/* */

PDA

View Full Version : কুরআন



Muslim Woman
10-11-2019, 01:04 AM
আধুনিক প্রজন্মের কাছে আল-কুরআন বনাম মোবাইল!

ইন্টারনেটে প্রচারিত একটি বার্তা অনুধাবন করুন।
বোবা আশা পোষণ করে, যদি সে কুরআন তিলাওয়াত করতে পারতো!

কালা আশা পোষণ করে, যদি সে কুরআন শুনতে পেতো!
অন্ধ আশা পোষণ করে, যদি সে কুরআন দেখতে পারতো!

অশিক্ষিত আশা পোষণ করে, যদি সে কুরআন পড়তে পারতো!
আর সুস্থ শিক্ষিতদেরকে ধ্বংস করেছে মোবাইল।
হাঁ, আধুনিক প্রযুক্তির মোবাইল।

সালাফে সালেহীন কিভাবে কুরআন নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে অবিরাম রত থাকতেন?

আমরা তা শুনে অবাক হতাম। কিন্তু আজ মোবাইল নিয়ে অবিরাম নিরত ছেলে-মেয়েদেরকে দেখে সে অবাক দুর হয়েছে।

এখন বুঝতে পারছি যে, মন যখন কোনো কিছুকে ভালোবাসে, তখন তাকে নিয়ে বিনা ক্লান্তি ও বিরক্তি ছাড়া নিরত থাকা যায়।

মাদ্রাসার কুরআনের ওস্তাদ এক ছাত্রকে প্রশ্ন করলো, `কুরআনের ব্যাপারে পূর্বযুগে সালাফদের অবস্থান ও ব্যাপৃতি কেমন ছিল?'

চট করে ছাত্রটি উত্তর দিল, `জি, ঠিক বর্তমান যুগে মোবাইল নিয়ে আমাদের অবস্থান ও ব্যাপৃতির মতো।'
বড় তিক্ত এই বাস্তবতা।

কুরআন আপনার আগে আগে কবর ও হাশর পর্যন্ত যাবে, কিন্তু মোবাইল মরণের আগেই আপনার নিকট থেকে নিয়ে নেয়া হবে।

সুতরাং কার সাথে কতটা সময় বায় করছেন, তার হিসাব রাখছেন কি?

ভেবে দেখার দরকার আছে।

পাম্পার্স পরা বাচ্চাদের পাম্পার্স তুলে তুলে মায়েরা যেমন একটু পরপর পেশাব-পায়খানা কিছু এসেছে কি না চেক করে, তেমনি আপনিও মাঝে মাঝে চেক করে দেখেন, মোবাইলে কিছু এসেছে কি না। তাই না?

বারবার দেখেন, প্রেরিত ম্যাসেজ-এ বন্ধুরা কি লিখেছে দেখি। কিন্তু কুরআন খুলে প্রত্যহ কতবার দেখেন যে, সুমহান প্রতিপালক প্রেরিত ম্যাসেজ-এ কি লিখেছেন দেখি?

আপনার মোবাইলে তো কোনদিন ধুলো লেগে থাকে না। কিন্তু আপনার কুরআনটা লক্ষ্য করুন তো, তার ওপর কত ধুলো! ,,,আপনি কি অনুমান করতে পারছেন যে, আপনি স্রষ্টার চাইতে কত বেশি সৃর্ষ্টির সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন.

সাহাবী খালেদ বিন ওলীদ রাজিয়াল্লাহু আনহু কুরআনের সাহচর্যে জীবন যাপন করেছেন। কিন্তু শেষ জীবনে কুরআন ধারণ করে কেঁদে তিনি বলেছিলেন,
`জিহাদের ব্যস্ততা আমাকে তোমার কাছ থেকে দূরে রেখেছিল।'

কি সুন্দর ছিল সে অজুহাত!
কিন্তু আমরা অজুহাতে কী বলবো?

`মোবাইলের ব্যস্ততা আমাদেরকে তোমার কাছ থেকে দূরে রেখেছিল।'

বড় দুঃখের কথা ওহে কুরআনের উম্মাত!

হায় আফসোস! আমরা যদি মোবাইল ধরার মতো হাতে কুরআন ধরতে পারতাম, তাহলে আমাদের অবস্থার কতই না পরিবর্তন ঘটতো।

এখন অবস্থা তো এমন, আমরা মোবাইল ছাড়া বাঁচতে পারবো না।
আমরা কি কুরআন ছাড়া বাঁচতে পারবো?
যেখানে যাই, মোবাইল সঙ্গে যায়, আমাদের পকেট ও ব্যাগে মোবাইল থাকে।
কী হতো, যদি কুরআন থাকতো?

আমরা কোনো খুশীর উপলক্ষ্যে মোবাইল উপহার দিই।
কেমন হতো, যদি আমরা কুরআন উপহার দিতাম?

আমরা সফর ইত্যাদিতে টাইম পাস করার জন্য মোবাইল (অপ্রয়োজনীয়) দেখি।

কেমন হয়, যদি আমরা কুরআন পড়ে সময়কে কাজে লাগাই?
আমরা দিনে যতবার মোবাইল দেখি, ততবার যদি কুরআন দেখি, তাহলে অল্প সময়ে কুরআন খতম করতে পারি।

আমরা মোবাইল চার্জ দেয়ার ব্যাপারে যতটা খেয়াল রাখি, ততটা খেয়াল কি নামাজ ও কুরআনের প্রতি রাখি?

আমরা মোবাইলের ব্যালেন্স রাখতে যত টাকা বায় করি, তত টাকা কি সাদকা করতে পারি?

আমরা যেভাবে গ্রুপ ফ্রেন্ডসদের সাথে যোগাযোগ রাখি, সেভাবে কি বাবা-মা ও আত্মীয়-স্বজনদের সাথে রাখি?

আমরা মসজিদে নামাযের জন্য হাজির না হলেও যদি সেখানে ফ্রি wifi পাই, তাহলে তো হাজির হব নিশ্চয়ই।
কী হয়ে গেলাম আমরা?
প্রিয় ভাই ও বোনেরা!

মোবাইল হালকা বহনযোগ্য একটি যন্ত্র। তা যেন দুনিয়া ও আখেরাতে আমাদের জন্য ভারী বোঝা ও কঠিন যন্ত্রণার কারণ না হয়।

সাবধান! মোবাইল ব্যবহার করুন খুবই সতর্কতার সাথে কেবল উপকারী কর্মে।
মোবাইল আপনার দুনিয়া ও আখেরাতের জন্য উপকারী হতে পারে আবার অপকারীও।
আপনি মোবাইলকে কেবল উপকারী বানান।

মোবাইল যেন আল্লাহর আনুগত্য, ইবাদত, নামায, কুরআন তিলাওয়াত, জিকির, পিতামাতার খিদমত, স্বামীর খিদমত, আত্মীয়তার বন্ধন বজায় করা থেকে আপনাকে বিরত না রাখে।

মোবাইলের ছিদ্রপথে কোনো চোর আপনার ঈমান, আকীদা, সভাতা সততা, সতীত্ব, পর্দা ইত্যাদি যেন চুরি না করতে পারে।
দূরে থাকুন এর মাধ্যমে অবৈধ প্রেম-ভালোবাসা, পরকীয়া করা হতে এবং অশ্লীল ও অবৈধ কিছু দেখা বা শোনা হতে।

সময় আপনার জন্য বড় মূল্যবান। সাবধান! মোবাইল যেন আপনার সেই অমূল্য সম্পদ চুরি করতে না পারে।
আল্লাহ আমাদেরকে তাওফিক দিন। আমীন।

সংগ্রহ ও ভাবানুবাদ :

আব্দুল হামীদ আল-ফাইজী আল-মাদানী
Reply

Login/Register to hide ads. Scroll down for more posts
Muslim Woman
10-29-2019, 08:27 AM
রাতের বেলায় কুরআনের ১০০ টি আয়াত তেলাওয়াতের বিশেষ মর্যাদা
▬▬▬❖❖❖▬▬▬
প্রশ্ন: হাদীসে বর্ণিত হয়েছে রাতের বেলা ১০০ আয়াত পাঠ করলে সারা রাত নফল নামাযের সওয়াব পাওয়া যায়। এখন প্রশ্ন হল, এই ১০০ আয়াত তেলাওয়াত করার ক্ষেত্রে আমরা নামাযে যে সব সুরা পাঠ করি সেগুলোও কি এর আওতাভুক্ত হবে নাকি নামাযের বাইরে আলাদা ভাবে তেলাওয়াত করতে হবে? বিষয়টি জানালে উপকৃত হবো।

উত্তর:
প্রথমে আমরা এ মর্মে বর্ণিত দুটি হাদিস দেখবো।
❑ তামীম দারী রা. থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
قَالَ مَنْ قَرَأَ مِائَةَ آيَةٍ فِي لَيْلَةٍ كُتِبَ لَهُ قُنُوتُ لَيْلَةٍ
“যে ব্যক্তি এক রাতে একশ’টি আয়াত পাঠ করবে, সে ব্যক্তির আমলনামায় ঐ রাতের ইবাদত বন্দেগী ও নফল নামাযের সওয়াব লিপিবদ্ধ করা হবে।”
(আহমাদ ১৬৯৫৮, নাসাঈ কুবরা ১০৫৫৩, ত্বাবারানী ১২৩৮, দারেমী ৩৪৫০, সিলসিলাহ সহীহাহ ৬৪৪)

❑ তিনি আরও বলেছেন,.

مَنْ قرأَ في ليلةٍ مِائةَ آيَةٍ لمْ يُكْتَبْ مِنَ الغَافِلِينَ أوْ كُتِبَ مِنَ القَانِتِينَ
"যে ব্যক্তি রাতে ১০০ আয়াত তিলাওয়াত করে তাকে গাফেলদের (অন্যমনস্ক, অমনোযোগীদের) মাঝে লিপিবদ্ধ করা হবে না। অথবা তাকে আল্লাহর আনুগত্যশীল বান্দাদের মাঝে লিপিবদ্ধ করা হবে।"

(ইমাম মুহাম্মদ বিন নাসর আল মারওয়াযী রহ. ক্বিয়ামুল লাইল, পৃ:৬৬; শাইখ আলবানী সিলসিলা সহীহাহ গ্রন্থে বলেন, এ হাদীসে শাইখাইন তথা ইমাম বুখারী ও মুসলিমের শর্ত অনুযায়ী সহীহ। হা/৬৪৩)

উপরোক্ত হাদীসদ্বয়ে কেবল রাতের বেলা ১০০টি আয়াত পড়ার কথা বলা হয়েছে। নামাযের ভিতরে না কি বাইরে সে ব্যাপারে কিছু বলা হয় নি। তাহলে আশা করা যায়, নামাযের ভিতরেই হোক অথবা বাইরে হোক রাতে একশত আয়াত পড়া হলে উক্ত মর্যাদা লাভ করা যাবে ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহু আলাম।
▬▬▬❖❖❖▬▬▬
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
জুবাইল, সৌদি আরব
fb/AbdullaahilHadi
Reply

Muslim Woman
02-25-2020, 11:55 AM
প্রশ্ন: সূরা মুলক ইশার সালাতের আগে পড়লে রাতে কি আবার পড়তে হবে?

উত্তর:

রাত-দিন যে কোন সময় সূর মুলক পাঠ করা অত্যন্ত ফযিলতপূর্ণ আমল। কেননা হাদিসে এসেছে:
আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

إِنَّ سُورَةً مِنْ الْقُرْآنِ ثَلَاثُونَ آيَةً شَفَعَتْ لِرَجُلٍ حَتَّى غُفِرَ لَهُ وَهِيَ سُورَةُ تَبَارَكَ
الَّذِي بِيَدِهِ الْمُلْكُ -وحسنه الألباني في صحيح الترمذي

"কুরআনের তিরিশ আয়াত বিশিষ্ট এমন একটি সূরা আছে , যা তার পাঠকারীর জন্য সুপারিশ করবে এবং শেষাবধি তাকে ক্ষমা করে দেয়া হবে। সেটা হচ্ছে ‘তাবা-রাকাল্লাযী বিয়্যাদিহিল মূলক (অর্থাৎ সূরা মূলক)।”
(তিরমিযী, শাইখ নাসিরুদ্দীন আলবানী রাহ. উক্ত হাদীসটিকে তার সহীহ তিরমিযীতে ‘হাসান’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রাহ. মাজমু ফতোয়াতে এটিকে সহীহ বলেছেন।)

উক্ত হাদিসে রাত-দিন বা কোন নির্দিষ্ট সময়ে পড়ার কথা আসে নি।
সুতরাং আপনি রাত-দিন যে কোনো সময় তা পড়তে পারেন। এমনকি ইশা, তাহাজ্জুদ, ফজর বা অন্য কোনো সালাতে দাঁড়িয়েও যদি তা পাঠ করেন তাহলে উক্ত মর্যাদা লাভ করা যাবে ইনশাআল্লাহ।

