[২০০৪ এ ডেনমার্কে যখন রাসূলুল্লাহ ﷺ এর অবমাননা করা হয় তখন বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ হয়।
অনেক দেশে ড্যানিশ দূতাবাস ঘেরাও করা হয়।
ড্যানিশ পণ্য বর্জনের আহবান করা হয়। প্রথমে একগুয়েমি করলেও ডেনমার্কের সরকার একসময় দুঃখপ্রকাশ করতে বাধ্য হয়। ড্যানিশ প্রধানমন্ত্রী বলতে বাধ্য হয়, এই ঘটনা ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ডেনমার্কের জন্য সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক সংকট।
২০১২ তে অ্যামেরিকাতে ইসলামবিদ্বেষী শর্ট ফিল্মে রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর অবমাননার পর সারা বিশ্বে বিক্ষোভ হয়।
এটা ছিল ৯/১১ এর পরের যুগে অ্যামেরিকার সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক সংকটের অন্যতম। প্রথমে বাকস্বাধীনতার গালগপ্প করলেও বিক্ষোভের মুখে অ্যামেরিকাও পিছু হটতে বাধ্য হয়।
.
ফ্রান্স এখন যা করছে তা আগের সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে। আগের ঘটনাগুলো ছিল কিছু লোকের ব্যক্তিগত কাজকর্ম। কিন্তু ফ্রান্সে রাষ্ট্রযন্ত্র, সরকার এবং সাধারণ জনগণ সামষ্টিকভাবে রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর অবমাননায় সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছে। খোলা রাস্তায় প্রজেক্টর দিয়ে ব্যাঙ্গচিত্র দেখানো হচ্ছে। ফ্রেঞ্চ পুলিশ তথা সরকার সেখানে অস্ত্র হাতে নিরাপত্তা দিচ্ছে। ফ্রেঞ্চ প্রধানমন্ত্রী দম্ভভরে ঘোষণা দিচ্ছে তারা ‘কখনোই কার্টুন প্রদর্শন বন্ধ করবে না’। এরা বেইসিকালি সামষ্টিকভাবে ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।
.
বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ, পণ্য বর্জন – রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর অবমাননাকারীর উপযুক্ত শাস্তি না। তবে এগুলোর ইফেক্টিভনেস একেবারে উড়িয়ে দেয়া যায় না। ফ্রান্সের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া এবং প্রতিবাদ করা আজ সব মুসলিমদের দায়িত্ব। বিশেষ করে ইসলামী দল, সংগঠন, আন্দোলন, আলিম এবং দা’ঈদের জন্য। সবার উচিৎ নিজ নিজ পদ্ধতি অনুযায়ী এর প্রতিবাদ করা। স্পষ্টভাবে ফ্রান্স এবং পশ্চিমা বিশ্বের কাছে এ বার্তা দেয়া যে, মুসলিমরা এই অবমাননা সহ্য করবে না।
.
যদি আল্লাহ রাসূল এর অবমাননার প্রতিবাদে, তা প্রতিরোধে কিছু করা না যায়, তাহলে এতো ইসলামী দল, আন্দোল কিংবা সংগঠন থাকার কী ফায়দা? যদি প্র্যাগম্যাটিসমে� � দোহাই দিয়ে রাসূলুল্লাহ এর সম্মান রক্ষায় অবস্থান নেয়া না যায় তাহলে ঐ প্র্যাগম্যাটিসমে� � কী দাম? আর এমন ইসলামী রাজনীতি কিংবা আন্দোলন করার কী অর্থ? এতো সব দল, সংগঠন, বক্তা, লেখক, বই, সেলিব্রিটি থাকার কী অর্থ? ইন ফ্যাক্ট, যদি রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর অবমাননার জবাবে কিছু করা না যায়, তাহলে ঐ জীবনের কী মূল্য?
.
ফ্রান্স এবং পশ্চিমা কুফফারকে স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দেয়া দরকার যে আমাদের নবীর সম্মান হল এমন এক সীমা যার লঙ্ঘন আমরা মেনে নেবো না। রাসূলুল্লাহ ﷺ কে আক্রমন করা হলে এমন এক ঝড়ের জন্ম হেবে যে ঝড়ের ধূলো কখনো মিটবে না।
লিখেছেনঃ আসিফ আদনান]
এই লিখা পিক সহ কপি করে পোস্ট দিন।
শেয়ার করলে বেশি মানুষের কাছে পৌছাবে না।
Christ will never be proud to reject to be a slave to God .....holy Quran, chapter Women , 4: 172
হে আল্লাহ, কিতাব নাযিলকারী, দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী! আপনি শত্রুবাহিনীকে পরাভূত করুন। হে আল্লাহ! আপনি তাদেরকে পরাজিত করুন এবং তাদের মধ্যে ত্রাস সৃষ্টি করে দিন।
