· ২০০৮ সালের ২৮ এপ্রিলের কথা মনে আছে? পৃথিবীর সর্বকনিষ্ঠ প্রাণীবিজ্ঞানী সাজিদ আলী হাওলাদার তখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। নতুন নতুন প্রজাতির ব্যাঙ খোঁজা ছিল তাঁর নেশা। একদিন মাথায় আসলো ব্যাঙ সংরক্ষণ দিবস পালন করার। যেই চিন্তা সেই কাজ।
সাজিদ ২০০৮ সালের ২৮ এপ্রিল কিছু ব্যাঙ সংগ্রহ করে ক্যাম্পাসে আয়োজন করতে চেয়েছিল ব্যাঙ সংরক্ষণ দিবস। এর পরের ইতিহাস কি হয়েছিল তা হয়তো সাজিদ এবং তার বন্ধুরা এখনো ভুলেননি। তৎকালীন প্রক্টর সাজিদ আলী হাওলাদার এবং তার টিমকে পুলিশ দিয়ে লাঠিপেটা করে উঠিয়ে দেয় । ভন্ডুল হয়ে যায় সাজিদ আলী হাওলাদের সেই ব্যাঙ সংরক্ষণের সব আয়োজন।
হ্যাঁ, সেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনই এখন হয়তো লোভনীয় টাকার অফারে ক্লোজ-আপ কোম্পানীকে বিশ্রী একটি কাজ করার সুযোগ দিয়ে দিলো। প্রেমিক-প্রেমিকাকে ক্লোজ-আপের চিহ্নিত কিছু রিক্সায় বৈধভাবে চুদিয়ে প্রেম করার সুযোগ করে দিলো।
আপনি নিশ্চয়ই ভুল পড়ছেননা। এটাই সত্য। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয় সৃজনশীল কাজকে সাধুবাদ দিবে, গবেষণায় এগিয়ে আসবে বরং তা না করে এমন ঘৃণ্য একটি কাজকে বৈধতা দিল যা অকল্পনীয়, রীতিমত ভয়ানক। কোথায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মান গিয়ে পৌঁছেছে, চিন্তা চেতনা গিয়ে পৌঁছেছে?
প্রেমিক-প্রেমিকা সব ক্যাম্পাসেই আছে কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় একটি বাণিজ্যিক কোম্পানী কাছে এমন ঘৃণ্য কাজকে অনুমতি দেবে কেন? তাহলে নিশ্চয়ই আগামীকাল থেকে কপোত-কপোতীরা অশ্লীল কোন কাছ করলেও প্রশাসন বাঁধা দেওয়ার অধিকার রাখতে পারবেনা কেননা প্রশাসনই তো পথ দেখিয়েছে।
মূল কথা হচ্ছে, শিক্ষক সমাজের যখন নৈতিক অবক্ষয় ঘটে তখনি বিজ্ঞান মেলার পরিবর্তে কাপলদের মেলার ব্যবস্থা করে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এ আয়োজনের অনুমতি দেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি তীব্র ঘৃণা জানাচ্ছি। সাথে সাথে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করছি অবিলম্বে এ অনুমতি বাতিল করা হোক। অন্যথায় ক্যাম্পাসে অশালীন কিছু ঘটলে দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেই নিতে হবে।
-----
From: CU news
"ক্লোজআপ" এর এই অবাধ যৌনতার আহবানের বিরুদ্ধে সোচ্চার হউন।। #ভ্যালেন্টাইন্স_ডে উপলক্ষে দেশের শীর্ষ ৫ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যম্পাসে আজ ০৯-১৬ তারিখ পর্যন্ত সকাল ৮.০০ ঘটিকা থেকে রাত ৮.০০ ঘটিকা পর্যন্ত প্রেমিক-প্রেমিকাদের জন্য রিক্সা যুগে ফ্রি রিক্সা-ভ্রমনের কার্যক্রম ঘোষনা করেছে।
ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস আজ তাদের এই কার্যক্রমের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারী করেছে।।
"ক্লোজআপ" এর এই অবাধ যৌনতার আহবানের বিরুদ্ধে সোচ্চার হউন।। #ভ্যালেন্টাইন্স_ডে উপলক্ষে দেশের শীর্ষ ৫ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যম্পাসে আজ ০৯-১৬ তারিখ পর্যন্ত সকাল ৮.০০ ঘটিকা থেকে রাত ৮.০০ ঘটিকা পর্যন্ত প্রেমিক-প্রেমিকাদের জন্য রিক্সা যুগে ফ্রি রিক্সা-ভ্রমনের কার্যক্রম ঘোষনা করেছে।
ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস আজ তাদের এই কার্যক্রমের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারী করেছে।।
'আরবীয় সংস্কৃতি' 'বৈদেশিক সংস্কৃতি' বলতে বলতে মুখে ফেনা তোলা সুশীলরা "ভালবাসা দিবস" নিয়ে কোন বিবৃতি প্রসব করেন নাই? নাকি এটাও হাজার বছরের বাঙ্গালি সংস্কৃতি!
