Muslim Woman
Super Moderator
- Messages
- 12,286
- Reaction score
- 1,449
- Gender
- Female
- Religion
- Islam
বিসমিল্লাহ
#বিবাহের ক্ষেত্রে বেহায়াপনা!
বিবাহ একটি ইবাদত! বিবাহ একটি জরুরত! চরিত্র হেফাজতের সবচেয়ে বড় ও একমাত্র মাধ্যম হল এই "বিবাহ"!
বিবাহ কারো জন্য ফরজ, কারো জন্য সুন্নত, কারো জন্য নফল আবার ক্ষেত্রে বিশেষে কারো জন্যে হারামও বটে!
গুণীজনেরা বলতেন, "বিবাহকে সহজ করে দাও, যেনা কঠিন হয়ে যাবে"! অথচ আমাদের সমাজের চিত্র পুরোপুরি উল্টো!
যার বাস্তবতায় আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, বর্তমান সময়ে বিয়ের বাজারটা অনেক কঠিন হয়ে গিয়েছে পক্ষান্তরে “রিলেশান” হয়ে গিয়েছে সহজ!
আসুন একটু পর্যালোচনা করি ___
▪মডারেট দ্বীনদার অভিভাবকদের হালচাল:
আপনি যদি কোন পাত্রীর পিতাকে কোন ছেলের ব্যাপারে প্রস্তাবনা দেন, বেশিরভাগ অভিভাবকদের জিজ্ঞাসা হল - ছেলে কি করে!? ধনসম্পত্তি কেমন? বংশমর্যাদা কেমন?
গ্রেজুয়েশন কম্পিলিট হয়েছে কিনা ইত্যাদি!
বিশ্বাস করুন একবারের জন্যও জিজ্ঞেস করে না যে, ছেলেটা দ্বীনদার কি না!
শেষ কথা হিসেবে জিজ্ঞেস করে নামাজ পড়ে কি না? যদি আপনার উত্তর হয়, "না" ! তাহলে সম্ভবত প্রত্যুত্তরে বলবে "অসুবিধা নাই, পরে হেদায়েত পেয়ে যাবে"!!!
ভাবখানা এমন, যেন বিবাহের জন্য হেদায়াতের রাস্তা খুঁজে পাচ্ছে না! যাহোক, এদের জন্য আফসোস লাগে যারা হেদায়েতের মালিক হিসেবে আল্লাহকে মেনে নিলেও রিযিকের মালিক হিসেবে মানতে গড়িমসি করে!
মেয়ে দেখার ক্ষেত্রেও ঠিক একই অবস্থা! দ্বীনদার না হলে একটু কাচুমাচু করে কিন্তু বংশমর্যাদা আর সুন্দরী হলে দ্বীনের কোন খেয়ালই থাকে না!
▪উচ্চ শিক্ষিতদের মাঝে বিবাহ বিদ্বেষ :
আমাদের সমাজের উচ্চ শিক্ষিতা মেয়েদের অধিকাংশই দেখবেন পড়ালেখা শেষ না করে বিয়ে করতে চান না!
অথচ একটা সময় ছিল যখন মেয়েরা মায়ের কোল থেকে নেমেই হামিগুড়ি দিয়ে শ্বশুর বাড়িতে চলে যেত! আজকে যারা "লেট মেরেজ" এর আন্দোলন করছে এদের বয়স যে খুব একটা কম অথবা আঠারো পার হয় নি তা কিন্তু নয়! অর্থাৎ, আপনি এ্যাটলিস্ট এদের বিবাহকে “বাল্যবিবাহ” বলতে পারবেন না!
কিন্তু তারপরেও তারা নানান অজুহাতে বিয়ে করতে চান না!
সবচেয়ে বড় কথা হল, এরা এই বয়সে নিজেও বিয়ে করবেন না, আবার অন্য মেয়েদের বিয়েও ঠেকাবেন!
অথচ এদের অনেকেরই প্রেমিক থাকতে পারেন, সেটা সমস্যা নয়! প্রেমিকের সাথে যা খুশি তা করতে পারেন সেটাও সমস্যা নয়!
এবং এর ফলে যদি অনাকাঙ্ক্ষিত “গর্ভপাত” করা লাগে তাতেও কোন সমস্যা নেই।
মোট কথা কোন কিছুতেই এদের সমস্যা নেই, শুধু বিয়ের কথা বললেই যত "সমস্যা" !
