আমরা একটা সময় পয়লা বৈশাখের বিরুদ্ধে বলা শুরু করেছিলাম।

আস্তে আস্তে তার ফল পাওয়া যাচ্ছে।

ইনুকে এখন ডিফেন্ড করতে হয়, নববর্ষ উদযাপনে মুসলমানিত্ব যায় না।

একজন কম্যুনিস্ট মানুষকে ইসলাম শেখাচ্ছে - দুঃখজনক।

আকবরের আমলে কর বর্ষের শুরু হিসেবে এখন ১৪২৫ বঙ্গাব্দের শেষ, ১৪২৬ এর শুরু। কিন্তু হিন্দুদের কাছে অনেক আগে থেকেই পয়লা বৈশাখ পূজার দিন। ছবিটা কলকাতার একটা অনলাইন নিউজ পোর্টালের স্ক্রিনশট।

অনেকেই ভাবেন যদি হিন্দুদের কাজগুলো বাদ দিই তাহলে নববর্ষ উদযাপনে সমস্যা কী?

সমস্যা কী এটা বুঝতে হলে আপনাকে ইসলামের একটা মৌলিক জিনিস বুঝতে হবে।

ইসলাম মানে আত্মসমর্পণ। আমি আল্লাহর ইচ্ছার কাছে নিজেকে সঁপে দেব। আল্লাহ আমাকে বলে দেবেন কোন কাজটা করা যাবে আর কোনটা করা যাবে না। অর্থাৎ কোনটা হালাল আর কোনটা হারাম।
আমি মেনে নেব।

মানুষ দৈনন্দিন কাজের জন্য যা করে সেটাকে বলে মুয়ামালাত - এটার মূল ভিত্তি হছে এগুলো হালাল যদি না কোনো হারাম এলিমেন্ট পাওয়া না যায়। যেমন ৩০ জুন ব্যাংক হলিডে - এটা হিসাবের সুবিধার জন্য করা হয়। এটাকে কেউ উদযাপন করে না বলে এটার ব্যাপারে ইসলামের কোনো কথা বলার নাই।

কিন্তু পয়লা বৈশাখ মানুষ উদযাপন করে। স্কুল ছুটি থাকে, মানুষ বেড়াতে যায়, ভালোমন্দ খায়। বস্তির বাচ্চারা পর্যন্ত নতুন জামা-কাপড় কেনে। উদযাপন বা উৎসব হিসেবে ঈদে যা হয় - এখানেও তাই হয়। এটা এখন শুরুর হালখাতার হিসাব-নিকাশ পার হয়ে পরিণত হয়েছে উৎসবে।

আমাদের দেশে অনেক মুসলিমই জানেন না যে উৎসব ব্যাপারটা ইবাদাতের অংশ, মুয়ামালাতের নয়।

অর্থাৎ আমরা কোন উৎসব করব আর কোনটা করব না সে ব্যাপারের মূলনীতি হচ্ছে যেটার কথা ওয়াহি অর্থাৎ কুরআন-সুন্নাহতে এসেছে সেটা মানতে হবে, বাকী সব কিছু হারাম- নিষিদ্ধ।

এবং বছরে ঈদ দুটো, সপ্তাহে একটা। এর বাইরে যে নিজেকে মুসলিম বলে দাবী করছে, জেনে-শুনে আল্লাহর ইচ্ছের সামনে নিজেকে সমর্পণ করেছে, সে অন্য কোনো উৎসব উদযাপন করতে পারবে না।

নববর্ষ - না। পয়লা বৈশাখ, নিউ ইয়ার কিংবা পয়লা মুহাররাম - একটাও না।
শবে বরাতের হালুয়া-রুটি, সারা রাত নামায - না। ফাতেহা-ই-ইয়াজদহম - না।
হ্যালোইন, বড়দিন - না।
আমার নিজের জন্মদিন, ম্যারেজ ডে? বার্ষিক উদযাপন হয়ে যাচ্ছে। করা যাবে না।

কেউ যদি বলে, মানি না - তাহলে তার জন্য অপশন দুটো।
হয় তাকে বলতে হবে আমি ইসলাম মানি না, আল্লাহ কী করতে বলেছেন আর কী নিষেধ করেছেন আমি কেয়ার করি না।

অথবা উৎসব নিয়ে ইসলাম কী বলে সত্য সন্ধানী মন নিয়ে খুঁজে দেখতে হবে।

যদি সে সৎ হয়, এবং সত্যি আল্লাহর কাছে সঠিক পথের দিশা চায় - তাহলে তাকে আল্লাহ সঠিক পথ দেখাবেন।

-লিখেছেন শরীফ আবু হায়াত অপু ভাই