+++++++
Dr Ahsan Sabbir তখন আমরা ফার্স্ট ইয়ারে। সবকিছুই নতুন নতুন। সবার সাথে তেমনভাবে পরিচিত হয়ে উঠা হয়নি তখনো। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতে একদিন চোখ দুইটা রসগোল্লার মতো বড়বড় করে দেখলাম অমুক ছেলে আর অমুক মেয়ে বারান্দার কোণে নিবিষ্ট মনে লেখাপড়া করছে। কৌতূহলী হয়ে ছেলেটাকে জিজ্ঞেস করতেই তার ঝটপট উত্তর "আমি তাকে বোন বানিয়েছি। একসাথে লেখাপড়া করি। তোমরা এর বেশী কিছু ভেবো না।" আরো কিছুদিন পর দেখি এরকম পাতানো ভাই-বোনের সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বেড়ে চলছে। ভাই-বোন জুটির সংখ্যা বাড়ার সাথে পাল্লা দিয়ে জুটিগুলির ঘনিষ্ঠতাও বাড়তে থাকে। তাদের ভাই-বোনের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে প্রেমিক-প্রেমিকায় রূপ নেয়।
মানে জুটির মেয়েটি "বোন" থেকে "বউন"-এ (বউ + ন = বউন) পরিণত হয়।
তো একদিন এক ভাই-বউন জুটিকে আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে ধরে ফেললাম। ব্যাপার কি জানতে চাইলে ছেলেটি চট করে বলে ফেলে--
"ওকে আমি ভালোবাসি। আমি ওকে বউ বানাবো।"
আমি হাসতে হাসতে উত্তর দিলাম "কিরে, প্রথমে বানালি বোন। তারপর সে হয়ে গেল বউন। আর এখন বলতেছিস বউ।" =D
এভাবেই অনেক ভাই-বোন জুটির বোনটি বিবর্তনের মাধ্যমে বউতে পরিণত হয়ে গেল। মানে বোন => বউন => বউ
এবার মূল কথায় ফিরি। ফেবুর মাধ্যমে জানলাম ক্লোজআপের স্পনসরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কপোত-কপোতীদের জন্য ফ্রি রাইডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মানে প্রেমিক যুগল যেন বিনা সংকোচে ফ্রি মাইন্ডে এসব বাহনে চেতনা বিনিময় করতে পারে তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কয়েকদিন পর দেখা যাবে রিক্সার বদলে ছাউনি ঘেড়া ভ্যানের ব্যাবস্থাও হবে যেন চূড়ান্ত কাজটাও আরামসে তারা সেরে ফেলতে পারে। সেদিন বেশী দূরে নয়, যেদিন বোন থেকে বউয়ে পরিণত হবার মতো ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরীর আদলে এসব রিক্সাও ভ্রাম্যমাণ পতিতালয়ে পরিণত হবে।
ক্লোজআপের সিস্টার কোম্পানি হলো ইউনিলিভার।
এই ইউনিলিভারই লাক্স সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার নামে মেয়েদের উলঙ্গ করা শুরু করে আজ প্রকাশ্যে বলছে "দেখিয়ে দাও অদেখা তোমায়।" অধিকিন্তু এই ইউনিলিভার একটি ইহুদী কোম্পানি, যাদের লাভের টাকায় ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের মারার জন্য বোমা-গুলি তৈরি করে।
তাই এদের মুখে জুতা খুলে মারা আজ ঈমানী দায়িত্ব। ক্লোজআপ, লাক্স সহ ইউনিলিভারের সব পণ্য আজ থেকেই বর্জন করে এদের ব্যবসায় লালবাতি জালিয়ে দিন।
------
Last edited by Muslim Woman; 02-12-2018 at 08:22 AM.