▪মধ্যবিত্তদের হালচাল :
উপরোক্ত এসকল বাঁধাবিপত্তি কাটিয়ে যারা বিয়ে করছেন, তারাও আবার সমাজের দোহাই দিয়ে, অভিভাবকদের চাপে বাধ্য হয়ে জড়িয়ে পড়ছেন নানান রকম হারাম কাজে, যেগুলো মূলত অমুসলিমদের দ্বারা সৃষ্ট!
এর মধ্যে অন্যতম এক কুসংস্কার হল এনগেজমেন্ট। পাত্রী দেখা উপলক্ষ্য করে আংটি অথবা যেকোন গয়না মেয়েকে পড়িয়ে দেওয়া হয়।
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অথবা সাহাবায়ে কেরামের কেউই এই কাজ করেন নি! অথচ যুগের পর যুগ ধরে আমরা ঠিকই করছি।
এছাড়াও,
এই পাত্রী দেখাকে কেন্দ্র করে হবু দুলাভাই, চাচা, খালু, বড়ভাই প্রভৃতি কর্তৃক মেয়ের পায়ের নখ থেকে মাথায় চুল পর্যন্ত দেখার যে রীতি চালু রয়েছে তা বেহায়াপনা বৈ কিছুই নয়।
বিয়ের কথাবার্তা ফাইনাল হওয়ার পরপরই চলে "গায়ে হলুদের নামে" আরেক বেহায়াপনা! অত;পর, বিয়ের দিন কোরবানীর পশুর ন্যায় বউ প্রদর্শনীর কথা আর
নাই-বা বললাম!
যেখানে এক পর্বে এই কাজগুলো শেষ হয়ে যাওয়ার কথা, সেখানে আমরা কয়েকটা ধাপে বিয়ে সম্পন্ন করাটাকে অধিকতর পছন্দ করি।
আফসোস! বিয়ের নিয়ত ছিলো- হারাম সম্পর্ক থেকে দূরে থেকে শরীয়াহ মোতাবেক জীবন যাপন করা অথচ সেই পবিত্র জীবনে পদার্পনের শুরুই হয় আল্লাহর নাফরমানির মাধ্যমে!
▪সংকলক :
আপনাদের শুভাকাঙ্ক্ষী,
আখতার বিন আমীর।
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂
#বিবাহের ক্ষেত্রে বেহায়াপনা!
বিবাহ একটি ইবাদত! বিবাহ একটি জরুরত! চরিত্র হেফাজতের সবচেয়ে বড় ও একমাত্র মাধ্যম হল এই "বিবাহ"!
বিবাহ কারো জন্য ফরজ, কারো জন্য সুন্নত, কারো জন্য নফল আবার ক্ষেত্রে বিশেষে কারো জন্যে হারামও বটে!
গুণীজনেরা বলতেন, "বিবাহকে সহজ করে দাও, যেনা কঠিন হয়ে যাবে"! অথচ আমাদের সমাজের চিত্র পুরোপুরি উল্টো!
যার বাস্তবতায় আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, বর্তমান সময়ে বিয়ের বাজারটা অনেক কঠিন হয়ে গিয়েছে পক্ষান্তরে “রিলেশান” হয়ে গিয়েছে সহজ!
আসুন একটু পর্যালোচনা করি ___
▪মডারেট দ্বীনদার অভিভাবকদের হালচাল:
আপনি যদি কোন পাত্রীর পিতাকে কোন ছেলের ব্যাপারে প্রস্তাবনা দেন, বেশিরভাগ অভিভাবকদের জিজ্ঞাসা হল - ছেলে কি করে!? ধনসম্পত্তি কেমন? বংশমর্যাদা কেমন?
গ্রেজুয়েশন কম্পিলিট হয়েছে কিনা ইত্যাদি!
বিশ্বাস করুন একবারের জন্যও জিজ্ঞেস করে না যে, ছেলেটা দ্বীনদার কি না!
শেষ কথা হিসেবে জিজ্ঞেস করে নামাজ পড়ে কি না? যদি আপনার উত্তর হয়, "না" ! তাহলে সম্ভবত প্রত্যুত্তরে বলবে "অসুবিধা নাই, পরে হেদায়েত পেয়ে যাবে"!!!
