কেন আমরা ইসলাম কবুল করলাম ? টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাস ও মার্কিনীদের ইসলাম গ্রহণ :
১১ই সেপ্টেম্বর ২০০১ এর পরে অনেকেই ভেবেছিল মার্কিন মুল্লুক থেকে ইসলাম চিরতরে বিদায় নেবে। কিন্ত্ত কী আশ্চর্য । আমেরিকানরা বরং আরো বেশী করে ইসলাম নিয়ে পড়াশোনা করছে । শুধু তাই নয় , এই সন্ত্রাসী ঘটনায় তেমন কোন জোরালো প্রমাণ ছাড়াই মুসলমানদের দায়ী করা হলেও দেখা যাচ্ছে , মানুষ ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে ।
৯ /১১ এর পরে হাজারো আমেরিকান ইসলাম গ্রহণ করেছেন । টুইন টাওয়ার ধ্বংসের পর অনেক মসজিদেই মানুষের আগমণ প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে । কৌতুহলী হয়ে তারা এসেছে । এদের অনেকেই এখন মুসলমান । বিশেষ করে হিস্পানিক বংশোদ্ভূত অনেকেই মুসলমান হচ্ছে। ইংরেজী ও স্প্যানিশ ভাষায় অনূদিত কুরআনের কপির চাহিদা অনেক বেড়ে গিয়েছে। মসজিদ কর্তৃপক্ষ হিমসিম খাচ্ছে এই চাহিদা মেটাতে গিয়ে ।
২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বরের পর কোন কোন মসজিদে দ্বিগুণ , কোথাও চার গুণ বেড়েছে ধর্মান্তরিতের সংখ্যা। একজন বিশেষজ্ঞদের ধারণা , আমেরিকায় বছরে ২৫ হাজার মানুষ ইসলাম গ্রহণ করছে । পশ্চিমা নও -মুসলিমেরা বলেছেন , জীবনযাত্রা বদলাতে তাদের তেমন কোন কষ্ট হয় নি । তবে পরিবারের অসহযোগিতা , বন্ধুদের সঙ্গ ত্যাগ , বিশেষ করে হিজাবের কারনে বৈষম্য , সবার অদ্ভুত চোখে তাকানো - এসবই সবচেয়ে কঠিন মানিয়ে নেয়ার জন্য। ব্রিটিশ ও মার্কিন নারীদের ইসলাম গ্রহণ : এই আধুনিক জীবনে মেয়েদেরকে এখন অতি-মানবী হতে হয়। তাদেরকে দেখতে অবশ্যই সুন্দরী ও স্মার্ট এবং কাজে পুরষদের সমান দক্ষ হতে হবে । কখনো বা পুরুষদের থেকে বেশী যোগ্যতা প্রমাণ করতে হয়। আবার ঘরে ফিরে তাকে আদর্শ মা ও স্ত্রী হতে হয়।এভাবে পশ্চিমা সভ্যতা স্বাধীনতার নামে মেয়েদের উপর এক কঠিন ভারী বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে । দি টাইমস , লন্ডন ( ৯ নভেম্বর ১৯৯৩ ) গণমাধ্যমের বিদ্বেষপূর্ণ অপপ্রচারের পরেও ব্রিটিশ নারীরা মুসলমান হচ্ছে । এর কারণ কী ? আগামী বিশ বছরের মধ্যে নও - মুসলিমের সংখ্যা অভিবাসী মুসলমানের সমান বা বেশী হবে । শুধু ব্রিটেনে নয় বরং আমেরিকাতেও নও - মুসলিমের সংখ্যা বাড়ছে । ৩০-৫০ বছরের মানুষেরা বেশী করে ইসলাম কবুল করছেন ( সূত্র : Liecester Islamic Foundation ) তবে কিশোর –কিশোরী , তরুণ- তরুণীরাও মুসলমান হচ্ছে ।
১. টুইন টাওয়ারে হামলায় যিনি পরিবারের আট সদস্যকে হারিয়েছেন , সেই ইয়াহুদী মার্কিন নারী সাফিয়া এখন মুসলমান : ৯/১১ এর সন্ত্রাসী ঘটনায় এই মার্কিন নারী হারিয়েছেন পরিবারের আটজন সদস্যকে । তারপরও তিনি ইসলামকে কখনো এজন্য দোষ দেন নি। মরক্কোতে বেড়াতে গিয়ে এক মসজিদে যান , সেখানে গিয়ে তার খুব শান্তি লাগে । তিনি ইসলাম নিয়ে পড়াশোনা করলেন এবং একসময় ইসলাম কবুল করলেন । তার মেয়ে রাগ করে মায়ের সাথে আর কথা বলে না ।
Last edited by Muslim Woman; 11-25-2015 at 03:53 PM.
Christ will never be proud to reject to be a slave to God .....holy Quran, chapter Women , 4: 172
৪ জানুয়ারি ২০১১ সালে বিবিসির একটি অনুষ্ঠান ‘Converting to Islam - the white Britons becoming Muslims’ অনেককেই চমকে দেয় । এতে বলা হয় হাজার হাজার শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশ ইসলাম গ্রহণ করছেন । বর্তমানে ব্রিটেনে ১০০,০০০ নও-মুসলিমের বাস ।
লন্ডনের বিখ্যাত রিজেন্ট পার্ক মসজিদে জুমার নামাজে অনেক শ্বেতাঙ্গকে মুসল্লীদের ভীড়ে দেখা যায়। শনিবার ছুটির দিনে অনেকেই বিশেষ করে নারীরা আসেন মুসলমান হওয়ার জন্য । ব্রিটেনের ২৫০ টির বেশী মসজিদগুলিতে জরীপ চালিয়ে ও আদম শুমারির তালিকা যাচাইসহ আরো নানাভাবে গবেষণা করে আকর্ষণীয় এসব তথ্য সম্প্রতি ইন্টারনেটে প্রকাশ করা হয় । ‘ফেইথ মেটারস ‘ সংস্থার পক্ষ সোয়ানসি বিশ্ববিদ্যালয় এই গবেষণা চালায় ।
এতে বলা হয় , শুধু ২০১০ সালেই ব্রিটেনে ৫,২০০ নারী –পুরুষ ইসলাম কবুল করেছেন । বর্তমানে ব্রিটেনে ১০০,০০০নও-মুসলিমেরবাস। গত দশ বছরে যারা ইসলাম গ্রহণ করেছেন , তাদের তিন ভাগের দুই ভাগই হলো নারী । কী আশ্চর্য , ইসলামকে নারী বিরোধী ধর্ম বলে বছরের পর বছর বিভিন্ন গণমাধ্যমে অপপ্রচার চালানোর পরেও বিশ্ববাসী দেখছে নারীরাই বেশী করে মুসলমান হচ্ছেন – সব প্রশংসা আল্লাহর ।
গবেষকরা এই হাজারো নও –মুসলিমদের মধ্যে ১২০ জন মূলত শ্বেতাঙ্গ নারীর সাথে কথা বলেন । এদের একজন আয়শা যিনি দুই বছর আগে মুসলমান হন । আগে তার নাম ছিল লরা । ইসলাম গ্রহণের পরে পরিবার থেকে তিনি বিদ্বেষমূলক আচরণের শিকার হন ।
আগে তিনি জিনস পরে , একগাদা মেক –আপ করে বিদ্রোহী নারীর মত ঘুরে বেড়াতেন । এখন তিনি কালো জিলবা ( বোরখা ) ও ক্রিম রংয়ের হিজাব পরেন ও পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করেন। আয়শা বলেন , এটা অবশ্যই একটা নাটকীয় পরিবর্তন , তবে আমি খুশী যে আমি নিজেকে বদলাতে পেরেছি । এখন অন্য মানুষের কাছে আমার কোন কিছু প্রমাণ করতে হয় না ।
স্কুলে পড়ার সময় তিনি ইসলাম নিয়ে কিছু পড়াশোনা করেন , এরপর আরো জানতে স্থানীয় একটি মসজিদে যান । ইসলাম সম্পর্কে জানার আগ্রহ তার আরো বাড়ে ও একসময় তিনি সিদ্ধান্ত নেন এই ধর্ম গ্রহন করার । আয়শা বলেন , আগে আমি সবসময় অশান্তি করতাম , মুসলমান হওয়ার পরে আমার খুব ভাল লাগলো , আমি শান্ত হলাম । অনলাইনে ধর্ম নিয়ে আরো পড়াশোনা করলাম , আমি এখন সুখী ।
Hey there! Looks like you're enjoying the discussion, but you're not signed up for an account.
When you create an account, we remember exactly what you've read, so you always come right back where you left off. You also get notifications, here and via email, whenever new posts are made. And you can like posts and share your thoughts.
Sign Up
Bookmarks