চমৎকার দুআ

Muslim Woman

Super Moderator
Messages
12,286
Reaction score
1,449
Gender
Female
Religion
Islam
বিসমিল্লাহ

❤️তাওবার গল্প

এক বুযুর্গ আল্লাহর রহমতের দুয়ারে দাঁড়িয়ে কাকুতি মিনতি করছে,,সে বলতে লাগল,হে আল্লাহ! আপনি বলেছেন;
অতঃপর যে তওবা করে স্বীয় অত্যাচারের পর এবং সংশোধিত হয়, নিশ্চয় আল্লাহ তার তওবা কবুল করেন। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু। (সূরা মায়িদা ৫: ৩৯)

আর আমি ও আমার পাপের পর আপনার কাছে তওবাহ করছি।অতএব আমাকে রহম করুন, আমাকে মাফ করুন।
সে কাকুতি মিনতি করছে.............যদি আমি এর যোগ্য না হই তাহলে আপনি তো বলছেন; {তিনি মুমিনদের প্রতি পরম দয়ালু।}
[সূরা: আল-আহযাব, আয়াত: ৪৩]

আর আমি তো মুমিন।
আমাকে রহম করুন।যদি আমি এর ও যোগ্য না হই।তাহলে আপনি তো বলেছেন;-[ {আমার রহমত প্রত্যেক কিছুকে ঢেকে নেয়}]
আর আমি ও কিছুর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।
অতএব আমাকে রহম করুন, আমাকে হ্মমা করুন।

যদি আমি এর ও যোগ্য না হই তাহলে,
আমার চাইতে অধিক বিপদে কে আছে??
হে আল্লাহ! আপনার যে রহমত প্রত্যেক কিছুকেই ঢেকে নিয়েছে আমি সংকুলান হইনি।এটিও বিপদ।আমি বিপদে আছি

অতএব এই অবস্থায় আপনি আমাদের যা শিখিয়েছেন
আমি তাই বলছি:-

ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজীউন।
আর আপনি বলেছেন;(যখন তারা বিপদে পতিত হয় তখন বলে,ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজীউন।)
তারা তো সেই সমস্ত লোক যাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ ও রহমত রয়েছে।
অতএব আমাকে রহম করুন।

তারা এভাবে আল্লাহর রহমতের কথা স্মরন করে সমস্ত উপায় অবলম্বন করে আল্লাহর নিকট কাকুতি মিনতি করতেন।

শায়খ সাঈদ আল কামালী আল মালেকী (হাফিঃ)

আজকের এই সময়ে তাওবাহ খুব বেশি জরুরি। গোনাহ থেকে বাঁচতে এবং বিপদে তওবাই একমাত্র উপায় আল্লাহর পরিহ্মায় উত্তীর্ণ হতে।।
আল্লাহর পানাহ.

কপি
 
ওহে!
তোমাকে যদি তাড়িয়ে দেওয়া হয়, তবু দরজা থেকে সরবে না!
তোমাকে যদি দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়, তবু কাছ থেকে নড়বে না!
কাকুতি-মিনতির স্বরে (আল্লাহকে) বলবে,
.
.
“আমি কার কাছে যাবো?!”
.
- ইবনুল জাওযী (রাহিমাহুল্লাহ)
[আল-মুদহিশ: ২০২]
 
