আধুনিক আস্ট্রোফিজিক্স ও মহাকাশ বিজ্ঞান গবেষনায় সবচেয়ে অগ্রণী নাম বোধ হয় ড.আলেক্স ফিলিপেংকো ও ড. সেস সশট্যাক । তারা উভয়েই নাস্তিকপন্থি এবং এই ধারণার প্রচারক যে বিশ্বব্রক্ষান্ড সৃষ্টিতে স্রষ্টার কোন ভূমিকা নাই । সাইন্স ম্যাগাজিন ‘স্পেস’ ২০১২ সালের জুন মাসে তাদের বরাদ দিয়ে দাবি করে যে , বিগ ব্যাং শুরু তে স্রষ্টার কোন ভূমিকা ছিলনা (The Big Bang Didn't Need God to Start Universe, Researchers Say):

www(dot)space(dot)com/16281-big-bang-god-intervention-science(dot)html

ড.আলেক্স ফিলিপেংকো ও ড. সেস সশট্যাক SETIcon II তে বক্তব্য রাখার সময় তাদের শ্রোতাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে কিভাবে বিশ্বব্রক্ষান্ড সৃষ্টি হয়েছিল । বক্তব্যের শেষের দিকে তারা কিছু মজার তথ্য দেন যা সংক্ষিপ্তভাবে আলোচনা করা এই পোষ্টের মূল উদ্দেশ্য।
ড. ফিলিপেংকো বলেন –

“The origin of the laws of physics remains a mystery for now, one that we may never be able to solve. The 'divine spark' was whatever produced the laws of physics, and I don't know what produced that divine spark. So let's just leave it at the laws of physics."

তিনি মানতে বাধ্য হয়েছেন ফিজিক্সের নিয়মগুলো কোন স্বর্গীয় ছোয়ায় প্রকৃতির মাঝে জিবন্ত হয়ে উঠেছে – কি সেই 'divine spark' তা তাঁর অজানা আর বড় রহস্যময় ।

ড. সশট্যাক আরো মজার মন্তব্য করেন । বিগ ব্যাং এর শুরুতে যে Quantum fluctuations কার্যকর ছিল বলে তিনি মনে করেন সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন –

“"Quantum mechanical fluctuations can produce the cosmos, If you would just, in this room, just twist time and space the right way, you might create an entirely new universe. It's not clear you could get into that universe, but you would create it. So it could be that this universe is merely the science fair project of a kid in another universe,"”

তাঁর সিমবলিক বক্তব্য এই যে এই মহা বিশ্বের সৃষ্টি অন্য এক মহাবিশ্বের কোন বালকের সায়েন্স প্রজেক্ট ছিল ।

বিংশ শতাব্দীর এই দুই স্বনামধন্য বিজ্ঞানী সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বব্রক্ষান্ড সৃষ্টির সমীকরণ থেকে বাদ দিতে যেয়ে নিজের অজান্তেই স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছেন যে বিশ্বব্রক্ষান্ড সৃষ্টির পেছনে যে ফিজিক্সের রুল কাজ করেছিল তা তাতে কোন এক অদৃশ্য অতি-বুদ্ধিমান স্বত্তার স্পষ্ট হাত ছিল । তারা তাকে ‘GOD’ বলে স্বীকার না করলেও ‘স্বর্গীয় স্পর্শ’ বা ‘ অন্য মহাবিশ্বের এক অতিব বুদ্ধিমান বালক’ বলে পাশ কাটাতে চেয়েছেন ।



পরিশেষে , ঐ একই সায়েন্স ম্যাগাজিন ‘স্পেস’ ঐ একই বিষয়ে ৩ বছর পরে নভেম্বর , ২০১৫ সালে আরেক পাবলিকেশন প্রকাশ করে যার নামকরণ - “What Triggered the Big Bang? It's Complicated (Op-Ed)”

নিচে এই লেখার লিংক দেওয়া হল –

www(dot)space(dot)com/31192-what-triggered-the-big-bang(dot)html


২০১২ সালে স্রষ্টার বিশ্বব্রক্ষান্ড সৃষ্টিতে যে কোন ভূমিকা ছিলনা প্রমান করতে যেয়ে শত না জানা প্রশ্নের সম্মুখীন বিজ্ঞানীদের হতে হয়েছে তা বোধহয় তাদের বোধগম্য হয়েছে । তাই ২০১৫ সালে তারাও বলতে বাধ্য হয়েছে , ‘ It’s Complicated … ‘

কিন্তু একজন আস্তিকের কাছে এটা মোটেও জটিল নয় । কারন তারা জানে মহাবিশ্বের স্বতঃস্বিদ্ধ ‘Cause and Effect ‘ আইন অনুসারে মহাবিশ্ব সৃষ্টির পেছনে অবশ্যি সৃষ্টিকর্তা Cause এর ভুমিকা পালন করেছিলেন যার আজ এই ১৩.৮ বিলিয়ন বছর পুরনো মহাবিশ্ব তাঁর Effect .
১৪০০ বছর আগে কোরআন খুবই সংক্ষিপ্ত ভাবে এই জটিল বিষয়ের সমাধান তুলে ধরেছে যদিও নাস্তিকরা তা মানতে রাজী নয় –

অবিশ্বাসীরা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর একত্রে ছিল , অতঃপর আমি এদেরকে পৃথক করেছি এবং প্রাণবন্ত সবকিছু আমি পানি থেকে সৃষ্টি করলাম। এরপরও কি তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না?” (২১ঃ৩০)

আমি স্বীয় শক্তি বলে বিশ্বব্রক্ষান্ড নির্মাণ করেছি এবং আমি অবশ্যই একে সম্প্রসারণ করে চলেছি ।“ (৫১:৪৭)