সতীন কাহিনী

- বিদেশী প্রতিবেদন ও শখের ঘটকালীর অভিজ্ঞতা অবলম্বনে : জাবীন হামিদ

পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সবাই যাকে ক্রিকেট তারকা হিসাবেই বেশী চেনেন । তার সাবেক বিদেশী স্ত্রী জেমিমা ব্রিটিশ নাগরিক । তিনি অনেক দিন ধরেই অবাক হয়ে দেখছিলেন কিভাবে ব্রিটিশ মুসলিম নারীরা সতীনকে মেনে নিয়ে সংসার করছেন ।

এরা যে অশিক্ষিত , গরীব পরিবারের মেয়ে তা্ও না । তিনি হতবাক হয়ে গেলেন এটা দেখে যে উচ্চ শিক্ষিতা , চাকরীজীবী নারী যাদেরকে সমাজ স্বাধীন নারী হিসাবে মনে করে , তারা কোন বিবাহিত পুরুষের দ্বিতীয় বা তৃতীয় স্ত্রী হয়ে সংসার জীবন শুরু করছেন ।

বাংলাদেশ , পাকিস্তান , ভারত বা আফ্রিকার কোন দেশ হলে বলা যেত , পুরুষশাসিত সমাজে মেয়েদেরকে বাধ্য করা হচ্ছে । মুসলিমদের সমালোচনা করতে গিয়ে ইসলামের বিরুদ্ধে অশোভন আক্রমণ করা হতো । শেষ নবী মুহাম্মদ সাল্লাললাহু আলাই হী ওয়া সাল্লামকে
তথাকথিত নিরপেক্ষ গণমাধ্যম , কিছু ব্লগার আর নারীবাদীরা কি পরিমাণ জঘন্য ভাষায় গালিগালাজ করতো , তার নমুনা আমরা অনেক দেখেছি ।
আরো বলা হতো , অভাবের জন্য মেয়েরা পেটের দায়ে বাধ্য হয়ে সতীনকে মেনে নিচ্ছে ।

কেন পশ্চিমা বিশ্বের আধুনিকা , স্বাধীন নারীরা সতীনকে মেনে নিচ্ছেন ? --

জেমিমার মনে প্রশ্ন জাগলো , ব্রিটেনের মতোে ইউরোপের ধনী দেশের উচ্চ শিক্ষিতা , চাকরীজীবী বা ব্যবসায়ী আধুনিক নারীরা কেন সতীনকে মেনে নিচ্ছে ? এখানে তো কেউ তাদেরকে বাধ্য করছে না ।

যারা সতীনের সাথে সংসার করছেন এবং করতে চান আর এই ধরণের বিয়ের আয়োজন করেন এমন কিছু ঘটকালী সংস্থার সাথে জেমিমা এ নিয়ে কথা বলেন । তিনি তাদের মতামত অনলাইনে তুলে ধরেছেন । এখানে সব ঘটনাই সত্য তবে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বজায় রাখতে ছদ্মনাম ব্যবহার করা হয়েছে ।

ফারজানা একজন সিনিয়র নার্স । বয়স ৩৬ । দেখতে স্মার্ট , সুন্দরী । তিনি বললেন , আমি সতীনকে মেনে নিয়ে সংসার জীবন শুরু করার চিন্তা করছি । আপনি যদি ইসলামের আলোকে ভালবাসা , বিয়ে ইত্যাদি নিয়ে চিন্তা করেন , তাহলে সতীনকে মেনে নেয়া অযৌক্তিক কিছু না ।

মিজান রাজা লন্ডনে মুসলিমদের বিয়ের ঘটকালি করেন । মুসলিম পুরুষদের মধ্যে যারা বিপত্নীক বা ডিভোর্সড বা এক বউ থাকার পরেও নানা কারণে একাধিক বিয়ে করতে চান , যে সব মুসলিম নারীর সতীনে আপত্তি নেই - তাদের মধ্যে তিনি জোড় বেধে দেন । বলতে গেলে রোজই তিনি এমন বিয়ের ঘটকালি করার জন্য ব্রিটিশ মুসলিম নারীদের থেকে অনুরোধ পান। এজন্য তিনি মাঝেমধ্যে ম্যাচ মেকিং অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন । এমনই এক অনুষ্ঠানে জেমিমা আলাপ করেন এদের অনেকের সাথে ।