বিসমিল্লাহ

*

একটি গুরুত্বপূর্ণ দু‘আ শিখুন।
দু‘আটি নবীজি তাঁর অতি প্রিয় কন্যা ফাতিমা (রা.)-কে সকাল-সন্ধ্যায় পড়ার জন্য তাগিদ দিয়ে গেছেন, ওসিয়ত করেছেন। শব্দে শব্দে অর্থসহ সেই দু‘আটি আমরা উপস্থাপন করব ইনশাআল্লাহ্।
.
يَا حَيُّ يَا قَيُّوْمُ بِرَحْمَتِكَ أَسْتَغِيْثُ أَصْلِحْ لِيْ شَأْنِيْ كُلَّهُ وَلاَ تَكِلْنِيْ إِلٰى نَفْسِيْ طَرْفَةَ عَيْنٍ
.
[মোটামুটি উচ্চারণ: ইয়া ‘হাইয়ু ইয়া ক্বাইয়ূমু বিরাহমাতিকা আসতাগীস, আসলিহ লী শাঅ্নী কুল্লাহ, ওয়া লা তাকিলনী ইলা নাফসী ত্বরফাতা ‘আইন]
.
[অর্থ: হে চিরঞ্জীব, হে চিরস্থায়ী! আমি আপনার রহমতের উসিলায় আপনার কাছে সাহায্য চাই; আপনি আমার সার্বিক অবস্থার সংশোধন করে দিন; আমাকে এক মুহূর্তের জন্যও আমার নিজের দায়িত্বে ছেড়ে দেবেন না।]
.
এবার শব্দে শব্দে শিখুন—
.
يَا ইয়া [হে]
حَيُّ হাইয়ু [চিরঞ্জীব]‘
يَا ইয়া [হে]
قَيُّوْمُ ক্বাইয়ূমু [চিরস্থায়ী]
بِرَحْمَتِكَ বিরাহমাতিকা [আপনার রহমত দ্বারা]
أَسْتَغِيْثُ আসতাগীস [আমি সাহায্য চাই]
أَصْلِحْ আসলি‘হ [সংশোধন করুন]
لِيْ লী [আমার]
شَأْنِيْ শাঅ্নী [আমার বিষয়গুলো]
كُلَّهُ কুল্লাহ [সকল]
وَلاَ ওয়া লা [এবং না]
تَكِلْنِيْ তাকিলনী [ছেড়ে দিবেন]
إِلٰى ইলা [দিকে]
نَفْسِيْ নাফসী [আমার নিজের]
طَرْفَةَ ত্বরফাতা [পলক]
عَيْنٍ আইন [চোখ]
[চোখের পলক] আমরা এর অনুবাদে বলেছি ‘এক মুহূর্ত’—মর্ম ও ভাব একই।
.
এবার মুখস্থ করুন এভাবে—
.
يَا حَيُّ يَا قَيُّوْمُ ইয়া ‘হাইয়ু ইয়া ক্বাইয়ূমু
[হে চিরঞ্জীব, হে চিরস্থায়ী!]
.
بِرَحْمَتِكَ أَسْتَغِيْثُ বিরাহমাতিকা আসতাগীস
[আমি আপনার রহমতের উসিলায় আপনার কাছে সাহায্য চাই]
.
أَصْلِحْ لِيْ আসলিহ লী
[আপনি আমার সংশোধন করে দিন]
.
شَأْنِيْ كُلَّهُ শাঅ্নী কুল্লাহ
[সার্বিক অবস্থার]
.
وَلاَ تَكِلْنِيْ ওয়া লা তাকিলনী
[আমাকে ছেড়ে দেবেন না]
.
إِلٰى نَفْسِيْ ইলা নাফসী
[আমার নিজের দায়িত্বে]
.
طَرْفَةَ عَيْنٍ ত্বরফাতা ‘আইন
[এক মুহূর্তের জন্যও]
.
নবীজির খাদেম ও একনিষ্ঠ সহচর আনাস (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফাতিমা (রা.)-কে বলেন, ‘‘আমি ওসিয়ত করছি যে, তুমি সকালে ও সন্ধ্যায় এই কথা (দু'আ) বলবে।’’
.
[মুসতাদরাক হাকিম: ১/৫৪৫, সহিহ আত-তারগীব ওয়াত-তারহীব: ১/২৭৩; হাদিসটি সহিহ]
.
দু'আর অর্থটি আবার পড়ুন। এত চমৎকার ভাষায় আল্লাহর কাছে দু'আ করলে আল্লাহ্ কি ফিরিয়ে দিবেন? দু'আটি পড়ার সময় অর্থের দিকে মনোযোগ রেখে পড়বেন।

তাহলে পড়তেও ভালো লাগবে, ফায়দাও বেশি হবে ইনশাআল্লাহ্। নামাজের সিজদায়, সালাম ফেরানোর পূর্বে, সকাল-সন্ধ্যায়, যেকোনো দু‘আর মধ্যে (আবেগ সৃষ্টি করতে) এই দু‘আটি পড়ুন।
.© Tasbeeh
 
বিসমিল্লাহ

**

প্রশ্ন: শবে কদরের বিশেষ দুআ এবং তা কখন কিভাবে পড়তে হয়?
▬▬▬▬◆◈◆ ▬▬▬▬
উত্তর:
শবে কদর/লাইলাতুল কদরে রাত জেগে অধিক পরিমাণে নফল সালাত, কুরআন তিলাওয়াত, যিকির-আযকার, দ্বীনী ইলম চর্চা সহ বিভিন্ন ধরণের ইবাদত-বন্দেগীর পাশাপাশি বেশি বেশি দুআ করা উত্তম কাজ।