তবে যদি রাতে ঘুমের পূর্বে পড়তে পারেন তাহলে তা আরও উত্তম। কেননা হাদিসে এসেছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘুমের পূর্বে পড়তেন।
আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে সকল সূরা পাঠ না করে ঘুমাতেন না সেগুলো হল ৪টি সূরা। যথা:
▪১) আলিফ লাম তানযীল (সূরা সাজদাহ)
▪২) তাবারাকাল্লাযি বিইয়াদিহিল মুলক (সূরা মুলক)

এ মর্মে হাদিস হল:
فروى الترمذي (2892) عَنْ جَابِرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ : " أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ لا يَنَامُ حَتَّى يَقْرَأَ الم تَنْزِيلُ ، وَتَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ الْمُلْكُ " ، وصححه الألباني في " صحيح سنن الترمذي
▪৩) সূরা ইসরা (বনী ইসরাঈল) এবং
▪৪) সূরা যুমার।

এ মর্মে হাদিস হল:
روى الترمذي (3405) عن عَائِشَة رضي الله عنها قالت : " كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يَنَامُ حَتَّى يَقْرَأَ الزُّمَرَ ، وَبَنِي إِسْرَائِيلَ " ، وصححه الألباني في " صحيح سنن الترمذي "
আল্লাহু আলাম।
https://www.facebook.com/23504030024...01064336979779
----------------------------------------
আরও পড়ুন:

প্রশ্ন: সূরা মুলকের ফযীলত কি? এটি পাঠ করলে কবরের আযাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এ মর্মে বর্ণিত হাদীসটি কি সহীহ?
https://www.facebook.com/Guidance2Th...5851516501066/
রাতের বেলায় যে সকল সূরা ও আয়াত পড়ার ব্যাপারে হাদিস বর্ণিত হয়েছে
https://www.facebook.com/Guidance2Th...type=1&theater
-----------------------------------------------
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সৌদি আরব
Reply

Muslim Woman
04-23-2020, 12:23 PM
হিন্দুস্তানের এক বুযুর্গ ছিলেন হযরত মাওলানা আবরারুল হক ছাহেব রাহ.।আমাদের এ দেশে অনেক আসতেন।

হযরত মাওলানা আবরারুল হক ছাহেব রাহ. সহীহ-শুদ্ধ উচ্চারণের গুরুত্ব বোঝাতেন। মানুষ তো গুরুত্ব বোঝে না।

তাই বিভিন্নভাবে বোঝানোর চেষ্টা করতেন।
.
একবার দাওয়াতী কাজে লন্ডনে গিয়েছেন। এক জায়গা থেকে বের হবেন, জিজ্ঞেস করবেন যে, লিফট কোন দিকে ? কিন্তু বলেছেন - "ভাই! লেফট কিধার হ্যায়?" জোরে জোরে কয়েকবার বলেছেন।

এখন মেযবান তো খুব লজ্জা পাচ্ছেন যে, আহা! এত বড় হুযুর আনলাম, কিন্তু লিফট শব্দটা সঠিকভাবে উচ্চারণ করতে জানেন না। তো মেজবান তাঁর কানে কানে বললেন যে, হযরত শব্দটি লেফট না, লিফট।
.
তিনি তখন বললেন, - "মেঁ তো ইহী কেহতা হুঁ" | বললেন - আমি তো একথাই বলি যে, কুরআন সহীহ-শুদ্ধ তিলাওয়াত কর। ‘

লেফট’ বললাম এতে দোষ হয়ে গেল? আমাকে শুদ্ধ উচ্চারণ শেখাচ্ছ!

এখানে তো খুব ভালো বুঝ যে, লেফট বলা যাবে না লিফট বলতে হবে। কুরআনের বেলায় কেন এটা বুঝ না যে, "আলহামদো" পড়া যাবে না, "লিল্লাহে" পড়া যাবে না?
.
[মাওলানা আব্দুল মালেক সাহেব (হাফিজাহুল্লাহুর) বয়ান থেকে সংকলিত]

লিখেছেন Sabbir Ahammad Talukder ভাই
Reply

Welcome, Guest!
Hey there! Looks like you're enjoying the discussion, but you're not signed up for an account.

