Muslim Woman
Super Moderator
- Messages
- 12,286
- Reaction score
- 1,449
- Gender
- Female
- Religion
- Islam

হিজাবেরও হিজাব দরকার
– জাবীন হামিদ
হিজাব নিয়ে আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেছেন :
হে নবী! আপনি আপনার পত্নীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিছু অংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু ( সূরা আল আহযাব ; ৩৩ : ৫৯ ) ।
মুসলিম নারীদের অনেকেই হিজাব নিয়ে উদাসীন । খুব অবাক ও দু:খিত হলাম এটা দেখে যে পবিত্র কাবা ঘরেও অনেক মুসলিম নারী খুব অসচেতনভাবে কাপড় পরে যান যা পর্দার খেলাফ ও পবিত্র কাবা ঘরের মর্যাদার পরিপন্থী । তারা অনেকেই পাতলা সাদা কাপড় দিয়ে সেলোয়ার বানান , ফলে রোদে গেলে পা পুরোটাই দেখা যায় ।
পাতলা সাদা ওড়না দিয়ে অনেকেই মাথা ঢাকার চেষ্টা করেন কিন্ত্ত চুল সবই তাতে দেখা যায় । অনেকেই পুরো হাতা কামিয বা ম্যাকসি না পড়ে ছোট হাতা পরেন এবং ওড়না দিয়ে হাত ঢাকেন । কিন্ত্ত দু:খজনকভাবে ওড়না মোটা কাপড়ের না হওয়ায় হাত পুরোটাই স্পষ্ট দেখা যায় । এক বা দুজনের বেলায় না , এমনটি অনেকেই করছেন ।
মুসলমানদের পবিত্রতম মসজিদে হজ্জের সময় গিয়েও কাপড় নিয়ে এরকম মারাত্মক উদাসীনতা সত্যিই দু:খজনক । সাদা কাপড়ের হিজাব :হজ্জের সময় বেশীরভাগ মহিলাই সাদা ও কালো কাপড় দিয়ে হিজাব করেন । যারা সাদা কাপড় দিয়ে সেলোয়ার - কামিয বা হিজাব বানান , তারা দয়া করে মোটা কাপড় বেছে নিবেন । সাদা রংয়ের পাতলা কাপড় কোনভাবেই হিজাবের উপযুক্ত নয় কেননা পাতলা সাদা রংয়ের কাপড় পরে ঘরের বাইরে আসলে দেখবেন রোদের আলোয় পুরো শরীর স্পষ্ট দেখা যায় , যা একজন মুসলিম নারীর জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক অবস্থা হিজাবের উদ্দেশ্য হলো শরীর ঢেকে রাখা কিন্ত্ত পাতলা , সাদা কাপড় দিয়ে পোশাক বানালে সেই উদ্দেশ্য সফল হয় না ।
সাদা রং আল্লাহর রাসূল হজরত মুহাম্মদ সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পছন্দ করতেন বলে হাদীসে আছে । তাই মুসলিম নারীরা হিজাবের রং হিসাবে সাদা পছন্দ করেন । আবার সৌদি আরবের গরম আবহাওয়ায় কালো রং থেকে সাদা রংয়ের কাপড় আরামদায়ক বলে অনেকে সাদা কাপড়ের পোশাক ও হিজাব বেছে নেন । কিন্ত্ত মনে রাখবেন , সাদা পাতলা কামিযের উপরে মোটা কাপড়ের বোরখা , চাদর বা চওড়া ওড়না অবশ্যই পরতে হবে । সাদা সেলোয়ারের নীচে সাদা লেগিংস পরে নেবেন যাতে পা দেখা না যায় ।
মাথায় সাদা ওড়না ব্যবহার করতে চাইলে ওড়নার নীচে সাদা বা অন্য রংয়ের টুপি পরতে হবে । টুপি পরতে না চাইলে সাদা ওড়না তিন থেকে চারবার পেঁচিয়ে মাথায় দিতে হবে যাতে চুল ভালভাবে ঢাকা থাকে ।