রাজা বললেন , অনেক পেশাজীবী নারী আছেন যারা
’ ফুল টাইম ‘ স্বামী চান না । কেননা , সারাদিন পেশাগত ব্যস্ততার পরে ক্লান্ত হয়ে বাসায় ফিরে স্বামীর জন্য তাদের হাতে সময় থাকে না। তাই পার্ট টাইম স্বামী পেতেই তারা বেশী আগ্রহী।

ক্যারিয়ারকে যারা গূরুত্ব দিতে চান , সেসব নারীরা সংসার করতে চাইলেও এর পিছনে বেশী সময় দিতে চান না । তাছাড়া , স্বামী , সংসার , ক্যারিয়র নিয়ে বেশী ব্যস্ত হয়ে পড়লে নিজের জন্য কোন সময় থাকে না । তাই স্বামী ও সংসারের প্রতি যে দায়িত্ব , তা আরেকজনের সাথে ভাগ করতে তাদের আপত্তি নেই । তখন কিছু অবসর সময় পাওয়া যায় বিশ্রামের জন্য , নিজের পছন্দমতো কাজ করার জন্য । নও মুসলিমা সারাহ জানালেন , তিনি নিজেই এক বিবাহিত পুরুষকে প্রস্তাব দেন তাকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসাবে গ্রহণ করতে । তিনি পড়াশোনা নিয়ে এত ব্যস্ত থাকেন যে ফুল টাইম স্বামীর জন্য তার সময় নেই ।

অনুষ্ঠানে আগত এক পুরুষ অতিথি পার্ট টাইম স্বামী মেয়েদের পছন্দ- এই মত ঠিক না বললেন। তার মত হলো - ব্রিটিশ মুসলিম নারী যাদের বয়স ৩০ হয়ে গিয়েছে বা যারা তালাকপ্রাপ্তা , সন্তানসহ বিধবা , তাদের জন্য পাত্র পাওয়া কঠিন। কেননা , মুসলিমরা সেখানে সংখ্যায় কম। এছাড়া ভারতীয় উপমহাদেশের
অসংখ্য পুরুষ পরিবারের চাপে দেশে গিয়ে বিয়ে করতে বাধ্য হন। অনেক বিয়ে আত্মীয়দের মধ্যে হয়। তাছাড়া , বাচ্চাসহ কোন মাকে বিয়ে করতে খুব বেশী পুরুষ আগ্রহী না ।
তাই বেশি বয়সের ও ডিভোর্সী , বিধবা নারীরা বাধ্য হয়ে সতীনকে মেনে নিচ্ছে ।

সতীনকে মেনে নেওয়া না বিয়ে বিচ্ছেদ? -

স্বামীর একাধিক বিয়েতে রাজি হওয়া বনাম বিচ্ছেদ- এই দুইয়ের মধ্যে অনেক মেয়ে প্রথমটিকে মেনে নেন , অনেকে বিচ্ছেদের পথে যান। ফলে অনেক বছরের সাজানো সংসার ভেঙ্গে যায়; বাচ্চারা মা বাবার সাথে একসাথে থাকতে না পেরে হতাশায় ভোগে। তাছাড়া চারপাশের মানুষের নানা কথায় তাদের মন ভেঙ্গে যায় ।

বাবার আরেক বিয়েকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে কেউ তাদের শেখায় না। ফলে এতদিনের প্রিয় মানুষটি সংসারে সবার কাছে
আচমকা হয়ে যায় ভিলেন।

