ফজরের নামাজের জন্য ঘুম থেকে উঠার কিছু সহজ টিপসঃ
.
১.দ্রুত ঘুমিয়ে পড়া।সুন্নত হল এশার নামাজ পড়েই ঘুমিয়ে পড়া।এশার নামাজ পড়ে ঘুমানোর ফায়দা হল আপনি শেষ রাতে তাহাজ্জুদের জন্য সহজে উঠতে পারবেন।
বেশ লম্বা একটা ঘুমই হবে তাহাজ্জুদের আগ পর্যন্ত।
তবে বর্তমান পরিস্হিতি অনুযায়ী যেহেতু এশার পর পর ঘুমানো কঠিন তাই খুব চেষ্টা করুন রাত ১০টা-১১টার মধ্যে শুয়ে পড়তে।
রাতের খাবার ঘুমানোর কমপক্ষে অাধঘন্টা আগে খাবেন।প্রথম প্রথম হয়তো ঘুম আসতে চাইবে না।কিন্তু আস্তে আস্তে এতে আপনি অভ্যস্ত হয়ে যাবেন ইন শা আল্লাহ্।
.
২.ফজরের পর না ঘুমানো।ফজরের পর ঘুমানোর কারণে আমরা বেশ লম্বা একটা সময় ব্যবহার করা থেকে বঞ্চিত হই।তাছাড়া ফজরের পরের সময়টা বেশ বরকতময়।
ব্যবসা,চাকরী,পড়াশো নার সব কাজ যত দ্রুত শুরু করা যায় তত ভাল।এ সময় না ঘুমালে রাতের বেলা আপনার দ্রুত ঘুম আসবে।
.
৩.বিছানায় শোয়ার পর ডিভাইস থেকে দূরে থাকা।
আপনি নিয়ত করে মশারীর ভিতর ঢুকে যাবেন।ঘুমের আগের সুন্নত আমলগুলে করবেন,দুআ পড়বেন এরপর ডান কাত হয়ে চোখ বন্ধ করবেন।এর মধ্যে একটু ফেইসবুকে ঢু মারতে গেলেই শেষ!
আধাঘন্টা সময় ও যাবে আপনার ঘুমও আসতে দেরি হবে।
.
৪.ঘুমানোর সময় ওযু করে এবং ঘুমানোর আগে অল্প কয়েক রাকাত নামাজ পড়ে ঘুমানো।ওযু অবস্হায় ঘুমালে আপনাকে একজন ফেরেশতা পাহারা দিবে*।তাই ঘুমানোর সময় ওযু অবস্হায় থাকার চেষ্টা করুন।
.
৫.ঘুমানোর পূর্বে আল্লাহর কাছে দুআ করা।
.
"হে আল্লাহ্,আপনি জানেন আমি আপনার একজন দূর্বল বান্দা।আমার ঘুম গভীর।শয়তান আমাকে ঘুম থেকে উঠতে দেয় না।আপনি তো জানেন আমি চাই ফজরের নামাজ পড়তে।
ইয়া রব,আপনি আমাকে সাহায্য করুন।
ফজরের সময় যেন উঠতে পারি সে তৌফিক দান করুন।"
.
৬.মোবাইলে তিন চারটা এলার্ম দিয়ে মোবাইলটা কিছুটা দূরে রাখুন।হাত বাড়ালেই যেন পাওয়া না যায় এমন দূরত্বে রাখুন।আবার দূরত্ব বাড়াতে গিয়ে এমন করবেন না যে শব্দই শুনবেন না।আজকাল বিভিন্ন রকমের এলার্মের এপস আছে।সেগুলোতে এলার্ম বন্ধ করার জন্য কিছু সময়ের প্রয়োজন হয়।আপনার প্রয়োজন মাফিক ব্যবহার করতে পারেন।
.
৭.এলার্মের শব্দে যখনই ঘুম ভাঙ্গবে তখনই উঠে পড়ুন।আরেকটু পরে উঠছি বলে দেরি করবেন না।করেছেন তো মরেছেন!
কিভাবে যে ঘুমের মধ্যে দুই মিনিট, দুই ঘন্টা হয়ে যাবে টের ও পাবেন না।
.
৮.যথাসম্ভব গুনাহ থেকে দূরে থাকুন।আমাদের গুনাহের কারণেই বেশিরভাগ সময় আমরা আমল করা থেকে বঞ্চিত হই।
.
.
*আল্লাহর রসূল (সাঃ) বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি ওযু অবস্থায় রাত্রি যাপন করে তার সাথে একজন ফিরিশতা নিয়োজিত থাকেন। সুতরাং যখনই সে জাগ্রত হয় তখনই ঐ ফিরিশতা বলেন, ‘হে আল্লাহ! তোমার বান্দা অমুককে ক্ষমা করে দাও, কারণ সে ওযু অবস্থায় রাত্রি যাপন করেছে।’’(ইবনে হিববান, সহীহ তারগীব ৫৯৪)
.
আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যদি লোকে এশা ও ফজরের নামাযের ফযীলত জানতে পারত, তাহলে তাদেরকে হামাগুড়ি দিয়ে আসতে হলেও তারা অবশ্যই ঐ নামাযদ্বয়ে আসত।” (বুখারী ও মুসলিম)
.
.
মনে রাখবেন,ফজর হচ্ছে শয়তানের বিরুদ্ধে আপনার প্রথম সংগ্রাম।প্রথমেই যদি হেরে যান বাকি সময় জিতবেন কি করে?
Dawah
#এডমিন
Christ will never be proud to reject to be a slave to God .....holy Quran, chapter Women , 4: 172
Hey there! Looks like you're enjoying the discussion, but you're not signed up for an account.
When you create an account, we remember exactly what you've read, so you always come right back where you left off. You also get notifications, here and via email, whenever new posts are made. And you can like posts and share your thoughts.
Sign Up
Bookmarks