রামাদানে যা যা করতে পারি

Muslim Woman

Super Moderator
Messages
12,286
Reaction score
1,449
Gender
Female
Religion
Islam
বিসমিল্লাহ

আমি নিশ্চিত যে রমাদানের প্রস্তুতির তালিকায় অনেকেই "ফেইসবুকে সময় কম কাটানো" অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
কিন্তু ব্যাপারটা সহজ নয় মোটেও।

এক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী একটা পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে। এই পরামর্শটা কে দিয়েছিলেন, ঠিক মনে নেই। তবে যিনিই দিয়ে থাকেন আল্লাহ তাকে যেন উত্তম প্রতিদান দেন।

কাজটা হচ্ছে- সেল ফোন থেকে ফেইসবুক uninstall করে ফেলা। এই একটা কাজ করতে পারলে চাইলেই আর শুয়ে, বসে, দাঁড়িয়ে কিংবা খাওয়ার টেবিলে ফেইসবুক ব্রাউজ বা নোটিফিকেশান চেক করা যায় না।

ফেইসবুকে বসতে চাইলে ল্যাপটপ বা কম্পিউটর খুলে একটা নির্দিষ্ট জায়গায় বসে থাকতে হয়। এতে স্বভাবতই অনেক অনেক কম সময় নষ্ট হতে বাধ্য।

এখন একটা প্রশ্ন, সেল ফোন দেখে হাতটা যখন সুরসুর শুরু করবে স্ক্রীন স্ক্রল করার জন্য, তখন কী করব?

যদি অল্টারনেইট কিছু না রাখা হয় তবে খুব তাড়াতাড়িই "পুনর্মূষিক ভব" অবস্থানে পৌঁছে যেতে সময় লাগবে না মোটেও!

এখন, কী হতে পারে সেই alternate?

উত্তরটা যেমন সহজ, তেমনই কঠিন।

সামনে রমাদান, কুরআনের মাস! আমরা কি সেল ফোনে চমৎকার কোন কুরআনের app install করে নিতে পারি না?

অবশ্যই পারি। যখনই হাত সুরসুর শুরু করবে স্ক্রীন স্ক্রল করার জন্য আমরা কুরআন খুলে বসতে পারি।

এবং চিন্তা করতে হবে যে মাত্র একটা হরফ পড়লেই দশ নেকি! সুবহানাল্লাহ! আমরা একবার ফেইসবুক নিয়ে বসলে যে পরিমাণ সময় এখানে কাটাই সেই সময়ে যে কুরআনের কত কত আয়াত পড়া সম্ভব, কাজটা শুরু না করার আগ পর্যন্ত কেউ কল্পনাও করতে পারবেন না!

তবে কাজটা শুরু করা কিন্তু সহজ হবে না মোটেও। আমরা কুরআন খুলে বসতে চাইলে শয়তান কি আমাদেরকে ছেড়ে দেবে? মোটেও না। সর্বশক্তি দিয়ে আমাদের পেছনে দিন-রাত সুপার গ্লু-র মত লেগে লাগবে।

এবং মনে রাখা দরকার যে শয়তান কিন্তু ভাল মানুষের কাছে ভাল মানুষের বেশ ধরেই আসবে।
হয়ত আপনার কানের কাছে বলতেও পারে, "তুমি সব সময় ইসলাম নিয়ে পোস্ট দাও। কত মানুষ সেটা পড়ে উপকৃত হয়। কাজটা বন্ধ করবে কেন?"

তখন সোজা-সাপ্টা উত্তর দিয়ে দেবেন, "না ভাই, এইবার আমি একটু স্বার্থপর হতে চাই। আর মানুষের অত উপকার করে পারি না।"

অত্যন্ত অধ্যাবসায়ী এবং সুযোগসন্ধানী এই শয়তানকে যদি আমরা রমাদানেই পরাজিত করতে না পারি, তবে আর কবে পারব? এই মাসে তো সে থাকে শেকলাবদ্ধ! বাকি এগারো মাস এর গোলামি করে করে আমরা যেভাবে তাতে অভ্যস্ত হয়ে যাই রমাদানে কৃত পাপগুলো হচ্ছে সেই অভ্যস্ততার ফসল।

চলুন, সবাই মিলে শয়তানকে "না" বলি - আজ থেকে, এই মুহূর্ত থেকে।

কুরআনের মাস কাটুক কুরআনের বেশি বেশি সান্নিধ্যে। প্রস্তুতি শুরু হোক এই মুহূর্ত থেকে। ইনশাআল্লাহ।

আল্লাহ তাউফিক দেন। ওয়া মা তাউফিকী ইল্লাহ বিল্লাহ।

কপি
 
✈️ রমজানের বিমান ✈️

সম্মানিত যাত্রীবৃন্দ, দয়া করে মনোযোগ দিন!
রমজানের বিমান কিছুক্ষণের মধ্যেই শাবান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

🔹 ফ্লাইট নম্বর: ১৪৪৫
🔹 গন্তব্য: জান্নাতের রাইয়ান দরজা
🔹 ফ্লাইট ক্যাপ্টেন: পবিত্র কুরআনুল কারীম

🛑 এই ফ্লাইটে যা নিষিদ্ধ:
❌ সিরিয়াল ও নাটক দেখে সময় নষ্ট করা
❌ খাবারের প্রতি অতিরিক্ত মনোযোগ দেওয়া
❌ গীবত ও পরনিন্দা করা