হুমায়ুন আহমেদ আর গুলকেতিন এর সাজানো সংসার খানখান হয়ে ভেঙ্গে পড়া থেকে কি আটকানো যেত ? আমাদের দেশ যদিও মুসলিম প্রধান - পশ্চিমা মিডিয়ার নেতিবাচক প্রভাবে এ দেশে পুরুষের বহুবিবাহকে পাপ হিসাবে মনে করা হয়। প্রথম স্ত্রীর লিখিত অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে শাস্তিযোগ্য অপরাধ । কিন্ত্ত যদি মানুষকে বলা হতো আল্লাহ্ যেটাকে বৈধ করেছেন , সেটাকে ঘৃণা করা মুমিনের কাজ না - তাহলে হয়তো এমন হাজারো সংসার ভেঙ্গে যেত না। কেউ ভাববেন না স্ত্রীকে লুকিয়ে গোপনে প্রেম করার পক্ষে আমি । অবৈধ প্রেমে জড়িয়ে তারপর ইসলামের দোহাই দিলে চলবে না -- আর ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না। নিশ্চয় এটা অশ্লীল কাজ এবং মন্দ পথ। [সূরা বনী-ইসরাইলঃ ৩২]

কোন কারণে কারো একাধিক স্ত্রীর দরকার হলে শরীয়াহ নির্ধারিত পথে পাত্রী দেখতে হবে ।

সতীন শত্রু না কি প্রিয় বান্ধবী ?

এক মহিলা স্বামীকে বলতেন , যে কোন বিয়ে বা আনন্দ অনুষ্ঠানে ছোট বউকে নিয়ে যেতে ; কেননা তার বয়স কম , শখ আবদার বেশী । আর তিনি নিজে শোকের কোন ঘটনা ঘটলে যেমন কেউ মারা গেছেন বা খুবই অসুস্থ , তখন স্বামীর সাথে সেখানে যেতেন । এভাবে পারিবারিক দায়িত্ব তিনি সতীনের সাথে ভাগ করে নিয়েছিলেন ।


একজন বাবা যখনই তার মেয়েকে ফোন করতেন , আগে খোঁজ নিতেন তার সতীন কেমন আছে । এভাবে তিনি মেয়ের সাথে তার সতীনের সম্পর্ক ভাল রাখতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতেন । অথচ এ দেশের অনেক মা , বাবা মেয়েকে পরামর্শ দেন স্বামীর উপর চাপ দিতে যেন অন্য স্ত্রীকে সে তালাক দেয় । এভাবে পরিবারেরর সদস্যদের খারাপ পরামর্শে সতীনকে এসিড মারা থেকে শুরু করে বাচ্চাসহ খুন করার ঘটনাও ঘটে । সতীন মানেই পরম শত্রু - সে যদি মৃত হয় তখন প্রতিপক্ষ হয় সতীনের বাচ্চারা । কোন বিপত্নীক পুরুষ -যদি তার নাবালক বাচ্চাদের জন্য নতুন মা নিয়ে আসে , তবে সেই মা হয়ে যায় রূপকথার ডাইনী বুড়ি ।

গণমাধ্যমের অপপ্রচারের শিকার বহু বিবাহ :

ইউরোপ , আমেরিকায় বহু জরীপে দেখা গেছে , বিবাহিত পুরুষেরা গড়ে কমপক্ষে নয়জন নারীর সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে । সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ক্লিনটন , বর্তমান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এর এমন অনেক কাহিনী সবার জানা । বিখ্যাত গায়ক , অভিনেতা , মডেলরা ডজন ডজন প্রেমিকা নিয়ে ঘুরে , তাতে কেউ আপত্তি করে না । দোষ হয় শুধু কেউ যদি একাধিক বিয়ে করতে চান তখন । বিশ্ববিখ্যাত খেলোয়াড় মেরাডোনা বউকে নয় বরং প্রেমিকাকে নিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যান , ফটো সাংবাদিকরা তার এই অবৈধ প্রেমিকার ছবি তুলে প্রচার করে - এতে কিন্ত্ত কারো কোন সমস্যা হয় না । পশ্চিমা বিশ্বের সব সমস্যা পুরুষের একাধিক বিয়েতে ।

