বিসমিল্লাহ


***কপি***

ঘটনাটা ঘটেছিলো ইংল্যান্ডের কোনো এক শহরে।

বিশাল মসজিদের এক কোণে চুপচাপ সালাত আদায় করছিলেন জনৈক বাঙালি ভদ্রলোক। শেষ করে বেরুনোর সময় দেখলেন অপরিচিত এক ব্যক্তি তার জন্যে অপেক্ষা করছেন।

তিনি জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকালেন। লোকটা জানালো সে ভীষণ ক্ষুধার্ত। ভদ্রলোক পকেট হাতড়ে বিশ পাউন্ডের একটাই নোট পেলেন। অংকটা তার কাছে বেশ বড়ো। খুচরো কিছু না পেয়ে ভাবলেন কোনো রেস্টুরেন্টে লোকটাকে কিছু খাইয়ে বিলটা দিয়ে দিবেন। কিন্তু ধারেকাছে খুব দামী একটা রেস্টুরেন্ট ছাড়া আর কিছু নাই।

তিনি সেখানে ঢুকতে সাহস পেলেন না। ক্ষুধার্ত লোকটার হাতে নোটটি দিয়ে সেখান থেকে ভাঙতি আনতে বলে পথের ধারে অপেক্ষা করতে লাগলেন।

অনেকক্ষণ পেরিয়ে যাবার পরেও লোকটা এলো না। তিনি কিছুটা বিরক্তি বোধ করলেন। এমনকি তার একবার মনে হলো যে লোকটা বোধহয় নোটটা নিয়ে সটকে পড়েছে।
বেশ কিছুক্ষণ পরে লোকটা লজ্জিত মুখে ফিরে এলো। তিনি ভাবলেন পুরোটাই বোধহয় ঝেড়ে দিয়েছে হতভাগা।

লোকটা ওনার সময় নষ্ট করার জন্য ক্ষমা চাইলো৷ তারপর বললো যে ঐ রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাবারের অনেক দাম আর পকেটের দূরাবস্থার কথা ভেবে রেস্টুরেন্টের মালিককে সব খুলে বলেছে সে। মালিক ভদ্রলোক হাসিমুখে তাকে যেটা ইচ্ছা খেতে বললেন এবং তার থেকে কোনো পয়সা নিলেন না। এসব কারণে এতোটা দেরি হয়েছে বলে জানিয়ে ভদ্রলোকের বিশ পাউন্ড ফেরত দিলো লোকটা।

বাঙালি ভদ্রলোক খুশিমনে ভাবলো নিয়তের সওয়াবও পেলাম, টাকাও খরচ হলো না, লাভের ওপর লাভ।

বাসায় ফিরে ঘটনাটা খুলে বললেন তার স্ত্রীকে।

সব শুনে তার স্ত্রী বললেন, "আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা তোমাকে একটা সুযোগ দিয়েছিলেন, তোমার নিয়তে ভেজাল থাকায় সুযোগটা তোমার থেকে ফেরত নিয়ে রেস্টুরেন্ট মালিককে দিয়েছেন। আর তুমি ভাবছো তোমার খুব লাভ হয়েছে।"

.

ঘটনার বর্ণনা করেছেন আব্দুর রব ভাই।
©