অনেক ৯ / ১০ বছরের মেয়েকে দেখলাম মাথায় এমন কী স্কার্ফও না পরে পবিত্র কাবায় নির্বিকারভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে । পাশেই নেকাবধারী মা , দাদী বা নানী । জানি না , অভিভাবকরা তাদের কিশোরী মেয়ের পর্দা সম্পর্কে কেন এত উদাসীন ? ধরে নিলাম , মেয়ে এখনো সাবালিকা হয় নি ; তারপরেও পবিত্র কাবায় ঢোকার আগে মেয়েকে কাবা ও পর্দার গূরুত্ব বোঝানোর জন্য উচিত ছিল একটি স্কার্ফ মেয়ের মাথায় জড়িয়ে দেয়া ।
অনেক কিশোরী মেয়েই গেন্জী – প্যান্ট , হাতাকাটা ম্যাকসি ইত্যাদি পড়ে কাবায় ঢুকেছে যা অত্যন্ত দৃষ্টিকটূ । আগে শুনতাম সৌদি পুলিশ নারীদের হিজাব নিয়ে খুব কড়াকড়ি করে । কিন্ত্ত অন্তত হজ্জের সময় পুলিশের এ বিষয়ে কোন কড়াকড়ি বা তৎপরতা আমার চোখে পড়ে নি ।আশা করি , আগামীতে আর এরকম দু:খজনক দৃশ্য চোখে পড়বে না । মুসলিম নারীরা নিজেরা ও তাদের অভিভাবকগণ হিজাব নিয়ে আরো সচেতন হবেন , আল্লাহ যেন আমাদের সহায় হোন ।
( হে নবী ) , ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত করে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করে ; তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশ থাকে , তা ছাড়া তাদের আভরণ প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার কাপড় গ্রীবা ও বুকের উপর ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো কাছে তাদের আভরণ প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন আভরণ প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও। ( সুরা নূর : ২৪ :৩১ ) ।
– জাবীন হামিদ
হিজাব নিয়ে আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেছেন :
হে নবী! আপনি আপনার পত্নীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিছু অংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু ( সূরা আল আহযাব ; ৩৩ : ৫৯ ) ।
মুসলিম নারীদের অনেকেই হিজাব নিয়ে উদাসীন । খুব অবাক ও দু:খিত হলাম এটা দেখে যে পবিত্র কাবা ঘরেও অনেক মুসলিম নারী খুব অসচেতনভাবে কাপড় পরে যান যা পর্দার খেলাফ ও পবিত্র কাবা ঘরের মর্যাদার পরিপন্থী । তারা অনেকেই পাতলা সাদা কাপড় দিয়ে সেলোয়ার বানান , ফলে রোদে গেলে পা পুরোটাই দেখা যায় ।
পাতলা সাদা ওড়না দিয়ে অনেকেই মাথা ঢাকার চেষ্টা করেন কিন্ত্ত চুল সবই তাতে দেখা যায় । অনেকেই পুরো হাতা কামিয বা ম্যাকসি না পড়ে ছোট হাতা পরেন এবং ওড়না দিয়ে হাত ঢাকেন । কিন্ত্ত দু:খজনকভাবে ওড়না মোটা কাপড়ের না হওয়ায় হাত পুরোটাই স্পষ্ট দেখা যায় । এক বা দুজনের বেলায় না , এমনটি অনেকেই করছেন ।