আর সে সব দুআর মধ্যে নিম্নোক্ত দুআটি অধিক পরিমাণে পাঠ করা উচিৎ যা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মা আয়েশা রা. কে শিখিয়েছিলেন।


উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রা: হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হে আল্লাহর রাসূল, আমি যদি জানতে পারি যে, কোন রাতটি লাইলাতুল কদর তাহলে তখন কোন দুয়াটি পাঠ করব? তিনি বললেন, তুমি বল:


اللَّهمَّ إنَّك عفُوٌّ كريمٌ تُحِبُّ العفْوَ، فاعْفُ عنِّي
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন কারীমুন তুহিব্বুল আফওয়া ফা’ফু আন্নী।


“হে আল্লাহ, আপনি মহানুভব ক্ষমাশীল। আপনি ক্ষমা করা পছন্দ করেন। অত:এব আপনি আমাকে ক্ষমা করুন।”


(তিরমিযী, অনুচ্ছেদ, কোন দুয়াটি শ্রেষ্ঠ। তিনি বলেন: হাদিসটি হাসান, সহীহ, শাইখ আলবানী রহ. এ হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন। দ্র: সহীহুত তিরমিযী, হা/৩৫১৩)।
মুসনাদে আহমাদে كريمٌ ”কারীমুন” শব্দ ছাড়া বর্ণিত হয়েছে। উভয়টি সহীহ।
 
বিসমিল্লাহ

**

~ গর্ভাবস্থায় দুয়া
.
গর্ভাবস্থায় সবচেয়ে বেশি জরুরি হচ্ছে আল্লাহর কাছে দু'আ করা। সন্তান আল্লাহর পক্ষ থেকে পাওয়া সবচেয়ে বড় এক নিয়ামাহ। আমাদের উচিত রব্ব থেকে পাওয়া সব নিয়ামাহর শুকরিয়া আদায় করা। তাই প্রেগ্ন্যাসির শুরু থেকেই বেশি বেশি কৃতজ্ঞতা আদায় করতে হবে, দু'আ করতে হবে।

একটা সুস্থ সন্তানের জন্য, নেক সন্তানের জন্য। কুরআনে কিছু আয়াত আছে যেগুলো প্রেগন্যান্সির আগে থেকে ও পুরো প্রেগন্যান্সিতে পড়া উচিত, যে আয়াত গুলোই এক একটা সুন্দর দু'আ। অনেক বোনেরা নরমাল ডেলিভারির প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চান, তাদেরকে বলি, দু'আ-ই সবার আগে এবং সবচেয়ে শশক্তিশালী হাতিয়ার এর জন্য। পাশাপাশি শারীরিক ও মানসিক কিছু প্রস্তুতি আছে।
.
ইনশাআল্লাহ এটা নিয়ে লিখবো আরেকদিন। আজকে প্রেগ্ন্যাসির যে রুকইয়াহ গুলো আমি করতাম সেগুলো পোস্টে দিয়ে দিচ্ছি। ইনশাআল্লাহ আপুদের উপকার হবে যারা প্রেগন্যান্ট আছেন, প্রস্তুতি নিচ্ছেন

গর্ভাবস্থায় রুকইয়াহ
-----------------
দু'আ ১

‎ رَبِّ أَوْزِعْنِىٓ أَنْ أَشْكُرَ نِعْمَتَكَ ٱلَّتِىٓ أَنْعَمْتَ عَلَىَّ وَعَلَىٰ وَٰلِدَىَّ وَأَنْ أَعْمَلَ صَٰلِحًا تَرْضَىٰهُ وَأَصْلِحْ لِى فِى ذُرِّيَّتِىٓۖ إِنِّى تُبْتُ إِلَيْكَ وَإِنِّى مِنَ ٱلْمُسْلِمِينَ

হে আমার রাব্ব! আপনি আমাকে সামর্থ্য দিন যাতে আমি আপনার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি, আমার প্রতি ও আমার মাতা-পিতার প্রতি আপনি যে অনুগ্রহ করেছেন তার জন্য এবং যাতে আমি সৎ কাজ করতে পারি যা আপনি পছন্দ করেন; আমার জন্য আমার সন্তান সন্ততিদেরকে সৎকর্মপরায়ণ করুন, আমি আপনারই অভিমুখী হলাম এবং আত্মসমর্পণ করলাম। [ সূরা আহকাফ, আয়াত ১৫ ]

