এই চন্দ্র মাসের (রবিউস-সানী) ১৩,১৪ ও ১৫ তারিখ যথাক্রমে
*❇️ ২৯ অক্টোবর, রবিবার*
*❇️ ৩০ নভেম্বর, সোমবার*
*❇️ ১ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার*
শনিবার রাত থেকে সাহরি খেতে হবে।
✅ প্রত্যেক মাসে তিনটি রোযা রাখা সারা বছর রোযা রাখার সমতুল্য। [বুখারী ১৯৭৯নং, মুসলিম ১১৫৯ নং]
✅প্রত্যেক মাসের তিনটি রোযা অন্তরের বিদ্বেষ ও খট্কা দূর করে দেয়।’’[বাযযার, সহীহ তারগীব, আলবানী ১০১৮নং]
✅ রাসূল ﷺ তাঁর একান্ত ভক্ত আবূ হুরাইরা (রাঃ)-কে এই রোযা রাখতে অসিয়ত (বিশেষ উপদেশ) করেছেন। [আহমাদ, মুসনাদ ২/৪৫৯, বুখারী ১১৭৮, মুসলিম ৭২১, দারেমী, বাইহাকী ৪/২৯৩ প্রমুখ]
✅এই তিন রোযা প্রত্যেক চান্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারীখে হওয়া মুস্তাহাব। [আহমাদ, মুসনাদ ৫/১৬২, ১৭৭, তিরমিযী, নাসাঈ, বাইহাকী ৪/২৯৪, ইরওয়াউল গালীল, আলবানী ৯৪৭নং]
শাওয়ালের ছয় রোজা !
.
শাওয়ালের রোজার হুকুমঃ রমজানের সিয়াম পালনের পর শাওয়াল মাসে ছয়টি রোজা রাখা সুন্নত-মুস্তাহাব; ফরজ নয়।
.
ফজিলতঃ আবু আইয়ুব (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি রমজানের রোজা রাখল এরপর শাওয়াল মাসে ছয়টি রোজা রাখল সে যেন গোটা বছর রোজা রাখল।”(সহিহ মুসলিম)
.
এই রোজার হিকমতঃ অবহেলার কারণে অথবা গুনাহর কারণেরমজানের রোজার উপর যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে থাকে সেটা পুষিয়ে নেয়া।কেয়ামতের দিন ফরজ আমলের কমতি নফল আমল দিয়ে পূরণ করা হবে। যেমন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: কেয়ামতের দিন মানুষের আমলের মধ্যে সর্বপ্রথমনামাযের হিসাব নেয়া হবে।
তিনি আরো বলেন: আমাদের রব ফেরেশতাদেরকে বলেন –অথচ তিনি সবকিছু জানেন- তোমরা আমার বান্দার নামাযদেখ; সেকি নামায পূর্ণভাবে আদায় করেছে নাকি নামাযে ঘাটতি করেছে। যদি পূর্ণভাবে আদায় করে থাকে তাহলে পূর্ণ নামায লেখা হয়। আর যদি কিছু ঘাটতি থাকে তখন বলেন: দেখ আমার বান্দার কোন নফল নামায আছে কিনা? যদি নফল নামায থাকে তখন বলেন: নফল নামায দিয়ে বান্দার ফরজের ঘাটতি পূর্ণ কর। এরপর অন্য আমলের হিসাব নেয়া হবে।[সুনানে আবু দাউদ]
.
যাদের ভাংতি রোজা আছে তারা কী করবে? 'শাওয়াল মাসে তাদের ভাংতি রোজাগুলো আগে পূর্ণ করে নেবে। তারপর তারা শাওয়ালের ৬ রোজা পালন করবে।
.
বিধানঃ
১. এক নাগারে ৬টি রোজাই করতে হবে-এমন বিধান নেই।
২.ভেঙে ভেঙে পুরো শাওয়াল মাস জুড়ে ৬টি রোজা করা যেতে পারে।
৩.সোমবার বৃহঃপতিবারেও করা যাবে সে ক্ষেত্রে আরও একটি সুন্নত যুক্ত হয়ে ডাবল সাওয়াব পাওয়া যাবে।
৪. শাওয়াল মাসের ১৩,১৪,১৫ তারিখের রোজায় এ ছয়রোজার নিয়ত করা যাবে।
৫.কাজা রোজা আগে করে নিন এরপর শাওয়ালের রোজা করুন, বেশি হলে এটাও করে নেয়া যাবে।
.
আল্লাহ তাআলাই বেশি জানেন। আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন। কবুল করুন।
Copy
Christ will never be proud to reject to be a slave to God .....holy Quran, chapter Women , 4: 172
প্রশ্ন: কাযা নামায কিভাবে আদায় করতে হয়?
▬▬▬▬✪✪✪▬▬▬
প্রশ্ন:
১. ঘুম থেকে উঠে যদি দেখি যে, সূর্য উঠে গেছে। তাহলে ফজরের কাজা কিভাবে পড়তে হবে? সূর্য উঠার পর ১৫/২০ মিনিট পর নাকি সূর্য যে অবস্থায় থাকে সাথে সাথেই ফজরের কাজা আদায় করে নিতে হবে?