When you create an account, you can participate in the discussions and share your thoughts. You also get notifications, here and via email, whenever new posts are made. And you can like posts and make new friends.
Sign Up
Muslim Woman
05-10-2020, 04:10 PM
*১২৫ টি শব্দের অর্থ জানলে কুরআনের ৫৫% শব্দের অর্থ জানা হয়ে যায় আর ৩২০ টি জানলে জানা হয় ৭৫%!!!*

জ্বি, ঠিক তাই। কুরআনের শব্দ সংখ্যা ৭৭,৪০০ এর কিছু বেশি হলেও ধাতু ও মৌলিকত্বের বিচারে শব্দ মাত্র ১৮২০ টি। এই শব্দগুলোর অনেক শব্দেরই ঘটেছে পুনরাবৃত্তি। তাই, বেশি ব্যবহৃত শব্দগুলো আগে শিখলে কুরআনের আয়াতগুলোর অর্থ বুঝতে সহজ হয়।

আমার মত যারা মাদ্রাসায় পড়েনি বা আরবী যাদের ভাষা নয়, তারা এসব পুনরাবৃত্তিমূলক শব্দগুলো হতে ৫-১০ টি দৈনিক মনে রাখলে বেশিদিন লাগবে না এসব জানতে ইনশা-আল্লাহ। দ্রুতই তখন কুরআন পড়ার সময় দেখবেন অর্থ পুরো না বুঝলেও অনেক আয়াতেরই অর্থের অনুবাদ ছাড়াই অনেকটা কাছাকাছি যেতে পারবেন।

আল্লাহ আমাদের জন্য কুরআন বুঝা ও মানা সহজ করুন, আমীন।

আমাদের মাতৃভাষা বাংলা,সেজন্য আমরা যখন কোরআন পড়ি ,না বুঝেই তেলাওয়াত করতে হয় কারণ আমরা কোরআনিক আরবী জানিনা,কোরআন পড়ার পাশাপাশি বুঝে পড়াটা খুব জরুরী।তেলাওয়াতের সময় যখন তেলাওয়াত করি তখন শুধু আবৃত্তি করি কিন্তু কী পড়তেছি কী এটার ব্যাখা, এটার অর্থ কী আমরা জানিনা!নামাযে যখন ইমামের পেছনে শুনি তখন যদি আমরা কুরআনের আরবী বুঝতে পারতাম তাহলে নামাযে খুশু খুযু আসতো,মনোযোগ দিতে পারতাম।কিন্তু আমরা কী করি?
সারাটা জীবনই এভাবে না বুঝে কাটিয়ে দেই ,কখনও কুরআনের আরবী শেখার চেষ্টাও করিনা!কতোই অভাগা আমরা!
পার্থিব জীবনের সফলতার জন্য বইয়ের পর বই আমরা মুখস্ত করতে পারি। গেগ্রাসে গিলতে পারি শত শত থিওরী,শুধুমাত্র এই দুনিয়ায় কয়টা বছর ভালো থাকার জন্য।অথচ কখনোই দ্বীনি ইলম জানার জন্য চেষ্টা করিনা আমরা।
রাসুলুল্লাহ (স) বলেন :জ্ঞান অর্জন প্রত্যেক মুসলিম নর নারীর উপর ফরয।
কোরআনিক আরবী শিখতে হলে আমরা ভয় পাই,মনে করি না জানি এটা কতো কঠিন।আসলে যারা শিখেছেন তাদের অভিজ্ঞতা মতে এটা ততোটাই সহজ শুধুমাত্র একটু চেষ্টা দরকার।আপনাকে পুরো আরবী ভাষা শিখতে হবেনা। vocabulary শিখতে হবে যতো বেশি পারেন।আজকে ইনশাআল্লাহ পবিত্র কোরআনে অনেক বেশি ব্যবহৃত ১০০ টি শব্দ দেয়ার চেষ্টা করবো।এগুলো একদম বেসিক noun,pronoun, adjective, verb,preposition and question words.জোড়া তালি দেয়ার শব্দগুলো শিখতে পারলে ইনশাআল্লাহ যখন vocabulary আরো বেশি করে জানবেন তখন আরবী পড়ে নিজেই অর্থ বুঝে নিতে পারবেন।প্রতিদিন পাচটি করে শব্দ শিখবেন এটাই যথেষ্ট।