খুব পজেটিভ নিউজ। মুসলিমরা ফুঁসে উঠেছে ফ্রান্সের ইসলামী ফোবিয়া নিয়ে। কুয়েতের পর কাতারও তাদের মার্কেট থেকে ফ্রান্সের পণ্য সরিয়ে ফেলছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ফ্রান্সের পণ্য বর্জন নিয়ে হ্যাশট্যাগ, ক্যাম্পেইন জোরালো হচ্ছে। অনেকে জিজ্ঞে করে ফ্রান্সের পণ্যের তালিকা দিতে। আসলে এত বড় তালিকা কে পড়? কেনার সময় মেইড ইন ফ্রান্স দেখে নিলে বা দোকানদারকে জিজ্ঞেস করলেই হয়। সাধারণ পাব্লিক যেসব পণ্য কিনেন এরমধ্যে পারফিউম, গ্যাস সিলিন্ডার, কম্বল, জুস মেশিন জাতীয় দ্রব্য, কিছু খাদ্য পণ্য ইত্যাদি আছে যা বিদেশে প্রচুর চলে।
হতশাবাদীরা বলবে আমার ক্যাম্পেইনে কি হবে? আরব বসন্ত নামক প্রতিবাদ শুরু হয়েছিল শুধু একজন ফল বিক্রেতার প্রতিবাদ থেকে! সাম্প্রতিক ফ্রান্সে ইসলাম বিদ্বেষের প্রতিবাদে কুয়েতের একজন ব্যাবসায়ী তার দোকান থেকে ফ্রান্সের মাল সরিয়ে ফেলেন। মূহুর্তে তা ভাইরাল হয়ে এখন পুরা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে। এভাবে একজন থেকে শুরু হয়ে বড় রুপ ধারণ করে। ক্ষুদ্র,ক্ষুদ্র জলরাশিতে সমুদ্র আবার ক্ষুদ্র বালির সমষ্টিতে বড়বড় বিল্ডিং হয়। হতাশ কেন? আপনি আপনার অবস্থান থেকে শুরু করেন, ব্যাস।
যেকোন ক্যাম্পেইনে এখন হ্যাশট্যাগ গুরুত্বপূর্ণ। আগে শুধু টুইটারে হ্যাশট্যাগের প্রচলন বেশী ছিল। এখন ফেইসবুক, ইনস্টগ্রাম, ইউটিউব-সহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায়ও প্রচুর হ্যাশট্যাগ ব্যাবহার করা হয়। যাদের লিখতে সমস্যা তারা সহজে কপি করতে পারেন বিভিন্ন ভাষায়।
কখনও চিন্তা করেছেন বিশ্বে এত ধর্ম থাকতে ফ্রান্স কেন ইসলামকেই বারবার আক্রমণ করে?
বুঝলাম যে তারা সেকুলার এবং ধর্মবিরোধী! তাহলে সব ধর্মের বিরোধীতাই তো তাদের করা উচিত!
কই খ্রিস্টান,ইহুদি অথবা হিন্দুদেরকে অপমান করে তো তাদেরকে এমন হাঙ্গামা করতে দেখা যায় না! কিন্তু মুসলিম মেয়েদের হিজাব করাকেই কেন ব্যান করতে হবে? মুসলিমদের প্রিয় রসূল ﷺ কে কেন অপমান করতে হবে?
আমরা কি বুঝতে পারি যে, ওরা আসলে ইসলামকে ভয় পায়? ওরা নিজেরাও বুঝে যে ইসলাম এমন শক্তিশালী একটা জীবন-ব্যবস্থা যা মানুষকে তার শিকড়কে ধরে নাড়িয়ে দেয়! মুসলিমরা তাদের ঈমান থেকে যে মানসিক শক্তি পায়, সেটা যদি সবার মধ্যে জাগ্রত হয়ে যায়, তাহলে তো তাদের খবরই আছে! পুরো পৃথিবী জুড়ে যে মিথ্যাচার এবং পাপাচার চলছে, যেই পাপের সংস্কৃতির ওপর ভিত্তি করে তাদের ক্ষমতা এবং টাকার মূলধন আসে, মুসলিমদের কাছে এমন হাতিয়ার আছে যা তাদের সব পরিকল্পনাকে ভণ্ডুল করে দিবে।
আমরা পর্নোগ্রাফি দেখিনা, ফালতু মেকআপ ইন্ডাস্ট্রির পিছনে ছুটি না, মদ খাই না, যে হারাম প্রেমকে পুঁজি করে কোটি কোটি মিডিয়ায় এবং কোম্পানির ব্যবসা হয় সেই প্রেমের ধার ধারি না, আমরা পর্দা করি, সুন্দর আচরণ করি, আমাদের জীবনের স্ট্রাকচার আছে, ডিসিপ্লিন আছে। আমরা ইসলামকে ঘরের আলমারিতে লুকিয়ে রাখি না। আমরা দ্বীন ইসলামের এবং হিদায়াতের আলো সবার অন্তরে পৌঁছে দিতে চাই। কল্যাণ এবং উপকার শুধু নিজের জন্য না, সবার জন্য!
মুসলিম উম্মাহর ঐক্য শক্তি এবং নৈতিক শক্তি যে কাফেরদের অন্তরে কি পরিমান ভীতি সৃষ্টি করে তা কি আমরা বুঝতে পারি না? সেই ভয় থেকেই তো তারা তাদের নিম্ন প্রকৃতির আচরণ দিয়ে বারবার ইসলামকে আক্রমণের চেষ্টা করে!
কাফেররা আমাদের ইসলামের শক্তি বুঝে! কিন্তু আমরা নিজেরা আমাদের শক্তি বুঝিনা!
হায় ইয়া উম্মাতি!! এবার তো জেগে উঠো!! এখন না জাগলে আর কবে জাগবে? এখন নিজের শিকড়কে না ধরলে আর কবে ধরবে?
Hey there! Looks like you're enjoying the discussion, but you're not signed up for an account.
When you create an account, we remember exactly what you've read, so you always come right back where you left off. You also get notifications, here and via email, whenever new posts are made. And you can like posts and share your thoughts.
Sign Up
Bookmarks