/* */

PDA

View Full Version : রুকইয়াহ আশ-শারইয়্যাহ



Muslim Woman
11-10-2017, 07:47 AM
:sl:



রুকইয়াহ আশ-শারইয়্যাহ (ডাউনলোড)






- December 31, 2017

সর্বশেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর, ২০১৭
নেভিগেশন: [বিষয়ভিত্তিক রুকইয়া] [ক্বারিদের সাধারণ রুকইয়া] [রুকইয়া শারইয়া পিডিএফ]

বিষয়ভিত্তিক রুকইয়াহ

১। বদনজর (Evil Eye)
সাইজ: ১০এমবি (৫৫মিনিট)
ডাউনলোড: http://bit.ly/2dSVe63
বিকল্প লিংক: https://goo.gl/sW2sSq

২। যাদু এবং বান (Sihr & Mass)
সাইজ: ১৪এমবি (১ঘন্টা ১৬মিনিট)
ডাউনলোড: http://bit.ly/2djcpK0
বিকল্প লিংক: https://goo.gl/YraRJM

৩। আযাব এবং জাহান্নাম সংক্রান্ত আয়াত (Harq)
সাইজ: ১৩এমবি (৪৬ মিনিট)
ডাউনলোড: http://bit.ly/2vFYBmL
বিকল্প লিংক: https://goo.gl/jY7tnx

৪। আযাব এবং জাহান্নাম সংক্রান্ত আয়াত (Harq-long)
সাইজ: ১৪এমবি (১ঘণ্টা ৩৭মিনিট)
ডাউনলোড: http://bit.ly/2gqqVHk
বিকল্প লিংক: https://goo.gl/J2uJdT

৫। আয়াতুল কুরসি
সাইজ: ৭এমবি (৩০ মিনিট)
ডাউনলোড: http://bit.ly/2tor7aM
বিকল্প লিংক: https://goo.gl/3f3NhR

৬। সুরা ইয়াসিন, সফফাত, দুখান, জ্বিন... (8 surah)
সাইজ: ১২এমবি (৫১ মিনিট)
ডাউনলোড: http://bit.ly/2pwENzj
বিকল্প লিংক: https://goo.gl/SJpKDz

৭। সুরা ইখলাস, ফালাক, নাস (3kul)
সাইজ: ৭এমবি (৩০ মিনিট)
ডাউনলোড: http://bit.ly/2oYQp0f
বিকল্প লিংক: https://goo.gl/hYafp5

৮। রুকইয়া - দু'আ
সাইজ: ৪এমবি (১০ মিনিট)
ডাউনলোড: http://bit.ly/2qUYP7K
বিকল্প লিংক: https://goo.gl/5Ftb5J

বিভিন্ন ক্বারিদের সাধারণ রুকইয়াহ

৯। শাইখ আস-সুদাইস
সাইজ: ৭এমবি (৪৪ মিনিট)
ডাউনলোড: http://bit.ly/2ehZRnh
বিকল্প লিংক: https://goo.gl/b9Niax

১০। শাইখ হুজাইফি
সাইজ: ৯এমবি (১ঘন্টা ২০মিনিট)
ডাউনলোড: http://bit.ly/2tBR7zQ
বিকল্প লিংক: https://goo.gl/G2btUK

১১। শাইখ মুহাইসিনী
সাইজ: ৮এমবি (৪৫মিনিট)
ডাউনলোড: http://bit.ly/2egbOv2
বিকল্প লিংক: https://goo.gl/tF1trw

১২। সা'দ আল-গামিদী
সাইজ: ১৩এমবি (৩২মিনিট)
ডাউনলোড: http://bit.ly/2dka32n
বিকল্প লিংক: https://goo.gl/bhsYRs

১৩। সা'দ আল-গামিদী (long)
সাইজ: ১৫এমবি (১ঘন্টা ৫মিনিট)
ডাউনলোড: http://bit.ly/2dSSwwh
বিকল্প লিংক: https://goo.gl/cGqzma

১৪। সিদ্দিক আল মিনশাবী
সাইজ: ১৪এমবি (৫৯মিনিট)
ডাউনলোড: http://bit.ly/2psJsSd
বিকল্প লিংক: https://goo.gl/UXReTs

১৫। মিশারী রাশেদ আল-আফাসী
সাইজ: ৯এমবি (১ঘন্টা ১৪মিনিট)
ডাউনলোড: http://bit.ly/2eEOyd8
বিকল্প লিংক: https://goo.gl/KWq9un

১৬। আহমাদ আল-আজমি
সাইজ: ১৪এমবি (১ঘন্টা ১৮মিনিট)
ডাউনলোড: http://bit.ly/2y1DwnE
বিকল্প লিংক: https://goo.gl/nhLK8p

১৭। শাইখ লুহাইদান
সাইজ: ৮এমবি (৪৪মিনিট)
ডাউনলোড: http://bit.ly/2x2o7Ec
বিকল্প লিংক: https://goo.gl/tjYmXE

১৮। মুফতি জুনাইদের সিডি থেকে
সাইজ: ১১এমবি (২৩মিনিট)
ডাউনলোড: http://bit.ly/2k4zqFm
বিকল্প লিংক: https://goo.gl/iKEW1R

১৯। (short-ruqyah) মাজিদ আয-জামিল
সাইজ: ৫এমবি (১৭ মিনিট)
ডাউনলোড: http://bit.ly/2wTqn3F
বিকল্প লিংক: https://goo.gl/uFM56p

২০। (short-ruqyah) মুহাম্মাদ আল-হাশিমী
সাইজ: ৪এমবি (১০মিনিট)
ডাউনলোড: http://bit.ly/2vKt7Lu
বিকল্প লিংক: https://goo.gl/FnaUWD

২১। ধমকের সুরে তিলাওয়াত (WithForce)
সাইজ: ১৫এমবি (৩৯মিনিট)
ডাউনলোড: http://bit.ly/2lO2wgZ
বিকল্প লিংক: https://goo.gl/iAFaF2

রুকইয়াহ বিষয়ক পিডিএফ

[B][B][B][B][B][B][B][B][B][B][B][B][B][B][B][B][B][B][B][B][B][B][B][B] [B]২২। সারসংক্ষেপ রুকইয়াহ শারইয়্যাহ - পিডিএফ
সাইজ- ২৭০ কেবি
ডাউনলোড: http://bit.ly/2sLhJlq
বিকল্প: https://goo.gl/Wbp75q

[B]২৩। আয়াতে রুকইয়াহ - পিডিএফ
Reply

Login/Register to hide ads. Scroll down for more posts
Muslim Woman
11-29-2017, 05:27 AM
:sl:


যাদের বিয়ে হচ্ছে না এবং মনে করছেন যে কেউ আপনাদের ক্ষতি করার জন্য যাদু/বান/তাবিজ করেছে, তারা একটু এদিকে আসেন। এই পোস্টটা ভাল করে পড়ুন।
------------------
[ক]
কাউকে বিয়ে ভাঙা বা আটকে রাখার জন্য বান মারলে / তাবিজ করলে / যাদু করলে সাধারণত এমন দেখা যায় প্রস্তাব আসে, সবকিছু পারফেক্ট থাকলেও পছন্দ হয়না। সব ঠিকঠাক থাকার পরও হয়তো ছেলে বেঁকে বসে, নয়তো মেয়ে। কোনোনা কোনোভাবে বিয়ে ভেঙে যায়। মেয়েদের ক্ষেত্রে দেখা যায় অনেক গুণধর হওয়া সত্ত্বেও কোনো প্রস্তাব আসে না। কেউ প্রস্তাব দিলে পছন্দ হওয়ার বদলে উল্টা খারাপ লাগতে লাগে।
আমার এক রিলেটিভের এই সমস্যা ছিল, ওর বিয়ের আলোচনা উঠলেই সপ্তাহ-খানেকের জন্য অসুস্থ হয়ে যেত! এপিক!!
এই যাদুতে আক্রান্ত হলে সচরাচর কিছু লক্ষণ দেখা যায়-
১. মাথা ব্যথা। ঔষধ খেয়েও তেমন ফায়দা হয়না।
২. প্রায়সময়ই মানসিক অশান্তিতে থাকা, থাকা। মাঝেমধ্যেই বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত খুব অস্বস্তিতে ভুগা।
৩. ঘুমের মধ্যে শান্তি না পাওয়া, ঠিকমত ঘুমোতে না পারা, আবার ঘুম থেকে উঠার পর অনেকক্ষণ কষ্ট হওয়া।
৪. মাঝেমধ্যেই পেট ব্যথা করা।
৫. ব্যাকপেইন। বিশেষত: মেরুদণ্ডের নিচের দিকে ব্যথা করা।
.
লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, অনেকের ওপর বিয়ের আটকে রাখার জন্য যাদু করতে জ্বিনের সাহায্য নেয়া হয়। এজন্য কারো-কারো এই যাদু সংক্রান্ত সমস্যার সাথে সাথে জ্বিন রিলেটেড সমস্যাগুলোও দেখা যায়। দুঃখজনক হলেও সত্য, এই শয়তানী যাদুর প্রচলন আমাদের দেশে খুব বেশি। আল্লাহ হিফাজত করুন।
আমরা প্রথমে লাইভ রুকইয়ার পদ্ধতি আলোচনা করে, তারপর সেলফ রুকইয়ার নিয়ম আলোচনা করবো। আপনি যদি নিজেই নিজের জন্য রুকইয়া করতে চান, তাহলে সোজা [গ] অনুচ্ছেদে চলে যান!
.
[খ]
বিয়ে সমস্যার জন্য সেলফ রুকইয়া:
১. বিয়ে সমস্যার জন্য নিজে নিজে রুকইয়া করতে চাইলে প্রথমে মানসিক প্রস্তুতি নিন। এটা পাক্কা ইরাদা করে নিন সমস্যার একটা বিহিত করেই ক্ষান্ত হবো। নিজে নিজে রুকইয়া করলে অনেককে কয়েকদিন পরেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে দেখা যায়। এজন্য রুকইয়া করার ক’দিন মানসিক সাপোর্ট দেয়ার মত একজন থাকলে খুব ভালো হয়।
২. খুব ভালোভাবে পাক-পবিত্র হয়ে দুই রাকাত নামাজ পড়ুন, সবচেয়ে উত্তম হল তাহাজ্জুদের সময়। নইলে অন্য যেকোনো জায়েজ ওয়াক্তে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ুন। এরপর দু’হাত তুলে আল্লাহর কাছে আপনার সমস্যা থেকে 'পরিত্রাণের' জন্য এবং সুস্থতার জন্য দু'আ করে ইস্তিগফার দরুদ শরিফ পড়ে ট্রিটমেন্ট শুরু করুন। হাতের কাছে এক বোতল পানি নিয়ে বসুন। প্রথমদিন শাইখ সুদাইস বা শাইখ লুহাইদানের রুকইয়া কয়েকবার শুনে নিশ্চিত হয়ে নিন। সমস্যা থাকলে অবশ্যই বুঝতে পারবেন, যেমন: অনেক ঘুম ধরবে, মাথাব্যথা করতে পারে, তলপেটে ব্যথা করতে পারে, হাতপা ব্যথা করতে পারে, শরীরের ভেতর ছটফট করতে পারে, অকারণে কান্না আসতে পারে। এছাড়াও রুকইয়া শুনতে গিয়ে বমি বমি লাগতে পারে, বমি হয়ে গেলে ভালো, হয়তোবা সাথে যাদুর জিনিশ বের হয়ে যাবে। সাধারণত যাদের রুকইয়া শুনে বমি হয়ে যায়, তাঁরা সহজেই সুস্থ হয়ে যান।
৩. রুকইয়া শোনার পর পানির বোতলটি নিন, নিয়ে "সুরা আ'রাফ ১১৭-১২২, ইউনুস ৮১-৮২, সুরা ত্বহা ৬৯" এই আয়াতগুলো পড়ে পানিতে ফুঁ দিন, এরপর সুরা ইখলাস, ফালাক, নাস তিনবার করে পড়ে ফুঁ দিন। কিছু পানি এখনি খেয়ে নিন, বাকিটা রেখে দিন। এবং নিচের প্রেসক্রিপশন ফলো করুন।
.
[গ]
প্রেসক্রিপশন:
১. এই পানি ৩দিন বা ৭দিন দুইবেলা করে খেতে হবে। আর প্রতিদিন গোসলের পানিতে কিছু পানি মিশিয়ে গোসল করতে হবে। আর রুকইয়ার ওঁই পানি যদি শেষ হয়ে যায়, তাহলে আবার এক বোতল পানি নিয়ে শুদ্ধ করে কোরআন পড়তে পারে; এরকম কেউ আয়াতগুলো পড়ে ফুঁ দিলেই হবে। এজন্য প্রফেশনাল কারো দরকার নেই, তবে বরকতের জন্য কোনো মুরব্বি অথবা আলেমকে অনুরোধ করতে পারেন, সেটা ভিন্ন বিষয়। যার সমস্যা সে নিজে পড়তে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়।
২. দুই থেকে চার সপ্তাহ প্রতিদিন ২ ঘণ্টা করে রুকইয়া শুনতে হবে। আয়াতুল কুরসি'র রুকইয়া ১ঘন্টা সুরা ইখলাস, ফালাক্ব, নাস-এর রুকইয়া ১ঘন্টা। কোনো দিন খুব ব্যস্ত থাকলে আধাঘণ্টা করে হলেও শুনবেন। বাদ দিবেন না। (ডাউনলোড লিংক http://bit.ly/ruqyahdownload)
৩. রুকইয়া ভালোভাবে কাজ করার জন্য নামাজ-কালাম ঠিকঠাক পড়তে হবে। ফরজ ইবাদাতে যেন ত্রুটি না হয়। (মেয়েদের পর্দা করা ফরজ)
৪. সকাল সন্ধ্যার মাসনুন দোয়া, এবং ৩ ক্বুল (সুরা ইখলাস, ফালাক, নাস)এর আমল ঠিকঠাক করবেন।
৫. ঘুমের আগে আয়াতুল কুরসি পড়ে ঘুমাবেন। আর তিনবার ৩ ক্বুল পড়ে হাতে ফুঁ দিয়ে পুরো শরীরে হাত বুলিয়ে নিবেন।
.
রিমাইন্ডার: ৩-৭দিন রুকইয়ার পানি খেতে হবে এবং গোসল করতে হবে। আর ২ থেকে ৪ সপ্তাহ প্রতিদিন রুকইয়া শুনতে হবে।
.
[ঘ]
মন্তব্য:
১। কয়দিন মেয়াদি রুকইয়া করবেন এটা প্রথমেই ঠিক করে নিন। অর্থাৎ ৩দিন না ৭দিন পানি খাবেন আর গোসল করবেন, কতদিন রুকইয়া শুনবেন ২ সপ্তাহ, ৩ সপ্তাহ নাকি ১মাস এগুলোও শুরুতেই ঠিক করে নিন। প্রতি সপ্তাহ শেষে যে আপনাকে সাপোর্ট দিচ্ছে তাঁরসাথে আপনার অবস্থা পর্যালোচনা করুন।
২। উপরের নিয়ম অনুযায়ী একবার ২সপ্তাহ বা একমাসের রুকইয়া শেষে আল্লাহ না করুক যদি বুঝেন সমস্যা এখনো যায়নি, তবে আবার শুরু থেকে রুকইয়া করবেন। অনেকে ওপর একাধিক যাদু করে, তখন একটা একটা করে চিকিৎসা করতে হবে।
৩। খেয়াল রাখবেন, বিয়ের জন্য রুকইয়া করতে গেলে অধিকাংশেরই প্রথম প্রথম বেশ কষ্ট হয়, কখনো সমস্যা বেড়ে যায়, তবে ধৈর্য ধরে চিকিৎসা করে যেতে হবে, ইনশাআল্লাহ আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে যাবে।
৪. বেশীরভাগ ক্ষেত্রে প্রথম সপ্তাহেই উন্নতি টের পাওয়া যায়, তবে এরপরেও সপ্তাহখানেক আধঘণ্টা-একঘণ্টা করে হলেও রুকইয়া শুনে যাওয়া উচিৎ। তাহলে ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবে।
৫. আর যাদুর কারণে যদি শারীরিক কোনো সমস্যা তথা অসুখ-বিসুখ হয়, যা ভালো হচ্ছিলো না। এসবের জন্য রুকইয়ার পাশাপাশি ডাক্তারের চিকিৎসা করালে ঠিক হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

https://www.facebook.com/groups/ruqy...2159285971393/
Reply

Muslim Woman
12-07-2017, 03:42 AM
:sl:





মানুষ কতটা জালেম হতে পারে নিচের ছবিটি তার একটা নমুনা । যা অতীতের আবু লাহাব বা নমরুদ কেও হার মানায় । এই সিং মাছ গুলো সহজে মারা যায় না । তাই কালো যাদু করার জন্য দুই জন মানুষ এর নামে এই ধরণের কুফরী তাবিজ করা হয়। তার পরে সিং মাছ গুলোকে কাদা পানিতে ছেড়ে দেয়া হয় ।


photophp?fbid1948469535193239&ampsetgm746834578837197&amptype3&ampifg1 -




কয়েকমাসের মধ্যে মাছ গুলো আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে যাবে সেই সাথে victim ও দুর্বল বা অসুস্থ হয়ে যাবে । সেই সাথে আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হবে ।এবং রোগা হতে হতে ধীরে ধীরে ক্ষতির দিকে যাবে,এমনকি মারাও যেতে পারে।
সাধারণত এই মাছের মধ্যে তাবিজ বেঁধে জিনের সাহায্যে কঠিন #কালোযাদু করা হয় ।
আল্লাহ যেন আমাদেরকে বান যাদু টোনা কুফরী কালাম থেকে হেফাজত করুন ।

সংগৃহিত
View previous comments


নন্দিত নন্দিনী নন্দিনী আমার খালা'র একটা বয়ের প্রস্তাব আসলে কিছুটা নেগলেক্ট করেছিল খালা(তখন ১৬/১৭ বয়স)... তার পর আর জুড়ি মেলে নাই।বছর দশেক আগে সেই পাত্রের মা মারা যাবা সময় বলে গেছে--আমি দুইটা শিং মাছের গায়ে পড়া সুইঁ ফুটিয়ে ছেড়ে দিয়েছি।মাছ দুইটা একত্রে না হলে অমুকের বিয়ের জুড়ি মিলবে না।মেয়েটার অনেক ক্ষতি হয়েছে।কেউ পারলে যেন ব্যবস্থা নেয়...!বিশ্বাস-অবিশ্বাস এর দোলায় আমার খালার বয়স প্রায় ৫০..!...

আজ চাক্ষুষ জানলাম!

https://www.facebook.com/groups/ruqyahbd/?fref=nf
Reply

Muslim Woman
12-16-2017, 04:24 AM
:sl:


আপনি কি প্রস্তুত?
---------
গত কিছুদিন গ্রুপের সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষন করে আমি একটা সিদ্ধান্তে পৌছাইছি। আল্লাহর ইচ্ছায় আজ যদি আমার কিছু হয়ে যায়, তবে এই গ্রুপ, এই তাহরিক আরও কয়েকবছর চালিয়ে নেয়ার মত কাউকে পাওয়া যাবে না। আমি জানিনা এভাবে মাইকিং করে ছাত্র খুঁজে পাওয়া সম্ভব কি না। কিন্তু আমার মনে হয়, এবিষয়ে আমার ধারনা যতই সামান্য হোক, সেটার কয়েকজন যোগ্য উত্তরাধিকারী রেখে যাওয়া উচিত।

তিনজন মেয়ে এবং তিনজন ছেলে দরকার। যাদেরকে আমি যথাসাধ্য শিখাতে চেষ্টা করব। যারা এটাকে দুনিয়া কামানোর জন্য ব্যবহার করবে না, আর সুনাম অর্জনের হাতিয়ার হিসেবেও না। আমাদের দেশে এই বিষয়ে খিদমাতের গুরুত্বের যারা বুঝবে। এবং এটাকে এন্টারটেইনমেন্ট বা ফ্যান্টাসি হিসেবে না নিয়ে, ইবাদাত মনে করবে।
আছেন কি কেউ?

.
ক্রাইটেরিয়া:
১. বিপরীত লিঙ্গের ব্যাপারে নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারা।
২. নিজের সাধ্যমত গুনাহ থেকে বাঁচতে চেষ্টা করা।
৩. নিজে, নিজের পরিবার অথবা নিকটাত্মীয় কেউ এই সমস্যাগুলো নিয়ে ভুগেছে, এরকম হওয়া।
৪. মোবাইল, ডিকশনারি, ইন্টারনেট সম্পর্কে প্রথমিক ধারণা থাকা।
৫. ইংলিশ লেখা এবং লেকচার মোটামুটি বুঝতে পারা। (ডিকশনারি / সাবটাইটেলের সহায়তা নিয়ে হলেও)
৬. বাংলা লেখার হাত ভালো হওয়া, কিংবা খুব ভালো না হলেও লেখার ব্যাপারে আগ্রহ থাকা।
৭. এবিষয়ে অধ্যায়ন করার জন্য সপ্তাহে অন্তত ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা সময় দিতে পারা।
৮. যেকোন কিছু না বুঝলে, না জানলে অন্যের সহায়তা নিতে সংকোচবোধ না করা। “আমি জানি না” এটা স্বীকার করার সৎ সাহস রাখা।
৯. যতটুকু জানবেন, সেটা নিয়ে কাজ করার হিম্মত রাখা। তবে কোন বিষয় নিশ্চিত না হয়ে প্রচার না করা, বরং জিজ্ঞেস করে নেয়া। সবর করা।
১০. কোরআন পড়তে পারা।
-------
(আপনি নিজেকে উপযুক্ত মনে করলে আমার ইনবক্স আপনার জন্য খোলা রয়েছে)
আমি আবার বলছি ৩জন মেয়ে, ৩জন ছেলে। অর্থাৎ মাত্র ৬জন দরকার। তবে আমার মনে হয় না, এডমিন এবং মেম্বার মিলিয়ে এই গ্রুপে ২৮হাজার জনের মাঝে ৬জন যোগ্য আগ্রহী পাব।
আছেন কি কেউ?
যিনি এই বিষয়ে খিদমাতে আমাকে ছাড়িয়ে যাবেন?
যিনি আল্লাহর কালামের মর্যাদা মানুষের অন্তরে প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করবেন?
যিনি উদীয়মান অন্ধকারের মাঝে একটি মোমবাতি নিয়ে পথের ধারে দাঁড়িয়ে থাকবেন?
কেউ কি আছেন?

https://www.facebook.com/thealmahmud...14927338694588

Reply

Welcome, Guest!
Hey there! Looks like you're enjoying the discussion, but you're not signed up for an account.

When you create an account, you can participate in the discussions and share your thoughts. You also get notifications, here and via email, whenever new posts are made. And you can like posts and make new friends.
Sign Up
Muslim Woman
12-17-2017, 07:28 AM
:sl:


