Muslim Woman
Super Moderator
- Messages
- 12,286
- Reaction score
- 1,449
- Gender
- Female
- Religion
- Islam
একবার নবীজিকে জিজ্ঞাসা করা হলো, "ঈমানদার কি কখনো ভীরু হতে পারে?"
তিনি বললেন, "হ্যাঁ, হতে পারে।"
আবার জিজ্ঞাসা করা হলো, "ঈমানদার কি কখনো কৃপণ হতে পারে?"
তিনি বললেন, "হ্যাঁ, হতে পারে।"
পুনরায় জিজ্ঞাসা করা হলো, "ঈমনদার কি কখনো মিথ্যাবাদী হতে পারে?"
নবীজি বললেন, "না, ঈমানদার কখনো মিথ্যাবাদী হতে পারে না।" [মুয়াত্তা মালিক: হাদিস নং ১৫৭১]
.
অন্য হাদিসে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, "খেয়ানত এবং মিথ্যা ব্যতীত ঈমানদারের মধ্যে সব ধরণের স্বভাব দেওয়া হয়েছে।" [মুসনাদে আহমাদ: ২১১৪৯]
.
অর্থাৎ, মুমিন ব্যক্তি প্রবৃত্তির প্ররোচনায় যেকোনো গোনাহই করে ফেলতে পারে, কিন্তু খেয়ানত বা মিথ্যা বলার মত কাজ করতে পারে না। এগুলো কোনো মুমিনের সাথে মানানসই নয়। যাদের ঈমান সংশয়পূর্ণ, ভঙুর বা দুর্বল, তাদের মাঝে এগুলো লক্ষণীয়। সুতরাং এই দুটো অভ্যাস চরমভাবে বর্জনীয়।
.
মিথ্যাবাদী রাখালের সেই গল্পটি নিশ্চয়ই আমরা সবাই কম-বেশি পড়েছি বা জেনেছি। বাস্তবতা এটাই যে, কখনো যদি আপনি মিথ্যা বলে ধরা খান, তবে আপনার উপর থেকে মানুষ আস্থা এবং বিশ্বাস হারিয়ে ফেলবে। ভবিষ্যতে আপনি যত ভালোই হোন, এই আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারবেন না। হাদিসের যেসব বর্ণনাকারীর (রাবি) জীবনী ঘেটে জানা গেছে, জীবনে কখনো তারা মিথ্যা বলেছেন, তাদের হাদিস উলামায়ে কিরাম গ্রহণ করেননি।
.
আমাদের নবীজির দাওয়াতি মিশনের সফলতার অন্যতম নিয়ামক ছিলো সত্যবাদিতা। তিনি নবুওয়াতের পূর্বেও কখনো কোনোদিন একটি মিথ্যাও বলেননি, ফলে আবু বকর (রা.)-এর মত স্বর্ণমানবরা নবীজির দাওয়াতকে এক বাক্যে মেনে নিয়ে বলেছেন, "তিনি যেহেতু বলছেন, সেহেতু এটাই সত্যি।" এজন্য নবীজি কখনো কোনো কাফিরের ব্যাপারে বদদোয়া করলে সে হতাশায় ভেঙে পড়তো, কারণ সে জানতো, নবীজি যা বলেন, তার ব্যতিক্রম হয় না।
.
আমি অনেক দ্বীনদার ভাইদের মাঝেও দেখেছি, এই ব্যাপারটিকে তারা খুব একটা পাত্তা দেন না। সামান্য চ্যালেঞ্জিং বা বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখেই হুট করে মিথ্যা বলে বসেন। নাউযুবিল্লাহ্।
.
মনে রাখবেন, আপনি যদি কাউকে সন্তুষ্ট করার জন্যও কখনো মিথ্যা বলেন, তবুও আপনি এই ব্যক্তির কাছ থেকে সারা জীবনের জন্য বিশ্বাস হারিয়ে ফেলবেন। কারণ, সে ভেবে নেবে, "আজ আমার স্বার্থে মিথ্যা বলছে, কাল তো অপরের স্বার্থেও মিথ্যা বলতে পারে!"
.
সুতরাং জীবনকে সুন্দর ও সহজ করতে, মানুষের সাথে সম্পর্ক অটুট রাখতে আপনার চরম সত্যবাদী হওয়া ছাড়া উপায় নেই। মিথ্যা বলে স্থায়ীভাবে বিশ্বাস হারানোর চেয়ে সত্য বলে সাময়িক ভোগান্তিতে পড়া শতগুণে উত্তম। সাধারণত, মিথ্যা বলে কেউ কখনো বাঁচতে পারে না, কোনো না কোনো উপায়ে মানুষ তার মিথ্যাবাদিতার কথা জেনে যায়।
.
#ImprovingPersonality
#আমাদের_নবীজি (২য় পর্ব)
.