যুগে যুগে দেশে দেশে সব ধর্মেই পুরুষের একাধিক বিয়ে বৈধ ছিল । আগে সংখ্যার কোন বিধিনিষেধ ছিল না , কোন শর্ত ছিল না । ইসলাম এসে শর্ত দিয়েছে , বিয়ের সংখ্যা নির্ধারণ করে দিয়েছে - তাও সব দোষ ইসলামের ঘাড়ে চাপে । মিডিয়া এমনভাবে ইসলামের বদনাম করে যে অজ্ঞ মানুষ ভাবে - আগে পুরুষরা কেবল এক বিয়ে করতো । ইসলাম এসে বহু বিবাহ চালু করেছে । পশ্চিমা সমাজ , গণমাধ্যমের অপপ্রচারে মুসলিমরাও এতে বিভ্রান্ত হোন। আল্লাহ্ যে কাজকে বৈধ করেছেন, অনেক মুসলিম সেই কাজকে পাপ মনে করেন।

বাস্তবতা মেনে নেওয়া:

সিমি চৌধুরীর স্বামী মারা যাওয়ার পর তিনি দুই বাচ্চা নিয়ে হিমসিম খাচ্ছিলেন। এমন সময় এক বিবাহিত পুরুষের দ্বিতীয় স্ত্রী হবার প্রস্তাব পান তিনি। এমন বিয়ের কথা
সিমি ভাবতেও পারছিলেন না। পরে বাস্তবতাকে তিনি মেনে নেন। ৩০ + দুই বাচ্চার মার জন্য এর চেয়ে খুব ভাল প্রস্তাব আসবে না।

ইমেলে বিয়ের শর্ত নিয়ে কথা হলো। কোন স্ত্রীর সাথে স্বামী কতদিন থাকবে , কোন সংসারে কত খরচ দিবে ইত্যাদি । দুই পক্ষ শর্তে রাজী হলে সামনাসামনি দেখা করলেন ; বিয়ের তারিখ ঠিক হলো। প্রথম স্ত্রী খুশী ছিলেন না কিন্তু তিনি মেনে নিয়েছিলেন।

দুই পক্ষের বাচ্চারাও বিষয়টি জানে । তারা যে শুধু মেনে নিয়েছে তা না , সিমি বললেন - ছোট আম্মুকে দেখার জন্য তার সতীনের মেয়ে রীতিমতো উত্তেজিত । অন্য বাচ্চারাও নতুন ভাইবোনদের দেখতে চাচ্ছে। তিনি আশা করছেন খুব তাড়াতাড়ি একটা পারিবারিক সম্মেলনের আয়োজন করে সবাই সবার সাথে পরিচিত হবে। তার নিজের ছেলেও মার বিয়ে মেনে নিয়েছে। অন্য বন্ধুদের বাবা আছে , তার নেই - এই অভাববোধ তাকে কষ্ট দিতো।

পুরুষ অভিভাবক শূন্য বাসায় নানা ঝামেলা মা কষ্ট করে একা সামলাচ্ছেন, অনেক সন্তান বোঝে মার এই কষ্ট । তাছাড়া মা একা তাদের পিছনে যে খরচ করতো, নতুন বাবা আসাতে তাদের স্বাচ্ছন্দ্য অনেক বেড়ে যায়- এতেও বাচ্চারা খুশী থাকে।

ব্রিটিশ আইনে দ্বিতীয় স্ত্রী গ্রহণ করা অবৈধ কিন্তু মুসলিমদের জন্য মসজিদ কর্তৃপক্ষ বা ইসলামিক সংষ্হাগুলি শরীয়াহ আইনে এমন বিয়ের আয়োজন করছেন। অনেক মুসলিম দাবী করলেন প্রচলিত আইনে
এসব বিয়েকে বৈধতা দেয়া এখন সময়ের দাবী।

অনেকে সমালোচনা করে যে এমন বিয়ের মধ্য দিয়ে কিছু পুরুষের
লোভ লালসাকে স্বীকৃতি দেয়া হয় । তারা এটা ভুলে যায় - বিয়ে মানে কঠিন দায়িত্ব । একজন পুরুষের একাধিক স্ত্রী, সন্তান থাকা মানে তার উপর বিরাট অর্থনৈতিক বোঝা । যারা এই কঠিন দায়িত্ব পালন করছে , সমাজ তাদের সমালোচনা করে ; অথচ যারা পরকীয়া প্রেমের মতো বড় পাপে ডুবে আছে , তারা বুক ফুলিয়ে চলে। বিভিন্ন সেলিব্রিটিদের এসব পাপকে মানুষ খুব সহজেই মেনে নেয়।