Christ will never be proud to reject to be a slave to God .....holy Quran, chapter Women , 4: 172
সেখানে দেখনো হয় একটি মেয়েকে(যার মাথায় হিজাব পরানো হয়েছে), আরেকটি খ্রিস্টান ছেলের সাথে প্রেমের(যিনা) সম্পর্ক ছিল, কিন্তু মেয়েটি পরিবারের বিরুদ্ধে যেতে পারবে না বলে ছেলেটির সাথে রিলেশন ব্রেকাপ করে। হঠাৎ একদিন তাদের ট্রেনে দেখা হয়, মেয়েটি তখন খ্রিস্টান ছেলেটির দিকে তাকিয়ে থাকে, এর মধ্যে মেয়েটির হাজবেন্ড চলে আসে, তখন মেয়েটি ছেলেটির দিকে আড় চোখে তাকিয়ে থাকে। এই তাকানোর মাধ্যমে কয়েকটি প্রশ্ন তোলা হয়েছেঃ
১. পরিবারের দিকে আঙুল তোলা হয়েছে।
২. ধর্মকে(ইসলামকে) ভিলেন বানানো হয়েছে। যদি ধর্মীয় বাধা না থাকত তবে তারা একসাথে থাকতে পারত।
এভাবেই তরুণ প্রজন্মের কাছে ধর্মকে(ইসলামকে) ভিলেন বানানো হচ্ছে। তাদেরকে ব্রেনওয়াশড করা হচ্ছে। অথচ একজন মুসলিম বা মুসলিমা(আল্লাহর অনুগত) কখনোই একজন অবিশ্বাসীর সাথে একসাথে থাকতে পারে না। একজন অবিশ্বাসীকে ভালোবাসতে পারে না যদি সে আখিরাতে বিশ্বাসী হয়ে থাকে এবং মহান আল্লাহকে ভালোবেসে থাকে এবং ভয় পেয়ে থাকে। একজন মুসলিম বা মুসলিমা কখনো অবৈধ প্রেম তথা যিনায় লিপ্ত হতে পারে না।
মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে এব্যাপারে বলেন,
"নিশ্চয় যারা মুমিনদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রসার কামনা করে, তাদের জন্য রয়েছে দুনিয়া ও আখেরাতে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। আর আল্লাহ্- জানেন, তোমরা জানো না।(সূরা আননূর-১৯)
বনী ঈসরাইলের ৩২ নং আয়াতে এরশাদ হয়েছে, "আর যিনার ধারের-কাছেও যেও না, নিশ্চয় তা অশ্লীল ও নিকৃষ্ট আচরণ।"
অন্য সূরায় আল্লাহ বলেন, "প্রকাশ্যে হোক কিংবা গোপনে হোক, অশ্লীল কাজের ধারে-কাছেও যাবে না।"
(আল আন'আম-১৫১)
আর এটা ধর্মহীন, সামাজিকতাবিহীন পশুর সমাজ গড়ে তোলার একটি নীল-নকশার অংশ। তাই ইহুদী পণ্য ক্লোজআপের এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলুন। বর্জন করুন ঈসরাইলী পণ্য।
সংগৃহীত
Christ will never be proud to reject to be a slave to God .....holy Quran, chapter Women , 4: 172
'আরবীয় সংস্কৃতি' 'বৈদেশিক সংস্কৃতি' বলতে বলতে মুখে ফেনা তোলা সুশীলরা "ভালবাসা দিবস" নিয়ে কোন বিবৃতি প্রসব করেন নাই? নাকি এটাও হাজার বছরের বাঙ্গালি সংস্কৃতি!