📢 সতর্কতা:
এই বিমানে সিসিটিভি ক্যামেরা ও নজরদারি ব্যবস্থাপনা রয়েছে।

❝ সে যে কোনো কথা উচ্চারণ করে, তা লিপিবদ্ধ করার জন্য একজন প্রস্তুত থাকে।❞ (সূরা কাফ: ১৮)

✈️ ভ্রমণের সময় যেসব আমল করার পরামর্শ:
✅ তাহাজ্জুদ ও তারাবিহ নামাজ আদায় করা
✅ বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত করা

✅ দান-সদকা বৃদ্ধি করা
✅ মা-বাবার প্রতি সদয় হওয়া
✅ আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা
✅ অসুস্থদের খোঁজখবর নেওয়া

✅ সর্বদা আল্লাহর জিকির করা
✅ অধিক পরিমাণে নবী ﷺ- এর ওপর দরুদ পাঠ করা
তাওবা ইস্তিগফার

💖 আশা করি, আপনারা একটি ইমানদারী ভ্রমণ উপভোগ করবেন। ইনশাআল্লাহ, আমাদের সাক্ষাৎ হবে প্রিয় নবী মুহাম্মাদ ﷺ-এর হাউজে!

Collected
বিসমিল্লাহ

আমি নিশ্চিত যে রমাদানের প্রস্তুতির তালিকায় অনেকেই "ফেইসবুকে সময় কম কাটানো" অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
কিন্তু ব্যাপারটা সহজ নয় মোটেও।

এক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী একটা পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে। এই পরামর্শটা কে দিয়েছিলেন, ঠিক মনে নেই। তবে যিনিই দিয়ে থাকেন আল্লাহ তাকে যেন উত্তম প্রতিদান দেন।

কাজটা হচ্ছে- সেল ফোন থেকে ফেইসবুক uninstall করে ফেলা। এই একটা কাজ করতে পারলে চাইলেই আর শুয়ে, বসে, দাঁড়িয়ে কিংবা খাওয়ার টেবিলে ফেইসবুক ব্রাউজ বা নোটিফিকেশান চেক করা যায় না।

ফেইসবুকে বসতে চাইলে ল্যাপটপ বা কম্পিউটর খুলে একটা নির্দিষ্ট জায়গায় বসে থাকতে হয়। এতে স্বভাবতই অনেক অনেক কম সময় নষ্ট হতে বাধ্য।

এখন একটা প্রশ্ন, সেল ফোন দেখে হাতটা যখন সুরসুর শুরু করবে স্ক্রীন স্ক্রল করার জন্য, তখন কী করব?

যদি অল্টারনেইট কিছু না রাখা হয় তবে খুব তাড়াতাড়িই "পুনর্মূষিক ভব" অবস্থানে পৌঁছে যেতে সময় লাগবে না মোটেও!

এখন, কী হতে পারে সেই alternate?

উত্তরটা যেমন সহজ, তেমনই কঠিন।

সামনে রমাদান, কুরআনের মাস! আমরা কি সেল ফোনে চমৎকার কোন কুরআনের app install করে নিতে পারি না?

অবশ্যই পারি। যখনই হাত সুরসুর শুরু করবে স্ক্রীন স্ক্রল করার জন্য আমরা কুরআন খুলে বসতে পারি।

এবং চিন্তা করতে হবে যে মাত্র একটা হরফ পড়লেই দশ নেকি! সুবহানাল্লাহ! আমরা একবার ফেইসবুক নিয়ে বসলে যে পরিমাণ সময় এখানে কাটাই সেই সময়ে যে কুরআনের কত কত আয়াত পড়া সম্ভব, কাজটা শুরু না করার আগ পর্যন্ত কেউ কল্পনাও করতে পারবেন না!

তবে কাজটা শুরু করা কিন্তু সহজ হবে না মোটেও। আমরা কুরআন খুলে বসতে চাইলে শয়তান কি আমাদেরকে ছেড়ে দেবে? মোটেও না। সর্বশক্তি দিয়ে আমাদের পেছনে দিন-রাত সুপার গ্লু-র মত লেগে লাগবে।

এবং মনে রাখা দরকার যে শয়তান কিন্তু ভাল মানুষের কাছে ভাল মানুষের বেশ ধরেই আসবে।
হয়ত আপনার কানের কাছে বলতেও পারে, "তুমি সব সময় ইসলাম নিয়ে পোস্ট দাও। কত মানুষ সেটা পড়ে উপকৃত হয়। কাজটা বন্ধ করবে কেন?"

তখন সোজা-সাপ্টা উত্তর দিয়ে দেবেন, "না ভাই, এইবার আমি একটু স্বার্থপর হতে চাই। আর মানুষের অত উপকার করে পারি না।"

অত্যন্ত অধ্যাবসায়ী এবং সুযোগসন্ধানী এই শয়তানকে যদি আমরা রমাদানেই পরাজিত করতে না পারি, তবে আর কবে পারব? এই মাসে তো সে থাকে শেকলাবদ্ধ! বাকি এগারো মাস এর গোলামি করে করে আমরা যেভাবে তাতে অভ্যস্ত হয়ে যাই রমাদানে কৃত পাপগুলো হচ্ছে সেই অভ্যস্ততার ফসল।

চলুন, সবাই মিলে শয়তানকে "না" বলি - আজ থেকে, এই মুহূর্ত থেকে।

কুরআনের মাস কাটুক কুরআনের বেশি বেশি সান্নিধ্যে। প্রস্তুতি শুরু হোক এই মুহূর্ত থেকে। ইনশাআল্লাহ।

আল্লাহ তাউফিক দেন। ওয়া মা তাউফিকী ইল্লাহ বিল্লাহ।

কপি
 

Similar Threads

Back
Top