বিসমিল্লাহ

বরযাত্রী খাওয়ানোর বিরুদ্ধে
সবাইকে সচেতন করা এখন সময়ের দাবী।

সাদাকা হোক নাজাতের উসিলা গ্রুপের এডমিন কেয়া আপু প্রতিমাসে পোস্ট দেন বরযাত্রীদের খাওয়ানোর জন্য সাহায্য চেয়ে।
উনি রংপুরের মেয়ে আর পুত্রবধূ। তবে এই কু-প্রথা বাংলাদেশের সব জেলাতেই প্রযোজ্য।

বাবা গ্রামের ভূমিহীন কৃষক বা দিনমজুর হলেও ৫০ থেকে ৭০জন বরযাত্রীকে নানা পদ দিয়ে আপ্যায়ন করতে হয়। কমপক্ষে ৫০ জন বরযাত্রীকে খাওয়ানোর ব্যবস্থা না করলে ছেলেপক্ষ কাবিন করে মেয়েকে ফেলে রাখে বাপের বাড়িতে, তুলে নেয় না।

এমনও হয়, জামাই মাঝে মাঝে বেড়াতে আসে শ্বশুরবাড়িতে । এরপর বউ গর্ভবতী হলে
হুমকি দেয় তালাক দেওয়ার । আর এদিকে আত্মীয়-স্বজন,
পাড়া-প্রতিবেশীরা মেয়ের বাবা-মাকে খোঁটা দেয়- মেয়ে শ্বশুরবাড়িতে গেল না অথচ বাচ্চা হচ্ছে।
তখন বাধ্য হয়েই বাবাকে গরু বা জমি বিক্রি করে বা সুদে ধার নিয়ে ঘটা করে বিয়ের আয়োজন করতে হয়।

কী ভয়াবহ অবস্থা, কী ভয়ানক জুলুম।
অথচ ফেসবুকে পোস্ট থাকে শুধু মোহরানার বিরুদ্ধে।

আমাদের দেশে যৌতুকের জন্য কত মেয়ে নির্যাতিত হচ্ছে , কত মেয়ে মারা যাচ্ছে , কত মেয়ের সংসার ভেঙেছে, কত বাবা সর্বস্বান্ত হয়েছেন- এগুলোর হিসাব আল্লাহ ছাড়া আর কারো কাছে নেই।-

এসব কথা বললেই এক পক্ষ দৌড়ে আসবে বলার জন্য- মেয়েরা কেন মোহরানা বেশি চায়?

আপনি মেয়ের বাবাকে বলুন- বিয়ের অনুষ্ঠানে পাত্রের সাথে চৌদ্দগুষ্টির আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব আসবে
না ।
আমরা চার পাঁচজন মুরুব্বী মসজিদে এসে শরিয়া মোতাবেক বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে মেয়েকে এক কাপড়ে নিয়ে যাব বাড়িতে।
এক টাকাও যৌতুক দিতে হবে না। তাহলে দেখবেন আস্তে আস্তে মোহরানা কমে যাবে স্বাভাবিকভাবেই।

তাছাড়া যৌতুকের সাথে মোহরানার কোন তুলনা হতে পারে না।
যৌতুক হারাম আর মোহরানার কোন সীমা ইসলামে নির্ধারিত করা হয় নি।

আমাদের দেশে বিয়ের সময় লাখ লাখ টাকা অপচয় করা হয় কিন্তু বউকে উপহার অর্থাৎ মোহরানা দেবার সময় পাত্র পক্ষের হাতের মুঠ বন্ধ হয়- এটা অত্যন্ত নিন্দনীয়।-
মোহরানা দেওয়াকে
শাস্তি হিসেবে দেখবেন না দয়া করে।

একটি ঘটকালি পেজে তো প্রতিযোগিতা করে পোস্ট দেওয়া হচ্ছে- কত কম মোহরানায় বিয়ের আয়োজন করা যায়- কখনো ২০ হাজার, কখনো ১৫ হাজার।

কখনো বা মেয়ের বাবা মোহরানার কিছু অংশ পাত্রের পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে দিচ্ছেন - সুবহান আল্লাহ।
অথচ ছেলেপক্ষকে যৌতুক হিসেবে নগদ টাকা, আসবাবপত্র , সাইকেল , মোটর সাইকেল দেওয়া হয়েছে কিনা; বরযাত্রী কতজন ছিল ; তাদেরকে কত পদ দিয়ে আপ্যায়ন করতে হয়েছে- এসব নিয়ে কোনো
কিছুই বলা হয় না।

আলেম আর ইমামদের প্রতি অনুরোধ -
প্রতি সপ্তাহের জুমাবারের খুতবা অথবা ওয়াজে বরযাত্রী যাওয়ার বিরুদ্ধে কিছু বলুন।

ছেলের মা বাবাকে
লোভ সামলাতে বলুন। আদরের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান যেন উনাদেরকে জাহান্নামে নিয়ে না যায়।

এডমিন
ইসলামিক মেট্রিমনি

[email protected]