রুকইয়াহ অডিও
---------
[ক]
সবার পরিচিত এবং খুব চমৎকার একটা জিনিশ। তবে নতুন করে আবার পরিচয় হওয়া যাক।
রুকইয়াহ মূলত কি? ঝাড়ফুঁক তাইনা? রুকইয়ার অডিও হচ্ছে, সেটার রেকর্ডিং। ব্যাপারটা এমন না যে শুধু আমরা মুসলিমরাই কোরআনের আয়াত বা দোয়া সম্বলিত দিয়ে রুকইয়ার অডিও শুনি। বরং অন্যান্য ধর্মের লোকেরাও এক্সোর্সিজমের অডিও ব্যবহার করে। বিখ্যাত একটি কমিকসের মূল চরিত্র থাকে খ্রিষ্টান এক্সোর্সিস্ট – ডেমোনোলিস্ট ব্লা-ব্লা-ব্লা.. সে একবার একটা জিন দ্বারা আক্রান্ত হয়। তখন একটা ক্যাসেট দিয়ে বলে- “এখানে ৫০টি ভাষায় এক্সোর্সিজম আছে” তবে জিন পজেশন তো? শেষমেশ সরাসরি রুকইয়া করেই বিদায় হয়!
এতো গেল খ্রিষ্টানদের গল্প, অনেকে ইউটিউব থেকে রুকইয়াহ শোনেন। ইউটিউবে বহু কিসিমের রুকইয়াহ আছে, মুসলমানদের রুকইয়া যেমন আছে শিয়াধর্ম বা অন্য বিদয়াতিদের শিরকি রুকইয়াও ইউটিউবে ভুরি ভুরি আছে। অধিকাংশ মানুষ যেহেতু এসবের অর্থ বুঝে না, সুতরাং আমি ইউটিউব থেকে ইচ্ছামত রুকইয়া শুনতে মানা করি।
.
[খ]
১. রুকইয়ার অডিও শুনলেই কি যথেষ্ট?
- না! অডিও হচ্ছে রুকইয়ার একটা সাপ্লিমেন্টারী। এটাই রুকইয়া না। বরং পাগলের মত শুধু অডিও শুনতে থাকলে “ফায়দা অনেক কম + কষ্ট অনেক বেশি” হয়।
২. তাহলে রুকইয়াহ অডিও কেন দরকার?
- ক্ষেত্র বিশেষে অডিওর বিকল্প নেই। যেমন, মেয়েদের পিরিয়ডের সময়; তখন নিজে তিলাওয়াত করতে পারবে না, অন্যের পাশে বসে তিলাওয়াত করার মত মানুষ খুবই কম এই দুনিয়ায়। সুতরাং বেস্ট অপশন অডিও।
এছাড়া সবসময় তিলাওয়াত করা সম্ভব হয় না। যেমন, আমি গাড়িতে করে সফরে যাচ্ছি, অথবা অফিসে জব করছি, আমার রুকইয়া করা দরকার প্রতিদিন ৩ ঘণ্টা, এক্ষেত্রেও অডিওর বিকল্প নেই।
ঘুমের সমস্যা! ঘুমের আগে এক ঘণ্টা ধরে লাইট জালিয়ে সুরা ইয়াসিন, সফফাত, দুখান, জিন তিলাওয়াত করা? বেশিরভাগের জন্যই সম্ভব না, অপশন ইজ অডিও!
জিনের সমস্যার জন্য সেলফ রুকইয়াহ করবেন, একটু পড়তে লাগলেই গলা চেপে ধরছে। উপায়? পড়তে থাকুন, বাধা দিলেই অডিও প্লে করুন!
আমি মনে করি এটা আমাদের জন্য একটা রহমত!
৩. বিদ’আত হবে কি?
- এটাকেই রুকইয়াহ মনে করলে বিদয়াত হতে পারে। বাদবাকি কোরআন তিলাওয়াত শোনার মত, এটাকে একটা তিলাওয়াত শোনার বা রুকইয়ার সহায়ক অংশ (সাপ্লিমেন্টারী) হিসেবে গণ্য করলে বিদ’আত হওয়ার কোন কারণ নেই।
অল্প কথায়, যতক্ষণ না প্রমাণ হচ্ছে মোবাইলে, পিসিতে, টিভিতে বা অন্যান্য ইলেকট্রিক ডিভাইসে কোরআন শোনা বিদ’আত, ততক্ষণ পর্যন্ত আমভাবে রুকইয়ার অডিওকে বিদয়াত বলা হাস্যকর এবং অনর্থক।
৪. মোবাইলে কোরআন শুনলে সওয়াব হবে?
- আবু যর গিফারি রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার অনেকগুলো সওয়াবের কাজ নিয়ে কথা বলছিলেন এক পর্যায়ে বললেন – “..আর তোমাদের নিজের স্ত্রীর সাথে সহবাস করাও সদকাহ্।” সাহাবায়ে কিরাম তো অবাক! তারা জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমাদের কারো যৌন আকাঙ্ক্ষা জাগ্রত হল, আর স্ত্রীর সাথে সহবাস করলাম, তাতেও সওয়াব হবে?!!!! রাসূল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “কেন? সে যদি এই চাহিদা হারাম পন্থায় (যিনার মাধ্যমে) পূরণ করতো তবে কি তার গুনাহ হতো না?...” (সহিহ মুসলিম)
সুতরাং মোবাইলে গান বা অশ্লীল কিছু শুনলে বা দেখলে যদি গুনাহ হয়, তবে আপনি নিশ্চিত থাকুন, কোরআন শুনলে সওয়াবও হবে ইনশাআল্লাহ!
.
[গ]
কোন অডিওটা সবচেয়ে ভালো?
আমি এখানে নির্দিষ্ট কোন অডিওকে সেরা ঘোষণা করতে চাচ্ছি না। তবে একটা উসুল বা মূলনীতি বলে দেই -
১. আপনার জন্য রুকইয়াহ করা হয়েছে, (নিজেই করেছেন বা অন্য কেউ) সেটার রেকর্ড যদি আপনি শোনেন – তবে ইনশাআল্লাহ সবচেয়ে বেশি উপকার হবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, বুধবার রাতে উম্মে আব্দুল্লাহর ওপর রুকইয়া করার অডিও রেকর্ডটা সে আজ শুনছিল, আল্লাহর রহমতে ভালো ইফেক্ট হয়েছে।
২. রুকইয়ার অডিও হিসেবেই যেটা রেকর্ড করা হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, তালিমটিউবের বদনজর, সিহর এবং আয়াতুল হারকের অডিওগুলো। শাইখ লুহাইদান এবং খালিদ হিবশির অডিও। শাইখ মাজিদ আয-যামিল এবং শাইখ হাশিমির অডিও। এগুলোতে অন্য অডিওর চেয়ে তুলনামূলক বেশি ইফেক্ট হয়।
৩. এছাড়াও অন্যান্য সাধারণ কোরআন তিলাওয়াতের অডিও, যেসব রুকইয়ার নিয়াতে বিশেষভাবে রেকর্ড করা হয়নি, বরং স্বাভাবিক কোরআন তিলাওয়াত হিসেবে রেকর্ড হয়েছে। আল্লাহর ইচ্ছায় সেগুলোতেও অনেক উপকার হয়। যেমন- সুরা তাগাবুনের অডিও, সুরা ইয়াসিন, সফফাত, দুখান, জিনের অডিও।
.
আবার মনে করিয়ে দেই, শুধুমাত্র রুকইয়ার অডিও মানেই রুকইয়াহ না। এটা একটা সহায়ক অংশ মাত্র।
আল্লাহ আমাদের রুকইয়ার অডিওর সদ্ব্যবহার করার তাওফিক দিক, আমিন!
-----
একটি ঘোষণা- Ruqyah Support BD'র ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ৯টি রুকইয়ার অডিও আপলোড হয়েছে। আগামীতে যাচাই-বাছাই করে সেখানে আরও অডিও আপলোড করা হবে ইনশাআল্লাহ। আপনারা আমন্ত্রিত...
লিংক https://www.youtube.com/channel/UC80...cV44QnUwOlr56Q
Reply

Muslim Woman
01-24-2018, 12:10 PM
:sl:


প্রিয় চট্টলাবাসী! আসসালামু আলাইকুম!


আপনাদের মধ্যে যারা একজন অভিজ্ঞ রাক্বীর দ্বারা সরাসরি রুকইয়াহ করার জন্য অপেক্ষায় ছিলেন তাদের জন্য সুসংবাদ। আমাদের চট্টগ্রাম সেন্টারে আগামী ৪-৫ দিন রাকী আব্দুস সালাম ভাই অবস্থান করবেন। কাজেই যারা সরাসরি রুকইয়াহ করাতে চান তারা নিচের ঠিকানায় যোগাযোগ করতে পারেন।


Nilufar Neer, House No. 13/17, Road No. 1, Block A, South Khulshi, Chittagong 4000.