1st day:
1.هَذَا(this(male-এটা
2.هَـذِهِ -this(female এটা)
3.هَـؤُلآءِ -these (এইসকল)
4.ذَلِكَ -that(male যাহা, যে)
5.تِلْكَ -that(female যাহা,যে)

2nd day :
6.أُولَئِكَ -those(যাহারা,সেগুলো)
7.اَلَّذِىْ -who(male যে)
8.اَلَّتِىْ -who (female)
9.اَلَّذِيْنَ -those who(তোমরা যারা)
10.تَحْتَ -under(তলদেশে,নিচে)

3rd day :
11.فَوْقَ -above(উপরে)
12.قَبْلَ -(before -(সামনে,আগে
13.ﺑَﻌْدَ -after(পরে,পরবর্তী কালে,)
14.بَيْنَ -between(মধ্যবর্তী স্থানে)
15.دُونَ -besides(তুলনায়,পার্শ্ব� �)

4th day :
16.عِنْدَ -near (নিকটবর্তী, প্রায়)
17.يَمِيْنْ -right(ন্যায়,ঠিক,সত্য)
18.شِمَالْ -left(বাদিকে)
19.ٱللَّه -Allah
20.رَب -রব

5th day :
21.أَرْض -পৃথিবী
22.قَوْم -nation জাতি
23.ءَايَة -চিহ্ন /আায়াত
24.كُل -every (প্রত্যেক, সব)
25.رَسُول -messenger (দূত)

6th day :
26.يَوْم -day (দিন)
27.عَذَاب - punishment (আজাব)
28.سَمَآء -sky(আকাশ)
29.شَىْء -thing(জিনিস,ঘটনা,ব্যাপ ার)
30.كِتَاب -কিতাব

7th day :
31.حَق -truth (সত্য)
32.نَاس -people (সম্প্রদায়)
33.مِن -from (হতে, থেকে)
34.فِى -in (অভ্যন্তরে, মধ্যে)
35.عَلَى -upon (সন্নিকটে)

8th day :
36.اِلَى -to (কাছে, প্রতি)
37.عَن -about (সম্পর্কিত,সম্পর্ক )
38.حَتَّی -until (যতক্ষণ না)
39.مَعَ -with(একত্রে, সঙ্গে)
40.بِ -with(সাথে)

9th day:
41.كَ -like (মত,প্রায়)
42.لِ -for (জন্য)
43.مَن -who (যে)
44.مَا / مَاذَا -(what (কী, যাহা
45.أَيْنَ -where (যেথায়,কোথায়)

10 the day :
46.مَتى -when(কখন,তখন)
47.لِمَ / لِمَاذَا -why(কেন,কী জন্য)
48.كَيْفَ -how (কেমন,কিভাবে)
49.هَلْ -are (হয়)
50.أَيُّ -which (যেটি, যেগুলো)

11 the day :
51.كَمْ -how much (কতোটুকু)
52.لَا -no(না)
53.مَا -not (মোটেই নয়)
54.لَمْ -not (নয়)
55.لَنْ -never (কখনোও না)

12 th day :
56 .كَلَّا -nay (বস্তুত)
57.لَيْسَ -it is not (মতো নয়)
58.بَلَى -of course (নিশ্চয়ই)
59.نَعَمْ -yes
60.مُؤْمِن -believer(বিশ্বাসী)

13 th day :
61.سَبِيل -way (পথ,উপায়)
62.أَمْر -command (আজ্ঞা, নির্দেশ)
63.بَعْض -some (কেহ,কিছু)
64.خَيْر -better (উত্তম, শ্রেষ্ঠ)
65.إِلَٰه -ইলাহ

14 th day :
66.آخِر -last ( শেষ)
67.جَنَّة -বাগান
68.نَار -fire ( আগুন)
69.غَيْر -without (ব্যতিরেকে,ব্যতীত)
70.قَلْب -heart ( অন্তর)

15th day :
71.عَبْد -slave (গোলাম)
72.أَهْل -family (দল,পরিবার)
73.يَد -hand(আয়ত্তে,হাত)
74.قَالَ -he said (বলেছেন)
75.كَانَ -he was

