ফিলিস্তিনি মুসলিমদের কি তবে ফোঁস ফোঁস
করার অধিকারও নেই?
অনেক আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গ্রামে
একটা সাপ সবাইকে তাড়া করে বেড়াতো। সুযোগ
পেলেই
কামড় দিত।
গ্রামবাসী এই বিপদ থেকে বাঁচতে একজন দরবেশের সাহায্য চাইলো। উনি সাপকে নসীহত করলেন । বুঝিয়ে বললেন, এসব অন্যায় আর করবে না।
কিছুদিন পর দরবেশ দেখলেন রাস্তার একপাশে সাপটা নিস্তেজ হয়ে আছে।
গায়ে আঘাতের চিহ্ন। উনি
অবাক হয়ে জানতে চাইলেন, তোমার কী হয়েছে?
সাপ বললো , বাচ্চারা যখন-তখন এসে আমাকে ঢিল মারে।
আপনি আমাকে মানা করেছেন বলে আমি কাউকে কিছু বলি না।
দরবেশ বিরক্ত হয়ে বললেন, আমি তো তোমাকে ফোঁস ফোঁস করতে মানা করি নি।
এই গল্পের সারমর্ম হলো: জুলুম করা যাবে না, আবার নীরবে জুলুম সহ্য করাও অন্যায়।
অন্যায় চলতে থাকলে
অন্তত ফোঁস ফোঁস করে প্রতিবাদ করতে হবে।
প্রতিবাদের মুখোমুখি না হলে জালিমের দু:সাহস আর অত্যাচার বাড়বে ।
যার সাথে অন্যায় করা হচ্ছে সে মুখ বুঝে সব সহ্য করবে - এটা বুঝতে পারলে স্বাভাবিকভাবেই জুলুমের মাত্রা বাড়তে থাকবে।
হামাস কেন ইসরাইলে আক্রমণ করলো, এটার বিপক্ষে অনেকেই কথা বলছেন।
যেখানে সারা বিশ্ব থেকে লক্ষ লক্ষ অমুসলিম বলছেন - এটা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে হামাসের
প্রতিবাদ; সেখানে কিভাবে মুসলিমরা ইসরাইলের পক্ষে বক্তব্য রাখছেন?
আমার মাথায় এটা ঢুকছে না।
আমি আপনার জমি, বাসা দখল করলাম ।
পরিবারের অনেককে হত্যা করে আপনাকে বাড়ি থেকে বের করে দিলাম।
আপনি রাগে, দুঃখে আমাকে একটা ঢিল মারলেন।
আমি বললাম ,আমার তো আত্মরক্ষার অধিকার আছে ।
এই বলে আপনার উপর মারণাস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করলাম। আপনার বাচ্চা আমার অস্ত্রের আঘাতে মুমূর্ষ অবস্থায় কাতরাচ্ছে।
আপনি আপনার আহত বাচ্চাকে নিয়ে যখন হাসপাতালে গেলেন, দেখলেন সেখানে বিদ্যুৎ নেই।
তাই অপারেশন সম্ভব না।
আপনার বৃদ্ধ মা বা গর্ভবতী স্ত্রী এক গ্লাস পানি খেতে
চাইলে আপনি দিতে পারছেন না ।- কোথাও খাবার উপযুক্ত পানি নেই।
আমি আপনার এলাকায় পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছি।
আপনি এখন কার কাছে বিচার চাইবেন ?
আশেপাশের এলাকার ক্ষমতাবান যার কাছেই যান , তারা বলছে ওনার তো আত্মরক্ষার অধিকার আছে।
আপনি ভেবে পান না একজন ভূমিদস্যুর , একজন দখলদারের কিভাবে এত অধিকার , এত সমর্থন থাকতে পারে?
আর আপনার প্রতিবাদ করার অধিকারটুকু পর্যন্ত নেই ?
তোমরাই সর্বোত্তম উন্মত ; মানবজাতির ( সর্বাত্মক কল্যাণের ) জন্য তোমাদের আবির্ভূত করা হয়েছে ; তোমরা সৎ কাজের আদেশ দাও এবং অসৎ কাজ হতে নিষেধ কর এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান রক্ষা করে চল ( সূরা ইমরান,৩:১১০) ।
Hey there! Looks like you're enjoying the discussion, but you're not signed up for an account.
When you create an account, we remember exactly what you've read, so you always come right back where you left off. You also get notifications, here and via email, whenever new posts are made. And you can like posts and share your thoughts.
Sign Up
Bookmarks