+++++++
Dr Ahsan Sabbir তখন আমরা ফার্স্ট ইয়ারে। সবকিছুই নতুন নতুন। সবার সাথে তেমনভাবে পরিচিত হয়ে উঠা হয়নি তখনো। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতে একদিন চোখ দুইটা রসগোল্লার মতো বড়বড় করে দেখলাম অমুক ছেলে আর অমুক মেয়ে বারান্দার কোণে নিবিষ্ট মনে লেখাপড়া করছে। কৌতূহলী হয়ে ছেলেটাকে জিজ্ঞেস করতেই তার ঝটপট উত্তর "আমি তাকে বোন বানিয়েছি। একসাথে লেখাপড়া করি। তোমরা এর বেশী কিছু ভেবো না।" আরো কিছুদিন পর দেখি এরকম পাতানো ভাই-বোনের সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বেড়ে চলছে। ভাই-বোন জুটির সংখ্যা বাড়ার সাথে পাল্লা দিয়ে জুটিগুলির ঘনিষ্ঠতাও বাড়তে থাকে। তাদের ভাই-বোনের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে প্রেমিক-প্রেমিকায় রূপ নেয়।
মানে জুটির মেয়েটি "বোন" থেকে "বউন"-এ (বউ + ন = বউন) পরিণত হয়।
তো একদিন এক ভাই-বউন জুটিকে আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে ধরে ফেললাম। ব্যাপার কি জানতে চাইলে ছেলেটি চট করে বলে ফেলে--
"ওকে আমি ভালোবাসি। আমি ওকে বউ বানাবো।"
আমি হাসতে হাসতে উত্তর দিলাম "কিরে, প্রথমে বানালি বোন। তারপর সে হয়ে গেল বউন। আর এখন বলতেছিস বউ।" =D
এভাবেই অনেক ভাই-বোন জুটির বোনটি বিবর্তনের মাধ্যমে বউতে পরিণত হয়ে গেল। মানে বোন => বউন => বউ
এবার মূল কথায় ফিরি। ফেবুর মাধ্যমে জানলাম ক্লোজআপের স্পনসরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কপোত-কপোতীদের জন্য ফ্রি রাইডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মানে প্রেমিক যুগল যেন বিনা সংকোচে ফ্রি মাইন্ডে এসব বাহনে চেতনা বিনিময় করতে পারে তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কয়েকদিন পর দেখা যাবে রিক্সার বদলে ছাউনি ঘেড়া ভ্যানের ব্যাবস্থাও হবে যেন চূড়ান্ত কাজটাও আরামসে তারা সেরে ফেলতে পারে। সেদিন বেশী দূরে নয়, যেদিন বোন থেকে বউয়ে পরিণত হবার মতো ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরীর আদলে এসব রিক্সাও ভ্রাম্যমাণ পতিতালয়ে পরিণত হবে।
ক্লোজআপের সিস্টার কোম্পানি হলো ইউনিলিভার।
এই ইউনিলিভারই লাক্স সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার নামে মেয়েদের উলঙ্গ করা শুরু করে আজ প্রকাশ্যে বলছে "দেখিয়ে দাও অদেখা তোমায়।" অধিকিন্তু এই ইউনিলিভার একটি ইহুদী কোম্পানি, যাদের লাভের টাকায় ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের মারার জন্য বোমা-গুলি তৈরি করে।
তাই এদের মুখে জুতা খুলে মারা আজ ঈমানী দায়িত্ব। ক্লোজআপ, লাক্স সহ ইউনিলিভারের সব পণ্য আজ থেকেই বর্জন করে এদের ব্যবসায় লালবাতি জালিয়ে দিন।
------
Hey there! Looks like you're enjoying the discussion, but you're not signed up for an account.
When you create an account, we remember exactly what you've read, so you always come right back where you left off. You also get notifications, here and via email, whenever new posts are made. And you can like posts and share your thoughts.
Sign Up
Bookmarks