16th day :(verbal)
76.ءَامَنَ -he believed (তিনি বিশ্বাস করেছিলেন)
77.عَلِمَ -he knew (তিনি জানতেন)
78.جَعَلَ -he made (তৈরী করেছেন)
79.كَفَرَ -he disbelieved (অবিশ্বাস করেছিলো)
80.جَآءَ -he came

17th day :
81.عَمِلَ -he did (করেছিলেন)
82.آتَى -he gave (তিনি দিয়েছেন/লেন)
83.رَءَا -he saw (তিনি দেখেছিলেন)
84.أَتَى -he came (তিনি এসেছিলেন)
85.شَآءَ -he wished (ইচ্ছে পোষণ করেছিলেন)

18th day :
86.خَلَقَ -he created (তিনি তৈরী করেছেন)
87.أَنزَلَ -he sent down(তিনি প্রেরণ করলেন)
88.كَذَّبَ -he denied (মিথ্যে বলা অর্থে ব্যবহৃতও হয়,অস্বীকার করা অর্থেও)
89.دَعَا -he invoked (প্রার্থনা করা অর্থে)
90.ٱتَّقَى -he feared (ভয়)

19th day :
91.هَدَى -he guided (পরিচালিত করলেন)
92.هُوَ -he (তিনি,সে)
93.هُمَا -they both (উভয়েই)
94.هُمْ -they (male -তারা)
95.هِيَ -she (সে)

20 th day :
96.هُنَّ -they (female তারা)
97.أَنْتَ -you (male,তুমি)
98.أَنْتُمَا -you both (তোমরা উভয়েই)
99.أَنَا -I (আমি)
100.نَحْنُ -we (আমরা)

21

উপরিউক্ত শব্দগুলোর সম্ভাব্য বাংলা অর্থ আমি দেয়ার চেষ্টা করেছি,তবে বিভিন্ন আয়াতে শব্দগুলোর অর্থ ভিন্ন হতে পারে সে ব্যাপারে ইনশাআল্লাহ খেয়াল রাখবেন।
যেহেতু কোরআনে কারিম আমাদের জীবনের সঠিক গাইড লাইন দেয়। সে জন্যে অর্থ বুঝে পড়ার চেষ্টা করতে হবে। সকাল, কিংবা রাতে অথবা সাহরির আগে-পরে তাফসির চর্চার কাজ করতে পারেন। কোরআনে কারিমকে বুক সেলফে সাজিয়ে রেখে লাভ নেই। অনুবাদসহ বাংলা তাফসির গ্রন্থ কিনে ঘরের শোভা বাড়িয়ে লাভ নেই। কোরআন শরিফ এবং তাফসিরগুলোকে সেলফ থেকে নামিয়ে পড়ার টেবিলে আনতে হবে, নিয়মিত পড়তে হবে।
আল্লাহ্- কোরআনে ৪ বার বলেছেন--

আমি কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি বোঝার জন্যে । অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি ? (সূরা কামার ৫৪:১৭, ২২, ৩২, ৪০)

তাই চলুন কোরআনকে কোরআনের ভাষাতেই বুঝার চেষ্ঠা করি ।

[পুরো লেখাটি কয়েকটি পৃথক লেখার সমন্বয়ে গঠিত]
সূত্রঃ তাদাব্বুরে কুরআন ও পাঠশালা গ্রুপ।
Copy Paste

Related video:
https://vimeo.com/330113409
Reply

Muslim Woman
05-13-2020, 03:51 AM
একটুখানি তাদাব্বুর:

লা-খাইর!
-
এক কুরআনপ্রেমিক আরব শায়খ, তার কুরআনি ভাবনাটুকু এভাবে তুলে ধরেছেন!

- সব সময় চেষ্টা করি, রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়তে। তাহলে তাড়াতাড়ি ওঠা যাবে। দেরী করে ঘুমুতে গেলে ফজরের জামাত ধরা যায় না। ঘুম ঘুম চোখে নামাজ পড়তে আমার একদম ভাল লাগে না।

নিজেকে মুনাফিক মুনাফিক মনে হয়। খালি একটা আয়াত চোখের সামনে ভাসে:

এ মুনাফিকরা আল্লাহর সাথে ধোঁকাবাজি করে, অথচ আল্লাহই তাদেরকে ধোঁকায় ফেলে রেখেছেন। তারা যখন সালাতে দাঁড়ায়, তখন অলসতার সাথে দাঁড়ায়। তারা মানুষকে দেখায় আর আল্লাহকে অল্পই স্মরণ করে (নিসা ১৪২)।

