প্রশ্ন: আরবি বছরের শেষ ১০ দিন এর বিশেষ কোন ফজিলত আছে কি?
(প্রশ্নটি করেছেন: নাঈম আজাদ)
উত্তর: এরকম কোনো ফযীলতের কথা জানা নেই৷ তবে আরবী বছরের শেষ মাস অর্থাৎ যিলহজ্ব মাসের প্রথম দশক খুবই ফযীলতের৷ আল্লাহ তায়ালা এই মাসের প্রথম দশকের রাতের কসম করে পবিত্র কুরআনে সূরা নাযিল করেছেন৷ ইরশাদ হয়েছে:
والفجر، وليال عشر. "শপথ ভোরবেলার, শপথ দশ রাত্রির।" (সূরা আল-ফাজর: ১-২)
হাদীস শরীফে এই দশককে দুনিয়ার সবচেয়ে উত্তম ও মর্যাদাবান দশক হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
হযরত জাবির রা. হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
أفضل أيام الدنيا العشر، يعني عشر ذي الحجة، قيل ولا مثلهن في سبيل الله؟ قال : ولا مثلهن في سبيل الله، إلا رجل عُفِّر وجهه بالتراب.
"দুনিয়ার সর্বোত্তম দিনগুলো হল যিলহজ্বের দশ দিন। জিজ্ঞাসা করা হল, আল্লাহর রাস্তায়ও কি তার সমতুল্য নেই? তিনি বললেন, আল্লাহর রাস্তায়ও তার সমতুল্য নেই, তবে ঐ ব্যক্তি, যার চেহারা ধূলিযুক্ত হয়েছে, অর্থাৎ শাহদাতের মর্যাদা লাভ করেছে।" (মুসনাদে বাযযার: ১১২৮; মুসনাদে আবু ইয়ালা: ২০১০)
প্রশ্নকর্তার নতুন জিজ্ঞাসা:
উল্লেখিত ১০ রাতের বিশেষ কোন আমল আছে কি?
উত্তর: হ্যাঁ এই দশকে ফযীলতপূর্ণ বিশেষ কিছু আমল রয়েছে৷ যেমন: যিনি কুরবানী করবেন, তার জন্যে যিলহজ্ব মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার পর থেকে নিয়ে কুরবানী করার আগ পর্যন্ত নখ, চুল, গোফ ইত্যাদি না কাটা মুস্তাহাব৷
হযরত উম্মে সালামা রা. হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
إذا رأيتم هلال ذي الحجة وأراد أحدكم أن يضحي فليمسك عن شعره وأظفاره.
"তোমরা যদি যিলহজ্ব মাসের চাঁদ দেখতে পাও আর তোমাদের কেউ কুরবানী করার ইচ্ছা করে তবে সে যেন স্বীয় চুল ও নখ কাটা থেকে বিরত থাকে।" (সহীহ মুসলিম: ১৯৭৭; জামে তিরমিযী: ১৫২৩; সুনানে আবু দাউদ: ২৭৯১; সুনানে নাসায়ী: ৪৩৬২; সহীহ ইবনে হিববান: ৫৮৯৭)
ঈদের দিন ছাড়া পূর্বের নয়দিন রোযা রাখার বিশেষ ফযীলত রয়েছে৷ হয়ত পুরা নয়দিন না হয় যেকোনো দিন রোযা রাখতে পারেন৷ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই নয়দিন রোযা রাখতেন৷ এক হাদীসে হযরত হাফসা রা. বর্ণনা করেন-
أربع لم يكن يدعهن النبي صلى الله عليه وسلم : صيام عاشوراء والعشر وثلاثة أيام من كل شهر وركعتين قبل الغداة.
"চারটি আমল নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো ছাড়তেন না। আশুরার রোযা, যিলহজ্বের প্রথম দশকের রোযা, প্রত্যেক মাসের তিন দিনের রোযা, ফজরের আগে দুই রাকাত সুন্নত নামায।" (সুনানে নাসায়ী: ২৪১৫; সহীহ ইবনে হিববান: ৬৪২২; মুসনাদে আবু ইয়ালা: ৭০৪২; মুসনাদে আহমাদ: ২৬৩৩৯)
বিশেষভাবে নয় তারিখের রোযা রাখা৷
যিলহজ্বের প্রথম নয় দিনের মধ্যে নবম তারিখের রোযা সর্বাধিক ফযীলতপূর্ণ। সহীহ হাদীসে এই দিবসের রোযার ফযীলত বর্ণিত হয়েছে।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
صيام يوم عرفة أحتسب على الله أن يكفر السنة التي بعده والسنة التي قبله.
"আরাফার দিনের (নয় তারিখের) রোযার বিষয়ে আমি আল্লাহর নিকট আশাবাদী যে, তিনি এর দ্বারা বিগত এক বছর ও আগামী বছরের গোনাহ মিটিয়ে দিবেন।" (সহীহ মুসলিম: ১১৬২; সুনানে আবু দাউদ: ২৪২৫; জামে তিরমিযী: ৭৪৯; সুনানে ইবনে মাজাহ: ১৭৩০)
Hey there! Looks like you're enjoying the discussion, but you're not signed up for an account.
When you create an account, we remember exactly what you've read, so you always come right back where you left off. You also get notifications, here and via email, whenever new posts are made. And you can like posts and share your thoughts.
Sign Up
Bookmarks