সাল্লাল্লাহু 'আলান্নাবিয়্যি মুহাম্মাদিন।
.
#Tasbeeh
তিনি বললেন, "হ্যাঁ, হতে পারে।"
আবার জিজ্ঞাসা করা হলো, "ঈমানদার কি কখনো কৃপণ হতে পারে?"
তিনি বললেন, "হ্যাঁ, হতে পারে।"
পুনরায় জিজ্ঞাসা করা হলো, "ঈমনদার কি কখনো মিথ্যাবাদী হতে পারে?"
নবীজি বললেন, "না, ঈমানদার কখনো মিথ্যাবাদী হতে পারে না।" [মুয়াত্তা মালিক: হাদিস নং ১৫৭১]
.
অন্য হাদিসে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, "খেয়ানত এবং মিথ্যা ব্যতীত ঈমানদারের মধ্যে সব ধরণের স্বভাব দেওয়া হয়েছে।" [মুসনাদে আহমাদ: ২১১৪৯]
.
অর্থাৎ, মুমিন ব্যক্তি প্রবৃত্তির প্ররোচনায় যেকোনো গোনাহই করে ফেলতে পারে, কিন্তু খেয়ানত বা মিথ্যা বলার মত কাজ করতে পারে না। এগুলো কোনো মুমিনের সাথে মানানসই নয়। যাদের ঈমান সংশয়পূর্ণ, ভঙুর বা দুর্বল, তাদের মাঝে এগুলো লক্ষণীয়। সুতরাং এই দুটো অভ্যাস চরমভাবে বর্জনীয়।
.
মিথ্যাবাদী রাখালের সেই গল্পটি নিশ্চয়ই আমরা সবাই কম-বেশি পড়েছি বা জেনেছি। বাস্তবতা এটাই যে, কখনো যদি আপনি মিথ্যা বলে ধরা খান, তবে আপনার উপর থেকে মানুষ আস্থা এবং বিশ্বাস হারিয়ে ফেলবে। ভবিষ্যতে আপনি যত ভালোই হোন, এই আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারবেন না। হাদিসের যেসব বর্ণনাকারীর (রাবি) জীবনী ঘেটে জানা গেছে, জীবনে কখনো তারা মিথ্যা বলেছেন, তাদের হাদিস উলামায়ে কিরাম গ্রহণ করেননি।
.
আমাদের নবীজির দাওয়াতি মিশনের সফলতার অন্যতম নিয়ামক ছিলো সত্যবাদিতা। তিনি নবুওয়াতের পূর্বেও কখনো কোনোদিন একটি মিথ্যাও বলেননি, ফলে আবু বকর (রা.)-এর মত স্বর্ণমানবরা নবীজির দাওয়াতকে এক বাক্যে মেনে নিয়ে বলেছেন, "তিনি যেহেতু বলছেন, সেহেতু এটাই সত্যি।" এজন্য নবীজি কখনো কোনো কাফিরের ব্যাপারে বদদোয়া করলে সে হতাশায় ভেঙে পড়তো, কারণ সে জানতো, নবীজি যা বলেন, তার ব্যতিক্রম হয় না।
.
আমি অনেক দ্বীনদার ভাইদের মাঝেও দেখেছি, এই ব্যাপারটিকে তারা খুব একটা পাত্তা দেন না। সামান্য চ্যালেঞ্জিং বা বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখেই হুট করে মিথ্যা বলে বসেন। নাউযুবিল্লাহ্।
.
মনে রাখবেন, আপনি যদি কাউকে সন্তুষ্ট করার জন্যও কখনো মিথ্যা বলেন, তবুও আপনি এই ব্যক্তির কাছ থেকে সারা জীবনের জন্য বিশ্বাস হারিয়ে ফেলবেন। কারণ, সে ভেবে নেবে, "আজ আমার স্বার্থে মিথ্যা বলছে, কাল তো অপরের স্বার্থেও মিথ্যা বলতে পারে!"
.
সুতরাং জীবনকে সুন্দর ও সহজ করতে, মানুষের সাথে সম্পর্ক অটুট রাখতে আপনার চরম সত্যবাদী হওয়া ছাড়া উপায় নেই। মিথ্যা বলে স্থায়ীভাবে বিশ্বাস হারানোর চেয়ে সত্য বলে সাময়িক ভোগান্তিতে পড়া শতগুণে উত্তম। সাধারণত, মিথ্যা বলে কেউ কখনো বাঁচতে পারে না, কোনো না কোনো উপায়ে মানুষ তার মিথ্যাবাদিতার কথা জেনে যায়।
.
#ImprovingPersonality
#আমাদের_নবীজি (২য় পর্ব)
.
সাল্লাল্লাহু 'আলান্নাবিয়্যি মুহাম্মাদিন।
.
#Tasbeeh