আজ ফজরের নামাজ পড়তে গেলাম। মনটা শান্ত ছিল। রাতের ঘুমটাও বেশ হয়েছে। চারদিকে শীতল একটা আমেজ ছড়িয়ে আছে। হালকা আরামদায়ক বাতাসে মসজিদের দিকে হেঁটে যেতে বেশ ভালই লাগছিল। সুন্নাত আদায় করে জামাতে দাঁড়ালাম। কেরাত শুরু হল। মনোযোগ দিয়ে শোনার চেষ্টা করছি। ইমাম সাহেব আজীব এক আয়াত দিয়ে তিলাওয়াত শুরু করলেন:
لَا خَيْرَ فِي كَثِيرٍ مِنْ نَجْوَاهُمْ إِلَّا مَنْ أَمَرَ بِصَدَقَةٍ أَوْ مَعْرُوفٍ أَوْ إِصْلَاحٍ بَيْنَ النَّاسِ
মানুষের বহু গোপন কথায় কোনও কল্যাণ নেই। তবে কোনও ব্যক্তি দান-সদকা বা কোনও সৎকাজের কিংবা মানুষের মধ্যে মীমাংসার আদেশ করলে সেটা ভিন্ন কথা (নিসা ১১৪)।

আয়াতের শুরুটাই আমাকে ভীষণ নাড়া দিল!
(لَا خَيْرَ)
কোনও কল্যাণ নেই!

অপ্রয়োজনীয় কথা, কাজ, চিন্তা, চলাফেরা কিছুর মধ্যেই কল্যাণ নেই।

হায়! হায়! তাহলে আমার মধ্যে অসংখ্য অকল্যাণ বিরাজ করছে। আমি বিনা দরকারে, কত কথা বলি, কত চিন্তা করি, কত ওঠাবসা করি!
‘লা খাইর’,
এই একটা ছোট্ট বাক্য আমার সারাদিনের বহু আচরণকেই অসার করে দিয়েছে! অশুভ করে দিয়েছে! আরো গা-শিউরানো ব্যাপার হল, আমার বেশির ভাগ দিনের সিংহভাগই ‘কল্যাণহীন’।

মাথার মধ্যে শব্দটা ঘুরপাক খাচ্ছে আর নানাবিধ অর্থহীন আচরণ-কথা চোখের সামনে ভেসে উঠছে! সারাদিনের অগণিত আচরণ একে একে সামনে আসছে আর ‘লা খাইর’-এর সাথে ধাক্কা খেয়ে মুখ থুবড়ে পড়ছে!
ইয়া আল্লাহ! পাক কালামের একটা শব্দই যদি আমার বেশির ভাগ আচরণকে নাকচ করে দেয়, তাহলে বাকি কাজগুলোও কি অন্য কোনও কুরআনী বাক্যের সামনে মুখ থুবড়ে পড়বে? আমার আমলনামায় কিছুই বাকি থাকবে না যে! ষোলআনাই মিছে!

লা খাইর! বাক্যটা আমাকে বলছে, তুমি অপ্রয়োজনীন আড্ডাবাজি বন্ধ করো! অপ্রয়োজনীয় ঘোরাফেরা বন্ধ করো! অপ্রয়োজনীয় পড়াশোনাও বন্ধ করো!
আমি দু’চোখ রগড়ে তাকালেই দেখতে পাবো, আমার মধ্যে অনেক ‘লা খাইর’ জমে পুঞ্জীভূত হয়ে আছে। নামাজ শেষ করে বসে বসে ভাবছিলাম আর অনুশোচনায় দগ্ধ হচ্ছিলাম! আমার কী হবে! আমি ‘খাইর’-কল্যাণ কিভাবে আনব?
ভাল কাজের আদেশ করতে হবে।
মানুষকে দান-সদকার দিকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

#শায়েখ আতিক উল্লাহ হাফি.
Reply

Hey there! Looks like you're enjoying the discussion, but you're not signed up for an account.

When you create an account, you can participate in the discussions and share your thoughts. You also get notifications, here and via email, whenever new posts are made. And you can like posts and make new friends.
Sign Up

Similar Threads

British Wholesales - Certified Wholesale Linen & Towels | Holiday in the Maldives

IslamicBoard

Experience a richer experience on our mobile app!