দু'আ ২

‎ رَبِّ هَبْ لِى مِن لَّدُنكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةًۖ إِنَّكَ سَمِيعُ ٱلدُّعَآءِ

হে আমার রাব্ব! আমাকে আপনার নিকট হতে পবিত্র সন্তান প্রদান করুন, নিশ্চয়ই আপনি প্রার্থনা শ্রবণকারী।
[ সূরা আলে ইমরান, আয়াত ৩৮ ]

দু'আ ৩

‎هُوَ ٱلَّذِى خَلَقَكُم مِّن نَّفْسٍ وَٰحِدَةٍ وَجَعَلَ مِنْهَا زَوْجَهَا لِيَسْكُنَ إِلَيْهَاۖ فَلَمَّا تَغَشَّىٰهَا حَمَلَتْ حَمْلًا خَفِيفًا فَمَرَّتْ بِهِۦۖ فَلَمَّآ أَثْقَلَت دَّعَوَا ٱللَّهَ رَبَّهُمَا لَئِنْ ءَاتَيْتَنَا صَٰلِحًا لَّنَكُونَنَّ مِنَ ٱلشَّٰكِرِينَ

তিনিই আল্লাহ যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি হতে সৃষ্টি করেছেন এবং সেই ব্যক্তি হতেই তার সঙ্গিনী সৃষ্টি করেছেন, যেন সে তার নিকট থেকে প্রশান্তি লাভ করতে পারে। অতঃপর যখন সে তার সাথে মিলনে প্রবৃত্ত হয় তখন সেই মহিলাটি এক গোপন ও লঘু গর্ভ ধারণ করে, আর ওটা নিয়ে চলাফেরা করতে থাকে। যখন তার গর্ভ গুরুভার হয় তখন তারা উভয়েই তাদের রবের কাছে প্রার্থনা করেঃ আপনি যদি আমাদেরকে সৎ সন্তান দান করেন তাহলে আমরা আপনার কৃতজ্ঞ বান্দা হব। [ সূরা আরাফ, আয়াত ১৮৯ ]

দু'আ ৪

‎وَٱلَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَٰجِنَا وَذُرِّيَّٰتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَٱجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا

আর যারা প্রার্থনা করেঃ হে আমাদের রাব্ব! আমাদের জন্য এমন স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি দান করুন যারা আমাদের জন্য নয়ন প্রীতিকর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্য আদর্শ স্বরূপ করুন।

[ সূরা ফুরকান, আয়াত ৭৪ ]

দু'আ ৫

‎رَبِّ هَبْ لِى مِنَ ٱلصَّٰلِحِينَ

হে আমার রাব্ব! আমাকে এক সৎকর্মপরায়ণ সন্তান দান করুন। [ সূরা আস সাফফাত, আয়াত ১০০ ]

দু'আ ৬

‎رَبِّ ٱجْعَلْنِى مُقِيمَ ٱلصَّلَوٰةِ وَمِن ذُرِّيَّتِىۚ رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَآءِ

হে আমার রাব্ব! আমাকে সালাত কায়েমকারী করুন এবং আমার বংশধরদের মধ্য হতেও; হে আমাদের রাব্ব! আমার প্রার্থনা কবূল করুন। [ সূরা ইবরাহীম, আয়াত ৪০ ]

দু'আ ৭

‎رَبَّنَا وَٱجْعَلْنَا مُسْلِمَيْنِ لَكَ وَمِن ذُرِّيَّتِنَآ أُمَّةً مُّسْلِمَةً لَّكَ وَأَرِنَا مَنَاسِكَنَا وَتُبْ عَلَيْنَآۖ إِنَّكَ أَنتَ ٱلتَّوَّابُ ٱلرَّحِيمُ

হে আমাদের রাব্ব! আমাদের উভয়কে আপনার অনুগত করুন, এবং আমাদের বংশধরদের মধ্য হতেও আপনার অনুগত এক দল লোক সৃষ্টি করুন, আর আমাদেরকে হাজ্জের আহকাম বলে দিন এবং আমাদের প্রতি দয়া করুন, নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল, করুণাময়।

[ সূরা বাকারাহ, আয়াত ১২৮ ]

.
- ©
 

Similar Threads

Back
Top