কল্পনার জগতে বসবাস :

ব্রিটিশ নারীরা বাস্তবতা মেনে নিচ্ছেন কিন্তু এ দেশের লাখ লাখ নারী আর তাদের অভিভাবক
বাস্তবতাকে মেনে নিচ্ছেন না।

পুরুষের চেয়ে নারীদের সংখ্যা বেশি । কমবয়সী পুরুষেরা প্রথম বিয়ে করার সময় ত্রিশের বেশি বয়সের পাত্রীকে নিজেরাও যেমন পছন্দ করে না , তার অভিভাবক, পরিবারের সদস্যরাও সেটা চান না । পাত্রী চাই পোস্টে সবসময়ই দেখা যায় কমবয়সী মেয়েদের জয়জয়কার । অথচ কিছু অভিভাবক পড়াশোনা শেষ করে ,
অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে তারপর মেয়েকে বিয়ে করতে শিখিয়েছেন । তাই অনেক উচ্চ শিক্ষিতা , চাকরীজীবী মেয়ে আজও অবিবাহিতা । এরপরেও তারা সতীনকে মেনে নেওয়া তো দূরের কথা , বাচ্চা ছাড়া ডিভোর্স পাত্রকেও না করে দেন । তাদের কল্পনার রাজপুত্রকে পেতে অপেক্ষা করতে করতে এ দেশের ' বিয়ের বাজারে ' তারা বাতিলের খাতায় নাম লেখাচ্ছেন। কথাগুলো অশোভন কিন্তু কতটা সত্য , তা যে কোন ঘটককে জিজ্ঞেস করলেই বলে দিবে।


ছোট এক জেলা শহরের ৩৪|৩৫ বছরের মেয়েকে বাচ্চা ছাড়া ডিভোর্স পাত্রের কথা বললেও শিউরে উঠে। বাচ্চাসহ বিপত্নিক বা ডিভোর্সড পাত্রের কথা তো এই মেয়ে ভাবতেও পারে না । কারণ তার কোন বান্ধবীর এমন বিয়ে হয় নি। তাই অবিবাহিত পাত্রের আশায় থাকতে থাকতে এই মেয়ে তার বয়স আরও বাড়াতে থাকে , তবু্ও সে বাচ্চাসহ কাউকে বিয়ে করে পরিচিত মহলে ছোট হতে রাজী না। এই মেয়েকে সমাজ এই শিক্ষাই দিয়েছে , কোন পুরুষের দ্বিতীয় স্ত্রী হ্ওয়া লজ্জার ।

অনেক সময় স্ত্রীর অসুস্থতার জন্য কোন স্বামী চান আরেক স্ত্রী গ্রহণ করতে কিন্ত্ত মানবিক কারণে তিনি অসুস্থ স্ত্রীকে তালাক দিতে চান না । পাত্রী পক্ষ থেকে তখন চাপ আসে আগে অসুস্থ বউকে তালাক , পরে বিয়ে । অথচ ইসলামের বিধানে কত সুন্দরভাবেই না এখানে সমস্যার সমাধান হতে পারতো ।


বিবাহিত জীবনে অনেক পুরুষের একাধিক স্ত্রীর চাহিদা থাকে। বৈধভাবে এই চাহিদা পূরণ না হলে তারা বাধ্য হয়ে পাপের পথে পা বাড়াবে। তখন কি একাধিক বিয়েকে যারা স্বীকৃতি দেন না , যারা একে অন্যায় বলে প্রচার করছেন - তারাও এই পাপের ভাগীদার হয়ে যাচ্ছেন না ?

যারা একাধিক বিয়ে করতে চান , কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে স্ত্রীদের সাথে ন্যায় আচরণ করবেন , এটাই কামনা ।


--
May Allah bless us in this life & the hereafter , Ameen