ইফতার পার্টি, মার্কেটে ঘোরাঘুরি, বন্ধু-বান্ধব মিলে আড্ডা, সেহেরী নাইট। অতঃপর ঘরে এসে সারাদিন ঘুম। এ হচ্ছে তরুণ প্রজন্মের রমাদান পালন। রমাদানে মার্কেটগুলো মানুষের ভীড়ে ঠাসা থাকে। জাহেলিয়াত যেন অন্যান্য মাসগুলোকেও ছাড়িয়ে যায় (নাস্তাগফিরুল্লাহ) ।
অথচ এই রমাদানে মসজিদগুলো ভরপুর থাকার কথা ছিলো, কোরআন, ক্বিয়াম, দুয়া-কান্নাকাটি সহকারে সরগরম থাকার কথা ছিলো। কিন্তু হায়! আজ আমরা কী করছি!
.
কয়দিন পর আবার শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপ ফুটবল। উম্মাহর তরুণরা কাফেরদের নিশান উড়াবে, কাফেরদের ভালোবাসবে, কাফেরদের জন্য নিজের ভাই এর সাথে ঝগড়া মারামারিতে লিপ্ত হবে। অথচ সে কুফফাররা তাদের চিনেও না! শয়তান এমনভাবে সব পরিকল্পনা সেট করেছে, এমনভাবে আমাদের নফস দূষিত হয়েছে, শয়তানের অনুপস্থিতি ও টের পাওয়া যাচ্ছে না।
.
আজ মুসলিমরা চারদিকে নির্যাতিত। আর এই নির্যাতিত উম্মাহ সম্পর্কে উম্মাহর বেশিরভাগ সদস্যই নির্বিকার। তারা বিভিন্ন জাহেলিয়াতে মদমত্ত হয়ে আছে। যতক্ষণ না তারা বুঝতে পারছে, ফিরে আসছে তাদের রবের নিকট ততক্ষণ পর্যন্ত বিজয় সম্ভব নয়।
.
হে ভাই-বোন, আপনি কি জানেন আপনার গোনাহের কারণে আমি কষ্ট পাই? জানেন কি, আপনার গোনাহের কারণে আপনার পরিবারে বিপদ আসে? আমরা একটা উম্মাহ্, এক শরীর।
সে শরীরের যদি কোনো অংশ উশৃঙ্খল হয় তবে তার প্রভাব পুরো শরীরে পড়ে। আপনার গোনাহের কারণে উম্মাহর এই অবস্থা। আপনার উপরই উম্মতকে উদ্ধার করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। প্লিজ একটু বুঝুন। জাহিলিয়াতের ঐ সেলুলয়েড জীবনে গা ভাসিয়ে না দিয়ে ফিরে আসুন আপনার রবের কাছে। আর কতো নিজের আত্মাকে ধ্বংস করবেন? আর কতো নিজের উপর জুলুম করবেন? আর কতো নফসের খাহেশাত মেটাবেন? শান্তি কি পাচ্ছেন? রাস্তায় একজন সুন্দরী দেখলে তাকে না পাওয়ার হতাশায় আপনি পুড়েন, একটা নতুন মডেলের গাড়ী দেখলে তার জন্য আক্ষেপ করেন, অন্যের সুন্দর ড্রেস দেখে আপনি ঈর্ষান্বিত হন।
এই খাই খাই জীবনে শান্তি কোথায়? একমাত্র শান্তি কোথায় জানেন? রবের আনুগত্য করার মাধ্যমে। হ্যাঁ, এই পথটা কষ্টের। অন্যদের টিটকারী, নিজের পরিচিত মানুষদের কাছে অপরিচিত হয়ে যাওয়া, বিভিন্ন বাঁধা ইত্যাদি বহু সমস্যাই আছে। কিন্তু তারপরও এই পথে রয়েছে অন্তরের প্রশান্তি। যতদিন না আপনি নিজের কৃত গোনাহের জন্য হৃদয় বিদীর্ণ করা চোখের পানি ফেলছেন ততদিন বুঝবেন না অন্তরের তৃপ্তি কী জিনিস, অনুভব করতে পারবেন না রবের ভালোবাসা কী বস্তু। আমরা সবাই হুটহাটই বলি, "আমি আল্লাহকে ভালোবাসি"
সত্যিই কী? আমি যদি তাঁকে ভালোবাসতাম তবে তাঁর অবাধ্য হতে পারতাম? তিঁনি যা অপছন্দ করেন তা করতে পারতাম? ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ কি অবাধ্যতা করে হয়?
.
একটু ভাবুন। কতকাল আর স্রোতের সাথে গা ভাসিয়ে দিবেন? চলুন না, একটু ব্যতিক্রম হওয়ার চেষ্টা করি?
May you and your family be blessed during Ramadan.
Eric
Hello Eric ,
I don't know if English translation is available . In short , writer is frustrated that our young men are not utilizing holy Ramadan properly .
They are busy with Eid shopping , breaking fast with various delicious foods - when rest of the Muslim Ummah are suffering a lot . Youth are also busy with coming World Cup Football , they will support the countries who are responsible for killing innocent Muslims in various countries.
Messenger of Allah (ﷺ) said, "The believers in their mutual kindness, compassion and sympathy are just like one body. When one of the limbs suffers, the whole body responds to it with wakefulness and fever".