Phone:
01841-445262


এপয়েন্টমেন্ট নিতে অফিস টাইমে উল্লেখিত ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করুন।
Reply

Muslim Woman
01-29-2018, 04:22 AM
:sl:


রুকইয়ার গোসল
----------
[ক]
রুকইয়ার সাপ্লিমেন্টগুলোর মাঝে শুরুর দিকেই রয়েছে রুকইয়ার গোসল। খুবই উপকারী বিষয়। এর একটা বিশেষ ফায়দা হচ্ছে, অন্যান্য পদ্ধতিতে রুকইয়ার করার পর রুকইয়া করার পর রুকইয়ার গোসল করলে অনেক আরাম পাওয়া যায়। এছাড়া জিনের রুগীর জন্য যদি কয়েকদিন রুকইয়া করা লাগে, তাহলে প্রতিদিনের রুকইয়ার করা শেষে রুকইয়ার গোসল করিয়ে দিলে তাৎক্ষনিক ভাবে জিন ঠাণ্ডা হয়ে যায়। এছাড়া সিহর এবং নজরের রুকইয়া তো রুকইয়ার গোসল ছাড়া অপূর্ণই মনে হয়!
রুকইয়ার গোসলের অনেক অনেক পদ্ধতি আছে, আমরাও আজ বেশ কিছু রুকইয়ার গোসলের সাথে পরিচয় হব।
.
[খ]
রাসূল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সময় থেকেই বেশ কয়েক ধরণের রুকইয়ার গোসল প্রচলিত রয়েছে।
যেমন, বদনজর বিষয়ে রাসূল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “ভাগ্যের চেয়েও আগে বেড়ে যায় এমন কিছু যদি থাকতো, তবে সেটা হতো বদনজর। যদি (নজরের জন্য) তোমাদের গোসল করতে বলা হয়, তবে এজন্য গোসল করো।” (মুসলিম)
নজরের গোসল বলতে যেটা পাওয়া যায়, আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত রয়েছে, তিনি বলেন: যে ব্যক্তির বদ-নজর অন্যের উপর লাগতো, তাকে ওযু করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হতো। এরপর ঐ পানি দিয়ে তাকে গোসল করানো হতো, যার উপর বদ-নজর লাগতো। (মুসলিম) এভাবে একবার গোসল করলেই সাধারণত বদনজর ভালো হয়ে যায়।
এছাড়া অন্য দোয়া পড়ে পানিতে ফুঁ দিয়ে সেটা দিয়ে গোসল করার উদাহরণও রাসূল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং সাহাবায়ে কিরাম থেকে রয়েছে।
সাবিত ইবনু কাইস ইবনু শামমাস রা. একবার অসুস্থ ছিলেন, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কাছে যান এবং এই দোয়াটি পড়েন:
اكْشِفِ الْبَاسَ رَبَّ النَّاسِ (হে মানুষের প্রভু রোগমুক্ত করুন)
এরপর তিনি বাতহান প্রান্তরের এক মুঠ মাটি নিয়ে একটি পাত্রে রাখেন এবং পানিতে ফুঁ দিয়ে পানিটা ঐ পাত্রে ঢেলে দেন। পরে সে পানি তার সমস্ত শরীরে ছিটিয়ে দেওয়া হয়। (সুনান আবি দাউদ)
বিন বায রহ. রুকইয়ার গোসলের নিয়ম বর্ণনা করার সময় উপরোক্ত হাদিস উল্লেখ করেছেন দলিল হিসেবে। এখানে শরীরে ছিটিয়ে দেয়া কারণ হয়তো, এমনিতেই অসুস্থ, আবার গোসল করালে তো কষ্ট হতো। তাই শুধু পানি ছিটিয়ে দিয়েছেন।
.
[গ]
এছাড়া বিন বায রহ. বিষয়টা আরও সহজ করে বলেছেন, তা হচ্ছে –
যাদুতে আক্রান্ত রোগীর উপর অথবা কোন একটি পাত্রে পানি নিয়ে “নিচে উল্লেখিত” (১১টা) আয়াত এবং দোয়াসমূহ পড়ে পানিতে ফুঁ দিবে। এরপর যাদুতে আক্রান্ত ব্যক্তি সে পানি পান করবে। আর অবশিষ্ট পানি দিয়ে প্রয়োজনমত একবার বা একাধিক বার গোসল করবে। তাহলে আল্লাহর ইচ্ছায় রোগী আরোগ্য লাভ করবে।
.
এই গোসলের নিয়মটাই, এটা আমরা সিহরের কমন রুকইয়ায় বলে থাকি। তবে একটু সংক্ষেপে -
"...সবশেষে একটি বোতলে পানি নিন, এরপর- ক. সুরা আ'রাফ ১১৭-১২২ খ. ইউনুস ৮১-৮২ গ. সুরা ত্বহা ৬৯নং আয়াত ঘ. এরপর সুরা ফালাক, সুরা নাস - সব ৩বার করে পড়ুন আর ফুঁ দিন।
এই পানি থেকে দুই বেলা আধা-গ্লাস করে খাবেন, আর প্রতিদিন গোসলের পানিতে মিশিয়ে গোসল করবেন।"
তবে এভাবে বোতলে না রেখে, যদি প্রতিদিন পানি খাওয়া বা গোসলের আগে আয়াতগুলো পড়ে ফুঁ দেন, এরপর সেটা খান বা ব্যবহার করেন তাহলে আরও উত্তম হয়।
.
[ঘ]
যাদুর চিকিৎসায় বিখ্যাত রুকইয়ার গোসল হচ্ছে বরই পাতা বেটে কিছু দোয়া পড়ে পানিটা খাওয়া এবং গোসল করা। তবে এই গোসলের সময় পড়ার দোয়াগুলো কেউ অল্প কয়েকটা বলেছেন, কেউ বেশি বলেছেন।
ইমাম কুরতুবি রহ. সুরা বাক্বারা ১০২ আয়াতের আলোচনা করতে গিয়ে এই গোসলটার কথা বলেছেন, তবে উনি শুধু আয়াতুল কুরসি পড়তে বলেছিলেন। ইবনে কাসির রহ. সেটা উদ্ধৃত করে আয়াতুল কুরসির সাথে সুরা ফালাক, সুরা নাস পড়ার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন। এই দুজনের কথার সারাংশ হচ্ছে শাইখ ওয়াহিদ বিন আব্দুস সালামের বলা নিয়মটা। আমরা এখন সেটাই জানবো -
-----
বরইয়ের সাতটি সবুজ পাতা পিষে পানিতে ঢেলে নাড়তে থাকুন এবং নিম্নের আয়াতসমূহ পড়ে ফুঁ দিতে থাকুন।
১. আয়াতুল কুরসি
২. সুরা ফালাক
৩. সুরা নাস
এরপর সেই পানি রোগী তিন ঢোক পান করবেন এবং বাকিটা দিয়ে গোসল করবেন। সে পানিতে অন্য পানি মেশাবে না ও উক্ত পানি গরমও করবে না।
আর এভাবে কয়েকদিন গোসল করবেন, তাহলে ইনশাআল্লাহ রুগী সুস্থ হয়ে উঠবে। তবে আশা করা যায় প্রথম গোসলেই যাদু নষ্ট হয়ে যাবে।
(আস সরিমুল বাত্তার, ২২তম সংস্করণ, ২১৪পৃষ্ঠা)
-----
বিন বায রহ. এই গোসলের নিয়ম বর্ণনা করেছেন শাইখ আব্দুররহমান বিন হাসানের ফাতহুল মাজিদ (সালাফি ভাইদের একটি আকিদার কিতাব) থেকে, তবে সেখানে অনেক কিছু পড়তে বলেছেন। তাঁর লিস্ট হচ্ছে –
1. সূরা ফাতিহা।
2. আয়াতুল কুরসি।
3. সূরা আরাফের যাদু বিষয়ক আয়াতগুলো। (১০৬-১২২নং আয়াত)
4. সূরা ইউনুসের যাদু বিষয়ক আয়াতগুলো। (৭৯-৮২নং আয়াত)
5. সূরা ত্বহা এর যাদু বিষয়ক আয়াতগুলো। (৬৫-৬৯নং আয়াত)
6. সূরা কাফিরুন।
7. সূরা ইখলাস - ৩বার
8. সূরা ফালাক - ৩বার
9. সূরা নাস - ৩বার
সাথে কিছু দোয়া পড়া। যেমন-
10. “আল্লাহুম্মা রাব্বান নাস! আযহিবিল বা’স। ওয়াশফি, আনতাশ শাফী। লা শিফাআ ইল্লা শিফাউক। শিফাআন লা ইয়ুগা-দিরু সাকামা।” [৩ বার]
11. “বিসমিল্লাহি আরক্বীক মিন কুল্লি শাইয়িন ইয়ু’যীক। মিন শাররি কুল্লি নাফসিন আও আইনিন হাসিদিন; আল্লাহু ইয়াশফীক। বিসমিল্লাহি আরক্বীক।” [৩ বার]
(মাজমুউল ফাতওয়া ওয়া মাক্বালাত, শাইখ বিন বায- ৮ম খণ্ড, ১৪৪পৃষ্ঠা)
লিস্ট শেষ, smile!
-
এটাকে মিনিফাইড করার জন্য এক কাজ করা যেতে পারে, লিস্টটা এরকম হতে পারে।
১. ফাতিহা
২. আয়াতুল কুরসি
৩. সিহরের আয়াতগুলো, অর্থাৎ
- ক. সুরা আ'রাফ ১১৭-১২২
- খ. সুরা ইউনুস ৮১-৮২
- গ. সুরা ত্বহা ৬৯নং আয়াত
৪. সুরা ইখলাস, ফালাক, নাস
পানিতে বরই পাতা গুলিয়ে আমরা এগুলো একবার করে পড়ব! তাহলে খুব বেশি দীর্ঘ হল না, আবার মোটামুটি সবকিছুই পড়া হয়ে গেল। ইনশাআল্লাহ এতে আমাদের জন্য যথেষ্ট হবে।
.
[ঙ]
আর আমরা (রুকইয়াহ সাপোর্ট বিডি) রুকইয়ার গোসল বলতে স্বাভাবিকভাবে যেটা বুঝিয়ে থাকি তা হচ্ছে,
“একটা বালতিতে পানি নিবেন। তারপর পানিতে দুই হাত ডুবিয়ে যেকোনো দরুদ শরিফ, সুরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি, সুরা কাফিরুন, ইখলাস, ফালাক, নাস, শেষে আবার কোনো দরুদ শরিফ-সব ৭বার করে পড়বেন। পড়ার পর হাত উঠাবেন এবং এই পানি দিয়ে গোসল করবেন।”
(প্রথমে এই পানি দিয়ে গোসল করবেন, তারপর চাইলে অন্য পানি দিয়ে ইচ্ছামত গোসল করতে পারেন। যার সমস্যা সে পড়তে না পারলে অন্য কেউ তার জন্য পড়বে, এবং অসুস্থ ব্যক্তি শুধু গোসল করবে।)
-
আচ্ছা! এই গোসলের নিয়মটা আমি জেনেছিলাম, মুম্বাইয়ের মুফতি জুনাইদ সাহেবের কাছে। এই গোসলটা সচরাচর আমরা বদনজরের রোগীকে করতে বলি, তবে যাদু এবং জিনের রোগীর জন্যেও এটা আলহামদুলিল্লাহ অনেক উপকারী।
পরের কথা হচ্ছে, যেহেতু এই গোসলের হুবহু নিয়ম হাদিস থেকে নেয়া না, বরং হাদিস থেকে মূলনীতি গ্রহণ করে উলামাদের ইজতিহাদ থেকে উদ্ধৃত। তাই আমি এখানেও ফাঁকি দিতে চেষ্টা করি! কখনও কখন সব তিনবার করে পড়ি, কখনও শুরু শেষের দরুদ শরিফ এক-দুইবার পড়ি। আর সুরা কাফিরুন যে শেষ কবে পড়েছিলাম আল্লাহ মালুম! তো আমি রুকইয়ার গোসল করলে সাধারণত যেভাবে করি-
“কয়েকবার দরুদ শরিফ পড়ি। এরপর সুরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি, ইখলাস, ফালাক, নাস - এগুলো সাধারণত ৩বার, সময় থাকলে ৭বার পড়ি। সাথে কিছু রুকইয়ার দোয়া পড়ি।” এরপর এটা দিয়ে গোসল করি।
যেদিন পানিতে হাত ডুবিয়ে বসে থাকা হয় না, সেদিন এসব তিনবার করে পড়ি আর বালতির পানিতে ফুঁ দেই। সব পড়া শেষে গায়ে পানি ঢালি...।
ব্যাস হয়ে গেল রুকইয়ার গোসল!
------------
এখানে মূলনীতি হচ্ছে, যা সরাসরি সুন্নাহ থেকে নেয়া হবে, সেটা হুবহু ওই সংখ্যাতেই বা ওই পরিমাণেই করবেন। আর যদি এটা ইজতিহাদ হয়, তবে অভিজ্ঞ কাউকে জিজ্ঞেস করে সুন্নাহ সংখ্যা (তিন, সাত, তেত্রিশ, সত্তর, একশ) এরকম কমবেশি করতে পারেন। এক্ষেত্রে বেশি পড়লে বেশি ফায়দা, কম পড়লে কম। তবে আপনার জন্য কতটুকু পড়লে ভালো হবে, এটা জানতে অভিজ্ঞ কারও সাথে কথা বলে নিলে ভালো হয়।
.
বারাকাল্লাহু ফিকুম, সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহ

