“ মাইয়েতকে তার পরিবারের লোকদের কান্নাকাটির জন্য শাস্তি দেয়া হয়” – কথাটি হাদিস হিসেবে মাশহুর। অথচ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কথাটি এভাবে বলেননি অর্থাৎ এটা বোঝাননি। আয়িশা রা: যখন হাদিসটি শুনলেন, মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানালেন এবং বললেন: রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কখনোই একথা বলতে পারেননা। প্রকৃত ঘটনা এই যে, একবার তিনি এক ইয়াহুদী মহিলার মৃতদেহের পাশ দিয়ে পথ অতিক্রম করলেন। মাইয়েতের কোন এক আত্বীয় কান্নাকাটি করছিল। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: “এ এখানে কাদছে আর ওখানে ওকে শাস্তি দেয়া হচ্ছে”। আয়িশা রা: এর কথার অর্থ হলো: যেমনটি বুখারীতে বদর যুদ্বের আলোচনায় এসেছে – আত্বীয়ের কান্না মাইয়েতের শাস্তির কারন নয়। দু’টু আলাদা আলাদা বিষয়। অর্থাৎ আত্বীয় কাদছে মাইয়েতের মৃত্যুর কারনে, আর মাইয়েতের আযাব হচ্ছে তার কৃত পাপের কারনে। এর আযাব যে কাদছে সে-ই ভোগ করবে। মাইয়েত কেন সেজন্য দায়ী হবে? সবাইকে নিজের আমলেরই সাজা ভোগ করতে হবে। এ প্রসংগে আয়িশা রা: একটি আয়াতও উল্লেখ করেন: “কেউ কারোর পাপের বোঝা বহন করবেনা” (সুরা আল ইসরা, ১৫) নোট: প্রিয়জনের মৃত্যুতে স্বভাবত:ই যে কান্না আসে তাতে দোষ নেই। মৃত্যুশোকে বিলাপ করা, কাপড়চোপড় ছেড়া, শারীয়াত বিরোধী বাক্য মুখে আনা, মাথায় মাটিতে হাত চাপড়ানো – ইত্যাকার কাজকে ইসলামী শারিয়াত নিষিদ্ধ করেছে।
সুত্র: সীরাতে আয়িশা রা: পৃ: ২৭৯। সাইয়েদ সুলাইমান নদভী (রহমাতুল্লাহ আলাইহি) ।
Hey there! Looks like you're enjoying the discussion, but you're not signed up for an account.
When you create an account, we remember exactly what you've read, so you always come right back where you left off. You also get notifications, here and via email, whenever new posts are made. And you can like posts and share your thoughts.
Sign Up
Bookmarks