[Al-Bukhari and Muslim].
But now we don't care about oppressed Muslims . We are committing so many sins .
Because of our sins , we are getting so many punishment ......etc etc .
ইফতার পার্টি, মার্কেটে ঘোরাঘুরি, বন্ধু-বান্ধব মিলে আড্ডা, সেহেরী নাইট। অতঃপর ঘরে এসে সারাদিন ঘুম। এ হচ্ছে তরুণ প্রজন্মের রমাদান পালন। রমাদানে মার্কেটগুলো মানুষের ভীড়ে ঠাসা থাকে। জাহেলিয়াত যেন অন্যান্য মাসগুলোকেও ছাড়িয়ে যায় (নাস্তাগফিরুল্লাহ) ।
অথচ এই রমাদানে মসজিদগুলো ভরপুর থাকার কথা ছিলো, কোরআন, ক্বিয়াম, দুয়া-কান্নাকাটি সহকারে সরগরম থাকার কথা ছিলো। কিন্তু হায়! আজ আমরা কী করছি!
.
কয়দিন পর আবার শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপ ফুটবল। উম্মাহর তরুণরা কাফেরদের নিশান উড়াবে, কাফেরদের ভালোবাসবে, কাফেরদের জন্য নিজের ভাই এর সাথে ঝগড়া মারামারিতে লিপ্ত হবে। অথচ সে কুফফাররা তাদের চিনেও না! শয়তান এমনভাবে সব পরিকল্পনা সেট করেছে, এমনভাবে আমাদের নফস দূষিত হয়েছে, শয়তানের অনুপস্থিতি ও টের পাওয়া যাচ্ছে না।
.
আজ মুসলিমরা চারদিকে নির্যাতিত। আর এই নির্যাতিত উম্মাহ সম্পর্কে উম্মাহর বেশিরভাগ সদস্যই নির্বিকার। তারা বিভিন্ন জাহেলিয়াতে মদমত্ত হয়ে আছে। যতক্ষণ না তারা বুঝতে পারছে, ফিরে আসছে তাদের রবের নিকট ততক্ষণ পর্যন্ত বিজয় সম্ভব নয়।
.
হে ভাই-বোন, আপনি কি জানেন আপনার গোনাহের কারণে আমি কষ্ট পাই? জানেন কি, আপনার গোনাহের কারণে আপনার পরিবারে বিপদ আসে? আমরা একটা উম্মাহ্, এক শরীর।
সে শরীরের যদি কোনো অংশ উশৃঙ্খল হয় তবে তার প্রভাব পুরো শরীরে পড়ে। আপনার গোনাহের কারণে উম্মাহর এই অবস্থা। আপনার উপরই উম্মতকে উদ্ধার করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। প্লিজ একটু বুঝুন। জাহিলিয়াতের ঐ সেলুলয়েড জীবনে গা ভাসিয়ে না দিয়ে ফিরে আসুন আপনার রবের কাছে। আর কতো নিজের আত্মাকে ধ্বংস করবেন? আর কতো নিজের উপর জুলুম করবেন? আর কতো নফসের খাহেশাত মেটাবেন? শান্তি কি পাচ্ছেন? রাস্তায় একজন সুন্দরী দেখলে তাকে না পাওয়ার হতাশায় আপনি পুড়েন, একটা নতুন মডেলের গাড়ী দেখলে তার জন্য আক্ষেপ করেন, অন্যের সুন্দর ড্রেস দেখে আপনি ঈর্ষান্বিত হন।
এই খাই খাই জীবনে শান্তি কোথায়? একমাত্র শান্তি কোথায় জানেন? রবের আনুগত্য করার মাধ্যমে। হ্যাঁ, এই পথটা কষ্টের। অন্যদের টিটকারী, নিজের পরিচিত মানুষদের কাছে অপরিচিত হয়ে যাওয়া, বিভিন্ন বাঁধা ইত্যাদি বহু সমস্যাই আছে। কিন্তু তারপরও এই পথে রয়েছে অন্তরের প্রশান্তি। যতদিন না আপনি নিজের কৃত গোনাহের জন্য হৃদয় বিদীর্ণ করা চোখের পানি ফেলছেন ততদিন বুঝবেন না অন্তরের তৃপ্তি কী জিনিস, অনুভব করতে পারবেন না রবের ভালোবাসা কী বস্তু। আমরা সবাই হুটহাটই বলি, "আমি আল্লাহকে ভালোবাসি"
সত্যিই কী? আমি যদি তাঁকে ভালোবাসতাম তবে তাঁর অবাধ্য হতে পারতাম? তিঁনি যা অপছন্দ করেন তা করতে পারতাম? ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ কি অবাধ্যতা করে হয়?
.
একটু ভাবুন। কতকাল আর স্রোতের সাথে গা ভাসিয়ে দিবেন? চলুন না, একটু ব্যতিক্রম হওয়ার চেষ্টা করি?
Walaikum Asalam
Totally unrelated, but does Bengali have a script that uses a Perso-Arabic alphabet, like other South Asian languages?
Hey there! Looks like you're enjoying the discussion, but you're not signed up for an account.
When you create an account, we remember exactly what you've read, so you always come right back where you left off. You also get notifications, here and via email, whenever new posts are made. And you can like posts and share your thoughts.
Sign Up
Bookmarks