যে ব্যক্তির কন্যা সন্তান আছে কিন্তু সে তাকে তুচ্ছ এবং অপমান করেনি, আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন’।
অনেক হাদীসে আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেছেন যে, যে পিতা কন্যা সন্তানদের লালন পালন এবং ভরণ-পোষণের দায়-দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করবে, সেই কন্যা সন্তানগুলো আখিরাতে তার নাযাতের উসিলা হবে।

ইসলাম কেবল কন্যা হিসেবে নারীকে সম্মানিত করেনি, স্ত্রী হিসেবেও করেছে সম্মানিত। রাসূল (সাঃ) বলেছেন,- ‘একজন উত্তম স্ত্রী একজন মুমিনের জীবনে সর্বোত্তম সম্পদ’। রাসূল (সাঃ) আরো বলেছেন,- ‘সে ব্যক্তিই উত্তম যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম’। চিন্তা করে দেখুন, একজন পুরুষ উত্তম হবার সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়েছে নারীর হাতেই। আপনার স্ত্রী যদি আপনাকে উত্তম হিসেবে সার্টিফায়েড না করে, তাহলে আপনি উত্তম হতে পারেন না।


স্ত্রী হিসেবে মর্যাদার কথা বলতে গিয়ে কোরআন বলেছে,- ‘তোমাদের স্ত্রীরা তোমাদের জন্য পরিধেয় আর তোমরা তাদের জন্য পরিধেয়’। [ বাক্বারা ১৮৭]
পরিধেয় ছাড়া একজন মানুষ কেমন থাকবে? উলঙ্গ। শরীরে কাপড় না থাকলে তার কি আর সম্মান থাকে? আল্লাহ এখানে স্ত্রীদেরকে আমাদের সম্মান রাখার বস্তু হিসেবেই উল্লেখ করেছেন। ভাবতে পারেন এরচেয়ে মর্যাদা আর সম্মান একজন নারীর জীবনে কি হতে পারে?

স্ত্রী হবার পাঠ চুকিয়ে একজন নারী হয়ে উঠে একজন মা। মা হিসেবেও ইসলাম তাকে দিয়েছে সর্বকালের, সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ সম্মান। পবিত্র কোরআন মা’র সামনে বিরক্তি থেকে ‘উহ’ শব্দটা পর্যন্ত উচ্চারণে নিষেধ করেছে।


একজন সাহাবী রাসূল (সাঃ) এর কাছে এসে প্রশ্ন করলেন, - ‘হে আল্লাহর রাসূল (সাঃ), আমার বাবা-মা উভইয়ে জীবিত। কার হক্ব আমার উপরে বেশি বর্তায়?’ রাসূল (সাঃ) বললেন,- ‘তোমার মা’র’
এরপর উনি আবার জিজ্ঞেস করলেন,- ‘তারপরে?’
- ‘তোমার মা’র’।
- ‘তারপরে?’
- ‘তোমার মা’র’।
- ‘এরপরে?’
- ‘তোমার বাবার’।
খেয়াল করুন। বাবা-মা’র হক্বের কথা বলতে গিয়ে রাসূল (সাঃ) তিন তিনবার বলেছেন মায়ের কথা আর একবার মাত্র বলেছেন বাবার কথা। এই হাদীস থেকেই অনুমেয় ইসলাম একজন নারীকে মা হিসেবে কতোটুকু মূল্যায়ণ করেছে।



আজকের তথাকথিত নারী স্বাধীণতার যুগে মা’য়েদের স্থান কোথায় হচ্ছে? বৃদ্ধাশ্রমে। সারাজীবন নিজের অধিকার (!) আদায়ের জন্য সংগ্রামরত মহিলা না পারেন নিজের আসল অধিকারটুকু বুঝতে, না পারেন সন্তানকে পিতা-মাতার অধিকার সম্পর্কে শেখাতে। দিনশেষে তাদেরকে জীবনের অন্তিম সময়টুকু কাটাতে হয় বৃদ্ধাশ্রমের চার দেয়ালের মাঝে বন্দী হয়ে। এটা কি আসলেই স্বাধীণতা? এই অধিকারের জন্যই কি তার স্বনির্ভর হওয়া? ক্যারিয়ার গড়ে তোলা? হায়! তার আসল অধিকার সে যদি বুঝতো!
নারী স্বাধীণতা, নারী অধিকার আর নারী আন্দোলনের মোড়কে যে রঙচঙা শ্লোগানগুলো আমরা শুনি, তার মধ্যে না আছে সম্মান, না আছে অধিকার আর না আছে তাদের মুক্তি। নিজেকে ফিরে পাওয়ার বদলে নিজেকে হারিয়ে ফেলার সেই জোয়ারে যারাই গা ভাসিয়েছে তারা না পেয়েছে মুক্তি, না পেয়েছে নিজের অধিকার। বরঞ্চ হারিয়েছে নিজের স্বভাবজাত সম্মান, মর্যাদা। হয়ে উঠেছে কর্পোরেট পৃথিবীর বিজ্ঞাপনের বস্তু। নারীমুক্তির নাম করে যারা আমাদের মা-বোনদের তাদের মর্যাদার জায়গা থেকে সরিয়ে আনতে চায়, তাদের শ্লোগানে, তাদের বক্তব্যে, তাদের কথায় নারীমুক্তির ছিঁটেফোটাও নেই। যা আছে তার ষোল আনাই ফাঁকি।