https://www.facebook.com/groups/ruqyahbd/?fref=nf
Reply

Muslim Woman
02-06-2018, 04:53 AM
:sl:



যাদুর জিনিস বা তাবিজ নষ্ট করার নিয়ম
সন্দেহজনক কিছু বা কোন তাবিজ যদি পাওয়া যায় সেটা নষ্ট করার জন্য একটি পাত্রে পানি নিন। এরপর সেই পানিতে
১। সুরা আ'রাফ ১১৭-১২২ নং আয়াত
২। ইউনুস ৮১-৮২ নং আয়াত
৩। সুরা ত্বহা ৬৯ নং আয়াত
৪। সূরা ফালাক্ব ৩ বার
৫। সূরা নাস ৩ বার

পড়ে ফুঁ দিন। সেই পানিতে তাবিজের কাগজ কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখুন। ইনশাআল্লহ যাদু নষ্ট হয়ে যাবে। এরপর সেগুলো পুড়িয়ে ফেলুন বা অন্য কোন ভাবে নষ্ট করে ফেলুন।
আর ব্যবহৃত পানি মানুষের যাতায়াতের রাস্তা থেকে দূরে কোথাও ফেলে দিতে হবে।



https://www.facebook.com/groups/ruqyahbd/?fref=nf
Reply

Muslim Woman
02-16-2018, 11:40 AM
:sl:


রুকইয়ার অডিও শোনা বিদ’আত হবে কি?
-----------
- প্রশ্নই আসে না!
রুকইয়াহ বিষয়ে অজ্ঞতার কারণে কেউ এটাকে বিদআত বলতে পারে, বাস্তবতা হচ্ছে তাদের এবিষয়ে না যথেষ্ট ধারণা আছে, আর না তারা কমসে কম সহিহাইনের রুকইয়া বিষয়ের হাদিসগুলো বুঝেছে।

প্রথম বিষয় হচ্ছে, এটা নামাজ-রোজা ইত্যাদির মত কোন ইবাদাত না। এটা একটা চিকিৎসা পদ্ধতি, আর অন্যান্য চিকিৎসার মত এক্ষেত্রেও শরিয়তের নির্ধারিত সীমা লঙ্ঘন না হলেই এটা বৈধ।


এব্যাপারে মূলনীতি বর্নিত হয়েছে সহিহ মুসলিমের একটি হাদিসে –
عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ الْأَشْجَعِيِّ قَالَ كُنَّا نَرْقِي فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ تَرَى فِي ذَلِكَ فَقَالَ اعْرِضُوا عَلَيَّ رُقَاكُمْ لَا بَأْسَ بِالرُّقَى مَا لَمْ يَكُنْ فِيهِ شِرْكٌ
আওফ ইবনে মালিক আল-আশজাঈ রা. থেকে বর্নিত, তিনি বলেন – আমরা জালেহিয়্যাতের সময়েও রুকইয়াহ করতাম। তাই এব্যাপারে আমরা রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি এবিষয়টা কিভাবে দেখেন? তখন তিনি বললেন, তোমাদের ঝাড়ফুঁকগুলো আমাকে দেখাও, রুকইয়াতে যদি শিরক না থাকে, তাহলে কোন সমস্যা নেই।

(সহিহ মুসলিম, সালাম অধ্যায়, হাদিস নং ৪০৭৯। এছাড়া হাদিসটি আবু দাউদ, বায়হাকি এবং মুজামুল আওসাতে বর্ণিত হয়েছে)
সুতরাং এখানে মূলনীতি হচ্ছে, শিরক না থাকা। শিরক না থাকলে জাহিলি যুগের মন্ত্র দিয়েও রুকইয়ার অনুমতি দিয়েছেন। আর এটাতো কোরআন তিলাওয়াত! সুতরাং রুকইয়াতে কোন সমস্যা নেই, যদি তাতে শিরক না থাকে, এটা অডিও হলেও সমস্যার কিছু নেই।
.