মুসলমানদের পবিত্রতম মসজিদে হজ্জের সময় গিয়েও কাপড় নিয়ে এরকম মারাত্মক উদাসীনতা সত্যিই দু:খজনক । সাদা কাপড়ের হিজাব :হজ্জের সময় বেশীরভাগ মহিলাই সাদা ও কালো কাপড় দিয়ে হিজাব করেন । যারা সাদা কাপড় দিয়ে সেলোয়ার - কামিয বা হিজাব বানান , তারা দয়া করে মোটা কাপড় বেছে নিবেন । সাদা রংয়ের পাতলা কাপড় কোনভাবেই হিজাবের উপযুক্ত নয় কেননা পাতলা সাদা রংয়ের কাপড় পরে ঘরের বাইরে আসলে দেখবেন রোদের আলোয় পুরো শরীর স্পষ্ট দেখা যায় , যা একজন মুসলিম নারীর জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক অবস্থা হিজাবের উদ্দেশ্য হলো শরীর ঢেকে রাখা কিন্ত্ত পাতলা , সাদা কাপড় দিয়ে পোশাক বানালে সেই উদ্দেশ্য সফল হয় না ।
সাদা রং আল্লাহর রাসূল হজরত মুহাম্মদ সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পছন্দ করতেন বলে হাদীসে আছে । তাই মুসলিম নারীরা হিজাবের রং হিসাবে সাদা পছন্দ করেন । আবার সৌদি আরবের গরম আবহাওয়ায় কালো রং থেকে সাদা রংয়ের কাপড় আরামদায়ক বলে অনেকে সাদা কাপড়ের পোশাক ও হিজাব বেছে নেন । কিন্ত্ত মনে রাখবেন , সাদা পাতলা কামিযের উপরে মোটা কাপড়ের বোরখা , চাদর বা চওড়া ওড়না অবশ্যই পরতে হবে । সাদা সেলোয়ারের নীচে সাদা লেগিংস পরে নেবেন যাতে পা দেখা না যায় ।
মাথায় সাদা ওড়না ব্যবহার করতে চাইলে ওড়নার নীচে সাদা বা অন্য রংয়ের টুপি পরতে হবে । টুপি পরতে না চাইলে সাদা ওড়না তিন থেকে চারবার পেঁচিয়ে মাথায় দিতে হবে যাতে চুল ভালভাবে ঢাকা থাকে ।
অনেক ৯ / ১০ বছরের মেয়েকে দেখলাম মাথায় এমন কী স্কার্ফও না পরে পবিত্র কাবায় নির্বিকারভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে । পাশেই নেকাবধারী মা , দাদী বা নানী । জানি না , অভিভাবকরা তাদের কিশোরী মেয়ের পর্দা সম্পর্কে কেন এত উদাসীন ? ধরে নিলাম , মেয়ে এখনো সাবালিকা হয় নি ; তারপরেও পবিত্র কাবায় ঢোকার আগে মেয়েকে কাবা ও পর্দার গূরুত্ব বোঝানোর জন্য উচিত ছিল একটি স্কার্ফ মেয়ের মাথায় জড়িয়ে দেয়া ।
অনেক কিশোরী মেয়েই গেন্জী – প্যান্ট , হাতাকাটা ম্যাকসি ইত্যাদি পড়ে কাবায় ঢুকেছে যা অত্যন্ত দৃষ্টিকটূ । আগে শুনতাম সৌদি পুলিশ নারীদের হিজাব নিয়ে খুব কড়াকড়ি করে । কিন্ত্ত অন্তত হজ্জের সময় পুলিশের এ বিষয়ে কোন কড়াকড়ি বা তৎপরতা আমার চোখে পড়ে নি ।আশা করি , আগামীতে আর এরকম দু:খজনক দৃশ্য চোখে পড়বে না । মুসলিম নারীরা নিজেরা ও তাদের অভিভাবকগণ হিজাব নিয়ে আরো সচেতন হবেন , আল্লাহ যেন আমাদের সহায় হোন ।
( হে নবী ) , ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত করে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করে ; তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশ থাকে , তা ছাড়া তাদের আভরণ প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার কাপড় গ্রীবা ও বুকের উপর ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো কাছে তাদের আভরণ প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন আভরণ প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও। ( সুরা নূর : ২৪ :৩১ ) ।
Last edited: