হালাল যথেষ্ট, হারাম অপ্রয়োজনীয়

Muslim Woman

Super Moderator
Messages
12,286
Reaction score
1,449
Gender
Female
Religion
Islam
:sl:


[h=2]হালাল যথেষ্ট, হারাম অপ্রয়োজনীয়[/h] [h=4]মাওলানা সাখাওয়াত উল্লাহ[/h] ইসলাম এক মহাসৌন্দর্যমণ্ডিত জীবনবিধান। মানুষের জীবন স্বাচ্ছন্দ্যময় করার উদ্দেশ্যে ইসলামের বহু বিধিবিধান দেওয়া হয়েছে। ইসলামে যদি কোনো জিনিস হারাম করা হয়, তাহলে তার পরিবর্তে কোনো উত্কৃষ্টতর জিনিসকে হালাল করে দেওয়া হয়েছে।

এর বিপরীতে অতীব উত্তম বিকল্প পেশ করা হয়েছে। সে বিকল্প এমন যে তার দ্বারা একদিকে যেমন সব বিপর্যয় সৃষ্টিকারী জিনিসের পথ রুদ্ধ হয়ে যায়, তেমনি হারাম জিনিসের ওপর নির্ভরশীলতা নিঃশেষ হয়ে যায়। যেমন—ইসলাম পাশা খেলার মাধ্যমে ভাগ্য জানা হারাম করে দিয়েছে। তার পরিবর্তে ইস্তিখারার দোয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। ইস্তিখারার মাধ্যমে কোনো কাজের ভালো-মন্দ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।



ইসলাম সুদ খাওয়া হারাম করে দিয়েছে। তার পরিবর্তে মুনাফাপূর্ণ ব্যবসা বৈধ করে দিয়েছে।
ইসলাম জুয়া খেলা হারাম করেছে, তার পরিবর্তে ঘোড়া, উট ও তীরের প্রতিযোগিতালব্ধ ধনসম্পদ গ্রহণ বৈধ করেছে। শর্ত হলো, যতক্ষণ পর্যন্ত তা শরিয়তের পরিপন্থী না হয়।
ইসলাম পুরুষদের রেশম ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। তার পরিবর্তে সুতা, পশম, কাতানের বিভিন্ন সৌন্দর্যময় পোশাক বৈধ করেছে। ইসলাম জিনা-ব্যভিচার ও পুংমৈথুন হারাম করেছে। তার পরিবর্তে বিবাহিত স্ত্রীর সঙ্গে বৈধ উপায়ে যৌন সঙ্গম বৈধ করেছে। ইসলাম মাদকদ্রব্য হারাম করেছে। তার পরিবর্তে দেহ ও মনের উপকারী সুস্বাদু পানীয় হালাল করে দিয়েছে। ইসলাম খারাপ ও নিকৃষ্ট ধরনের খাদ্য হারাম করেছে। তার পরিবর্তে উত্তম, উত্কৃষ্ট ও ভালো খাদ্য হালাল করে দিয়েছে।
এভাবে ইসলামের বিভিন্ন বিধিবিধান পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, আল্লাহ তাআলা একদিকে মানুষের জন্য কোনো কোনো জিনিস হারাম করেছেন, অন্যদিকে বহু জিনিস হালাল করে জীবনে বিপুল প্রশস্ততা এনে দিয়েছেন। একদিকের দুয়ার বন্ধ করে তিনি অন্যদিকের দ্বার উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। আসলে ইসলামের বিধিবিধান স্রষ্টার আনুগত্য প্রদর্শনের জন্য, মানুষের জীবন সংকীর্ণ করার জন্য নয়। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা করতে চান; কিন্তু যারা কুপ্রবৃত্তির অনুসরণ করে, তারা চায় তোমরা ভীষণভাবে সত্যপথ বিচ্যুত হও। আল্লাহ তোমাদের ভার লাঘব করতে চান। কেননা মানুষ তো দুর্বলতম সৃষ্টি। ’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ২৭-২৮)




লেখক : শিক্ষক, মাদ্রাসাতুল মদিনা

নবাবপুর, ঢাকা

http://www.24livenewspaper.com/site/?url=www.kalerkantho.com/



 

Similar Threads

Back
Top