তবে হ্যাঁ! এর পাশাপাশি উলামায়ে কিরাম ঝাড়ফুঁক বৈধ হওয়ার জন্য যে শর্তগুলো বলেছেন, যেগুলোও খেয়াল রাখা আবশ্যক। (যেমনঃ কোন কুফর-শিরক না থাকা। বাক্যগুলো স্পষ্ট হওয়া যার অর্থ বুঝা যায়। এবং এই বিশ্বাস রাখা যে, ঝাড়ফুকের নিজস্ব কোন প্রভাব নেই, আরোগ্য কেবল আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে। ইমাম সুয়ুতি রহ. ইমাম নববী রহ. এবং ইবনে হাজার রহ. এর মতে এব্যাপারে উম্মতের ইজমা রয়েছে।)
.
দ্বিতীয়তঃ আমরা প্রথম অধ্যায়ে আমরা দীর্ঘ হাদিস উল্লেখ করেছি, যেখানে সাহাবায়ে কিরাম ঝাড়ফুঁক করে এসেছেন, এরপর রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জানিয়েছেন। রাসুলুল্লাহ মুগ্ধ হয়ে বলেছেন, “তুমি কিভাবে জানলে সুরা ফাতিহা একটি রুকইয়াহ?” (সহিহ বুখারি)


এছাড়া এই হাদিসটিও লক্ষণীয়ঃ
عَنْ عَائِشَةَ ، أن رسول اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ عَلَيْهَا وَامْرَأَةٌ تُعَالِجُهَا أَوْ تَرْقِيهَا ، فَقَالَ : " عَالِجِيهَا بِكِتَابِ اللَّهِ "
আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, একবার রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার ঘরে প্রবেশ করলেন। তখন এক মহিলার চিকিৎসা বা ঝাড়ফুঁক করা হচ্ছিল। তখন রাসুল সা. বললেন, "কোরআন দ্বারা তার চিকিৎসা করো!" (সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদিস নং ৬২৩২)
এথেকে বুঝা যাচ্ছে, রাসুলুল্লাহ রুকইয়ার জন্য বিশেষ বিশেষ পদ্ধতি বলে দেননি, বরং মূলনীতি বলেছেন, কোরআন দ্বারা রুকইয়া করতে উৎসাহিত করেছেন। আর সাহাবায়ে কিরামও সে অনুযায়ী রুকইয়াহ করেছেন, সন্দেহ লাগলে রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে নিশ্চিত হয়েছেন।


যেহেতু এটা শরিয়তের মূলনীতি লঙ্ঘন করছে না, অতএব এটা বৈধ।
.
তৃতীয়তঃ কোরআন তিলাওয়াত হচ্ছে, সর্বোত্তম ইবাদাতগুলোর একটি। (শু’আবুল ইমান; বায়হাকী ১৮৬৯) আর যেহেতু আল্লাহ কোরআন মনোযোগ দিয়ে শুনতে নির্দেশ দিয়েছেন, সুতরাং কোরআন শোনাও ইবাদাত। কিন্তু বিজ্ঞ উলামায়ে কিরাম কখনওই বলেননা, ইলেকট্রনিক ডিভাইসে কোরআন শোনা বিদ’আত। এই একই কোরআন যদি রুকইয়াহ হিসেবে শোনা হয়, তাহলে কিভাবে বিদ’আত হয়?


যেখানে রুকইয়ার ব্যাপারে রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এতটা প্রশস্ততা রেখেছেন, সেটাকে সংকীর্ণ করার অধিকার আছে কার? ‘আম’ বিষয়কে ‘খাস’ করার অধিকার না ফিকাহ কাউকে দিয়েছে, আর না ইসলামের ভাবধারার সাথে এটা মানানসই।
শেষ কথা হচ্ছে, সৌদি থেকে অনার্স করা কোন আলেম যখন রুকইয়ার অডিওকে বিদ’আত বলেন, তখন তার জ্ঞানের গভীরতার প্রতি আমাদের সত্যিই সন্দিহান হতে হয়।
------------
(রুকইয়াহ বইয়ের একটি প্রবন্ধ, এটাকে আরও কাটছাঁট - মেরামত করে প্রকাশ হবে ইনশাআল্লাহ)

https://www.facebook.com/groups/ruqyahbd/permalink/779287435591911/
Reply

Muslim Woman
02-19-2018, 07:22 AM
:sl:


প্রশ্নঃ বাচ্চাদের জন্য কিভাবে রুকইয়াহ করব এবং এক্ষেত্রে লক্ষনীয় বিষয়গুলো কি কি?
-----
উত্তরঃ
.
বাচ্চাদের জন্য রুকইয়াহ করা বড়দের রুকইয়াহ করার চেয়ে তুলনামূলকভাবে সহজ, আবার ফলাফল পাওয়া যায়ও তাড়াতাড়ি। বাচ্চাদের জন্য রুকইয়াহকে আমরা তিনটি ভাগে ভাগ করতে পারি-
.
১) বাচ্চার মধ্যে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণগুলো নিশ্চিতভাবে পাওয়া না যায়ঃ
.
যদি বাচ্চাদের ক্ষেত্রে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণগুলো নিশ্চিত হওয়া না যায় যেমন- “এমন কোন শারীরিক সমস্যা যেটা “দেখে মনে হয়” মেডিক্যালে এর কোন “ব্যাখা নেই” অথবা “মনে হচ্ছে” যে নজর লেগেছে অথবা বাচ্চারা তাদের স্বাভাবিক আচরণ করছে না” এক্ষেত্রে আমরা বাচ্চাদের জন্য “সার্বজনীন পূর্ণ রুকইয়াহ প্রোগ্রাম” বা দীর্ঘ মেয়াদি কোন রুকইয়ার পরামর্শ দিবো না। বরঞ্চ এই পর্যায়ে আমরা “বদনজরের সাধারণ রুকইয়া” অথবা “৭ দিনের ডিটক্স প্রোগ্রাম” করার পরামর্শ দিবো। বাচ্চার বয়স যদি এক বছরের নিচে হয় তাহলে ডিটক্স প্রোগ্রাম থেকে মধু বাদ দিবেন। ছোট বাচ্চা এক কাপ বা আধা গ্লাস পানি না খেতে পারলে সেটারও অর্ধেক খাওয়ান। আর তিলাওয়াত বাবা অথবা মা করে দিতে পারেন। ৭ দিনের ডিটক্স প্রোগ্রাম সাধারণত সব বয়সের মানুষের জন্যই উপযোগী।
.
২) বাচ্চার মধ্যে নিশ্চিতভাবে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণগুলো পাওয়া যাচ্ছে কিন্তু জ্বিনও হাজির হচ্ছে না এবং বাচ্চার খুব বেশি ইফেক্টও হচ্ছে নাঃ
.
যদি আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণগুলো নিশ্চিত হওয়া যায় কিন্তু বাচ্চা শক্ত কোন প্রতিক্রিয়াও না দেখায় আবার জ্বিন দ্বারা আসর নাও হয় তাহলে সেটা হতে পারে উপরে উল্লিখিত চিকিৎসা পদ্ধতি নেওয়ার কারণে (৭ দিনের ডিটক্স প্রোগ্রাম)। এক্ষেত্রে আমরা পরামর্শ দিবো সার্বজনীন রুকইয়াহ প্রোগ্রাম করার জন্য। কিন্তু রুকইয়াহ করতে হবে আরমাদায়ক ভাবে। অর্থাৎ বাচ্চাকে জোর করে মূর্তির মত এক জায়গায় বসিয়ে রাখা যাবে না, বাচ্চা ভয় পায় এমন কিছু করা যাবে না। আর এসব ক্ষেত্রে সাধারণত হিজামাও করার দরকার পরে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এত টুকুতেই বাচ্চা ভাল হয়ে যায়। এতে বাচ্চার কোন অসুবিধাও হয় না আবার জ্বিনের আসরের মত কিছুও ঘটে না।
.
৩) যদি সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করে, যেমন বাচ্চা আক্রমণাত্মক হয়ে উঠে বা চিৎকার চেঁচামেচি করে, বাচ্চার ওপর জ্বিন হাজির হয়ে যায় বা আসর করে বসে তাহলে এক্ষেত্রে প্রতিদিন সরাসরি রুকইয়ার পাশাপাশি আমরা সার্বজনীন রুকইয়াহ প্রোগ্রাম অনুসরণ করার পরামর্শ দিবো। এক্ষেত্রে অভিজ্ঞ কাউকে দিয়ে প্রয়োজনে হিজামাহ করানো যেতে পারে। আর একটু খেয়াল রেখে (সতর্কভাবে) রুকইয়াহ করতে হবে। যেমন বাচ্চাকে কাছে বসিয়ে রাখতে হবে, রুকইয়াহ এর আয়াতগুলোতে বেশি বেশি জোর দিতে হবে।
.
.
বিশেষ জ্ঞাতব্যঃ
-------------------
.
ক) বাচ্চার নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্য সবসময়ই সর্বোচ্চ গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করতে হবে। যেহেতু বাচ্চার আচরণ ও মানসিকতা পূর্ণবয়স্ক মানুষের মত নয়, তাই বাচ্চার সাথে পূর্ণবয়স্ক মানুষের মত আচরণ করা যাবে না। রুকইয়াহ করার সময় বাচ্চা যেন পরিপূর্ণ আরামদায়ক ও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। রুকইয়াহ করার সময় একটু পর পরে চেক করতে হবে, বাচ্চারা রিল্যাক্সড ও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছে কিনা। তাদের সাথে হালকা খেলাধূলাও করতে পারেন, তাদেরকে বলতে পারেন “আমার সাথে সাথে পড়।” যদি আপনি বাচ্চার অপরিচিত কেউ হয়ে থাকেন, তাহলে রুকইয়াহ করার আগে ও পরে তার সাথে কিছু সময় কাটান। যেন সে আপনাকে সহজ ভাবে নিতে পারে।
.
খ) কখনোই, কখনোই বাচ্চাকে প্রহার বা আঘাত করবেন না। সত্যিকার অর্থে রুগী যেই হোক না কেন, বাচ্চা অথবা পূর্ণবয়স্ক, তাকে প্রহার করা সাধারণত ভালো রেজাল্ট দেয় না। বরং এর কারণে অনেক সময় জ্বিন আরো দীর্ঘ সময় শরীরে ঘাপটি মেরে বসে থাকতে পারে। আর বাচ্চার গায়ে আঘাত করা হলে, বাচ্চা সিরিয়াস ইনজুরিতে পড়ে যেতে পারে। অনেকক্ষেত্রে রুকইয়াহ চলাকালীন সময়ে “জ্বিনকে” প্রহার করার কারণে বাচ্চা মারাও যায়। তাই প্রহার করা এক্ষেত্রে জ্বিনকে সাহায্য করারই নামান্তর।
যদি বুঝতে পারেন জ্বিন শরীরের এখানে সেখানে ছুটোছুটি করছে, তাহলে মৃদুভাবে সেই জায়গায় মালিশ করবেন। ফলে বাচ্চাও আরাম বোধ করবে আর জ্বিনও প্রেশারে থাকবে।
.
গ) বাচ্চাদের রুকইয়াহ করার সবচেয়ে জটিল বিষয় হচ্ছে, বাচ্চারা বড়দের মত তাদের অনুভূতি আর অভিজ্ঞতাগুলো শেয়ার করতে পারে না। স্বভাবগত ভাবেই বাচ্চারা একটু ছুটোছুটি বা দৌড়াদৌড়ি পছন্দ করে। এটাকে জ্বিনের লক্ষণের সাথে গুলিয়ে ফেললে হবে না। সময় নিয়ে বাচ্চার আচরণ পর্যবেক্ষণ করতে হবে; বিশেষ করে রুকইয়াহ করার সময় ও রুকইয়াহ করার আগে বা পরের সময়ের আচরণে পার্থক্য ভালো করে খেয়াল করতে হবে। তাহলে আপনি বাচ্চার স্বাভাবিক আচরণ আর অস্বাভাবিক আচরণের মাঝে পার্থক্য ধরতে পারবেন।
.
ঘ) যদি বাচ্চা বয়সে একটু বড় হয়, নিজের কথা বুঝিয়ে বলতে পারে; তাহলে বাচ্চার সাথে তার সমস্যা নিয়ে আলোচনা করুন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে, তার মন থেকে শয়ত্বান জ্বিনের ভয় দূর করতে হবে। বাচ্চাদের মনে বড়দের তুলনায় শয়ত্বান জ্বিনের ভয় বেশি প্রভাব ফেলে। এমন যেন না হয়, জ্বিনের ভয়ে বাচ্চা ঘুমাতেই পারছে না। বাচ্চার কাছে শয়ত্বান জ্বিনের দূর্বলতাগুলো তুলে ধরবেন। তাদেরকে বুঝান শয়ত্বান জ্বিন কিভাবে কুর’আনের ভয়ে পালিয়ে বেড়ায়। বাচ্চাদেরকে শয়ত্বান জ্বিন থেকে সুরক্ষার জন্য মাসনূন দু’আ গুলো শিখিয়ে দিন।
.
ঙ) যদি জ্বিন হাজির হয়েই যায় এবং কথাও বলা শুরু করে, তাহলে জ্বিনের সাথে অপ্রয়োজনীয় ও বেশি কথা বার্তা বলবেন না। জ্বিনকে “ইসলাম গ্রহণ করে বাচ্চার শরীর থেকে বের” হয়ে যেতে বলবেন। আর যদি “ইসলাম” গ্রহণ করতে না চায়, তাহলে বলবেন যেন “চলে যায় এবং আর ফিরে না আসে।” জ্বিনের কোন গাল-গল্পই বিশ্বাস করবেন না, তাদের সাথে কোন বোঝাপড়াতেও যাবেন না।
.
চ) রুকইয়াহ করার জন্য নির্দিষ্ট কোন সময় ধরাবাঁধা নেই। কিন্তু আপনি যদি দেখেন কোন নির্দিষ্ট সময়ে বাচ্চার মধ্যে লক্ষণগুলো প্রকট হয় (যেমনঃ মাগরিবের পর), তাহলে সে সময়ে রুকইয়াহ করাটাই সবচেয়ে ভালো। অন্যথায় যে সময় বাচ্চা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে, সে সময়ই রুকইয়াহ করবেন।
.
ছ) অবস্থা বুঝে রুকইয়াহ করার পদ্ধতি ও সময় পরিবর্তন করতে পারেন। তবে খুব দ্রুত রুকইয়াহর পদ্ধতি পরিবর্তন করবেন না, কারণ এতে জ্বিন শয়তান আপনাকে নিয়ে খেলা করার বা ম্যানুপুলেট করার সুযোগ পাবে।
.
আল্লাহই ভালো জানেন।
Reply

Hey there! Looks like you're enjoying the discussion, but you're not signed up for an account.

When you create an account, you can participate in the discussions and share your thoughts. You also get notifications, here and via email, whenever new posts are made. And you can like posts and make new friends.
Sign Up
British Wholesales - Certified Wholesale Linen & Towels | Holiday in the Maldives

IslamicBoard

Experience a richer experience on our mobile app!