২. ঘুম থেকে উঠে যদি দেখে যে, সূর্য উঠে গেছে, তাহলে সকালে যদি ফজরের কাজাটা না পড়ে জোহরের নামাজের সাথে একসাথে পড়ে নেয় তাহলে কি তা জায়েজ হবে?
৩. কাজা নামায কি সিরিয়াল অনুযায়ী পড়তে হয়? যেমন: ফজর আর জোহর যদি কাজা হয়, তাহলে যখন আসরের নামাজ পড়ব তখন আসরের নামাযের পূর্বে কি ফজর অত:পর যোহরের নামাযটা আদায় করে নিতে হবে? আর তা না করে যদি এশার সময় ঐ কাজাগুলো একসাথে পড়ে নেই তাহলে কি হবে?
উত্তর:
■ ১) ঘুম থেকে জাগার পর পবিত্র হয়ে অনতিবিলম্বে ফজরের নামায আদায় করে নিতে হবে সূর্য যে অবস্থায় থাকুক না কেন। সূর্য উঠার ১৫/২০ বিলম্ব করবে না।
কেননা, সূর্য উদিত হওয়া শুরু হওয়ার পর প্রায় ১৫/২০ মিনিট পর্যন্ত এই নিষিদ্ধ সময়ে কেবল সাধারণ নফল নামায আদায় করা নিষেধ। ফরয নামায কাযা করা দোষণীয় নয়।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘুম বা ভুলে যাওয়ার কারণে নামায কাযা হয়ে গেলে ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার বা স্মরণ হওয়ার সাথে সাথে অনতিবিলম্বে তা আদায় করতে বলেছেন।
■ ২. ফজরের কাযা নামায ইচ্ছাকৃত ভাবে বিলম্ব করে যোহরের সাথে আদায় করা জায়েয নয়। অন্যথায় গুনাহগার হতে হবে। সুতরাং ওজর বশত: কোন নামায ছুটে গেলে যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি তা আদায় করে দায়িত্বমুক্ত হওয়া জরুরি।
■ ৩. একাধিক ওয়াক্তের নামায ছুটে গেলে সেগুলো পরবর্তীতে কাযা করার সময় ধারাবাহিকতা রক্ষা করা ওয়াজিব অর্থাৎ আগেরটা আগে এবং পরেরটা পরে আদায় করতে হবে। (এটি জুমহুর বা অধিকাংশ আলেমের অভিমত)
আরও পড়ুন:
Christ will never be proud to reject to be a slave to God .....holy Quran, chapter Women , 4: 172
পোস্ট দিতে একটু দেরি হয়ে গেল।
যারা এখনো শুরু করেন নি , আজ রাতে সাহরি খাওয়া শুরু করে দিন
**
এক ঢিলে তিন পাখি!
কাঁঠাল পাকা এই গরমে বরফ শীতল সুকুন হয়ে উঠতে পারে শাওয়ালের নফল সাওম। সহজ আমলে অধিক নেকি অর্জনের বিরাট এই সুযোগ অন্তর প্রশান্তকারী না হয়ে পারেই না!
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
“যে ব্যক্তি রমাদানে সাওম রাখলো; অতঃপর শাওয়াল মাসে ছয়টি সাওম রাখলো, সে যেন সারা বছর সাওম রাখলো।” [আবু দাউদ, ২৪৩৩]
রমাদানে তো আমরা সকলেই সাওম রেখেছি। এখন শাওয়াল মাসে আর মাত্র ছয়টি সাওম রাখলেই সারা বছর সাওম রাখার সাওয়াব পেয়ে যাবো। সুবহানাল্লাহ! ভাবতে পারছেন!
আরও ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হচ্ছে, আমরা চাইলে একইসাথে আরও দুটি পাখি শিকার করতে পারবো। কিন্তু কীভাবে?
লোকাল সাইটিং অনুসারে আগামী বুধ-বৃহস্পতি-শুক্রবার চান্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ। অর্থাৎ, আইয়ামে বীযের সময়। তাই আমরা যদি রবিবার থেকে টানা ছয়দিন সাওম রাখি, তবে এক ঢিলে তিনটি পাখি শিকার হয়ে যাবে। শাওয়ালের নফল সাওম, আইয়ামে বীয এবং সোম-বৃহস্পতির সাপ্তাহিক সাওম। এক ঢিলে তিন তিনটি পাখি! দারুণ না?
আগুন গরম রোদ্দুরের এই দিনগুলোতে অন্তর শীতলকারী এমন সুযোগ কি হাতছাড়া করার মতো?
Christ will never be proud to reject to be a slave to God .....holy Quran, chapter Women , 4: 172
Hey there! Looks like you're enjoying the discussion, but you're not signed up for an account.
When you create an account, we remember exactly what you've read, so you always come right back where you left off. You also get notifications, here and via email, whenever new posts are made. And you can like posts and share your thoughts.
Sign Up
Bookmarks