ভাবখানা এমন, যেন বিবাহের জন্য হেদায়াতের রাস্তা খুঁজে পাচ্ছে না! যাহোক, এদের জন্য আফসোস লাগে যারা হেদায়েতের মালিক হিসেবে আল্লাহকে মেনে নিলেও রিযিকের মালিক হিসেবে মানতে গড়িমসি করে!
মেয়ে দেখার ক্ষেত্রেও ঠিক একই অবস্থা! দ্বীনদার না হলে একটু কাচুমাচু করে কিন্তু বংশমর্যাদা আর সুন্দরী হলে দ্বীনের কোন খেয়ালই থাকে না!
▪উচ্চ শিক্ষিতদের মাঝে বিবাহ বিদ্বেষ :
আমাদের সমাজের উচ্চ শিক্ষিতা মেয়েদের অধিকাংশই দেখবেন পড়ালেখা শেষ না করে বিয়ে করতে চান না!
অথচ একটা সময় ছিল যখন মেয়েরা মায়ের কোল থেকে নেমেই হামিগুড়ি দিয়ে শ্বশুর বাড়িতে চলে যেত! আজকে যারা "লেট মেরেজ" এর আন্দোলন করছে এদের বয়স যে খুব একটা কম অথবা আঠারো পার হয় নি তা কিন্তু নয়! অর্থাৎ, আপনি এ্যাটলিস্ট এদের বিবাহকে “বাল্যবিবাহ” বলতে পারবেন না!
কিন্তু তারপরেও তারা নানান অজুহাতে বিয়ে করতে চান না!
সবচেয়ে বড় কথা হল, এরা এই বয়সে নিজেও বিয়ে করবেন না, আবার অন্য মেয়েদের বিয়েও ঠেকাবেন!
অথচ এদের অনেকেরই প্রেমিক থাকতে পারেন, সেটা সমস্যা নয়! প্রেমিকের সাথে যা খুশি তা করতে পারেন সেটাও সমস্যা নয়!
এবং এর ফলে যদি অনাকাঙ্ক্ষিত “গর্ভপাত” করা লাগে তাতেও কোন সমস্যা নেই।
মোট কথা কোন কিছুতেই এদের সমস্যা নেই, শুধু বিয়ের কথা বললেই যত "সমস্যা" !
▪মধ্যবিত্তদের হালচাল :
উপরোক্ত এসকল বাঁধাবিপত্তি কাটিয়ে যারা বিয়ে করছেন, তারাও আবার সমাজের দোহাই দিয়ে, অভিভাবকদের চাপে বাধ্য হয়ে জড়িয়ে পড়ছেন নানান রকম হারাম কাজে, যেগুলো মূলত অমুসলিমদের দ্বারা সৃষ্ট!
এর মধ্যে অন্যতম এক কুসংস্কার হল এনগেজমেন্ট। পাত্রী দেখা উপলক্ষ্য করে আংটি অথবা যেকোন গয়না মেয়েকে পড়িয়ে দেওয়া হয়।
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অথবা সাহাবায়ে কেরামের কেউই এই কাজ করেন নি! অথচ যুগের পর যুগ ধরে আমরা ঠিকই করছি।
এছাড়াও,
এই পাত্রী দেখাকে কেন্দ্র করে হবু দুলাভাই, চাচা, খালু, বড়ভাই প্রভৃতি কর্তৃক মেয়ের পায়ের নখ থেকে মাথায় চুল পর্যন্ত দেখার যে রীতি চালু রয়েছে তা বেহায়াপনা বৈ কিছুই নয়।
বিয়ের কথাবার্তা ফাইনাল হওয়ার পরপরই চলে "গায়ে হলুদের নামে" আরেক বেহায়াপনা! অত;পর, বিয়ের দিন কোরবানীর পশুর ন্যায় বউ প্রদর্শনীর কথা আর
নাই-বা বললাম!
যেখানে এক পর্বে এই কাজগুলো শেষ হয়ে যাওয়ার কথা, সেখানে আমরা কয়েকটা ধাপে বিয়ে সম্পন্ন করাটাকে অধিকতর পছন্দ করি।
আফসোস! বিয়ের নিয়ত ছিলো- হারাম সম্পর্ক থেকে দূরে থেকে শরীয়াহ মোতাবেক জীবন যাপন করা অথচ সেই পবিত্র জীবনে পদার্পনের শুরুই হয় আল্লাহর নাফরমানির মাধ্যমে!
▪সংকলক :
আপনাদের শুভাকাঙ্ক্ষী,
আখতার বিন আমীর।
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