আজকের আয়াত / হাদিস/ দুআ

Muslim Woman

Super Moderator
Messages
12,286
Reaction score
1,449
Gender
Female
Religion
Islam
আজকের আয়াত/হাদীস

নবী (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তোমরা ধ্বংসকারী সাতটি কাজ থেকে দূরে থাক।

তারা বললেন, উহা কি কি হে আল্লাহর রাসূল?

তিনি বললেন, আল্লাহর সাথে শির্ক, যাদু, কোন অধিকার ছাড়া কাউকে খুন করা, সুদ খাওয়া, ইয়াতীমের সম্পদ ভক্ষণ করা, যুদ্ধের ময়দান থেকে পলায়ন করা, বিদুষী সতী-সাধী মুমিন নারীদেরকে অপবাদ প্রদান করা।

(বুখারী ও মুসলিম)

Copied from App Of Ramadan
Play store Link:
 
Last edited:
আজকের আয়াত/হাদীস

যে ব্যক্তি একদিন আল্লাহর পথে রোজা পালন করবে আল্লাহ তার থেকে জাহান্নামকে এক খরীফ (সত্তুর বছরের) দুরত্বে সরিয়ে দেবেন।

(মুসলিম)

Copied from App Of Ramadan
Play store Link: https://play.google.com/store/apps/details?id=theoaktroop.appoframadan
 
আজকের আয়াত/হাদীস

রাসূল সা: হজরত আলী (রা : ) কে নির্দেশ করেন, ‘হে আলী!

নারীদের প্রতি প্রথম দৃষ্টির পর দ্বিতীয় দৃষ্টি নিক্ষেপ করো না, কেননা প্রথম দৃষ্টি ক্ষমার যোগ্য ,
দ্বিতীয়টি নয়।

হজরত জাবের রা: জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল সা:! হঠাৎ যদি দৃষ্টি পড়ে তা হলে কী করব?

রাসূল সা: বললেন, তাৎণিক দৃষ্টি ফিরিয়ে নিয়ো’

(আবু দাউদ)

Copied from App Of Ramadan
Play store Link:
 
আজকের আয়াত/হাদীস

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন,

আমার বন্ধু (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে তিনটি বিষয়ের অসিয়ত করেছেন। যতদিন জীবিত থাকবো আমি সেগুলো কখনোও ত্যাগ করব না। সেগুলো হচ্ছে, প্রতিমাসে তিন দিন রোযা রাখা, চাশ্-তের নামায পড়া এবং বিতর পড়ে ঘুমানো।’ (বুখারী ১১৭৮, মুসলিম ৭২১)

Copied from App Of Ramadan
Play store Link: https://play.google.com/store/apps/details?id=theoaktroop.appoframadan
 
আজকের আয়াত/হাদীস

আবু হুরাইরা রা. বলেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনও কোন খাবারের দোষ বের ও বলাবলি করেননি। মনে চাইলে খেতেন, অপছন্দ হলে রেখে দিতেন। (সহীহ বুখারি)

Copied from App Of Ramadan
Play store Link: https://play.google.com/store/apps/details?id=theoaktroop.appoframadan
 
আজকের আয়াত/হাদীস

যে ব্যক্তি মিথ্যাকে বর্জন করে, তার জন্য বেহেশতে একটি গৃহ নির্মাণ করা হয়। যে ব্যক্তি উপযুক্ত কারণ থাকা সত্তেও বিরোধ করে না, তার জন্য বেহেশতের মধ্যবর্তী উত্তম স্থানে একটি গৃহ নির্মাণ করা হয়। আর যে ব্যক্তি তার ব্যবহারকে সুন্দর করে; তার জন্য বেহেশতে সর্বোচ্চ উত্তম স্থানে একটি গৃহ নির্মাণ করা হয়। (সহীহ বুখারী)

Copied from App Of Ramadan
Play store Link: https://play.google.com/store/apps/details?id=theoaktroop.appoframadan
 
*রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সফরে যাওয়ার সময় এ দু’আ পাঠ করতেনঃ*


*"‏ اللَّهُمَّ أَنْتَ الصَّاحِبُ فِي السَّفَرِ وَالْخَلِيفَةُ فِي الأَهْلِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ وَعْثَاءِ السَّفَرِ وَكَآبَةِ الْمُنْقَلَبِ وَسُوءِ الْمَنْظَرِ فِي الأَهْلِ وَالْمَالِ اللَّهُمَّ اطْوِ لَنَا الأَرْضَ وَهَوِّنْ عَلَيْنَا السَّفَرَ ‏"‏* ‏.‏


*“হে আল্লাহ! আপনিই (আমাদের) সফরসঙ্গী এবং পরিবারের অভিভাবক। হে আল্লাহ! সফরের কষ্ট হতে, বিপদাপদে পতিত হয়ে ফিরে আসা হতে এবং সন্তান-সন্ততি ও সম্পদের উপর কুদৃষ্টি পড়া হতে আমি আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ! আপনি আমাদের জন্য যমিনকে অনুকূল ও সফরকে সহজ ও আরামদায়ক করে দিন।”*


সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ২৫৯৮
হাদিসের মান: হাসান সহিহ
Source: আল হাদিস অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ, IRD
 
আজকের আয়াত/হাদীস

এ কথা সুনিশ্চিত, যে পুরুষ ও নারী মুসলিম মুমিন, হুকুমের অনুগত, সত্যবাদী, সবরকারী, আল্লাহর সামনে বিনত, সাদকা দানকারী, রোজা পালনকারী, নিজেদের সম্ভ্রমের হেফাজতকারী এবং আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণকারী, আল্লাহ তাদের জন্য মাগফিরাত ও প্রতিদানের ব্যবস্থা করে রেখেছেন। (সূরা-২২ আহজাব, আয়াত: ৩৫)

Copied from App Of Ramadan
Play store Link: https://play.google.com/store/apps/details?id=theoaktroop.appoframadan
 
হাদিসে এসেছে, "যখন কোন মুসলিম সালাত আদায় করার পর তার সালাতের স্থানে বসে থাকে, তখন ফেরেশতাগণ অনবরত তার জন্য দু'আ করতে থাকেন—

"হে আল্লাহ্! এই ব্যক্তিকে ক্ষমা করুন। হে আল্লাহ্! এই ব্যক্তিকে রহমত করুন।"

(এভাবে তারা বলতেই থাকেন) যতক্ষণ না সেই ব্যক্তি অযু নষ্ট করে বা তার স্থান থেকে উঠে যায়।"

[সহিহ ইবনে খুযাইমা: ১/৩৭২, সহিহ আত তারগিব: ১/২৫১; হাদিসটির সনদ সহিহ]
 
*#ধারাবাহিক_হাদীস_অধ্যয়ন*

গ্রন্থঃ সহিহ হাদিসে কুদসি
অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস নম্বরঃ ১১

*অমুক নক্ষত্রের কারণে বৃষ্টি পেয়েছি বলা কুফরি*

১১. আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি সওয়াসাল্লাম বলেন: “তোমরা কি লক্ষ্য কর না তোমাদের রব কি বলেছেন? তিনি বলেছেন: আমি আমার বান্দাদের যখনই কোন নিয়ামত দেই, তখনই এ ব্যাপারে তাদের একটি দল অকৃতজ্ঞ (কাফের) হয়েছে। তারা বলে: নক্ষত্রই এবং নক্ষত্রের কারণে (তারা তা প্রাপ্ত হয়েছে)”। [মুসলিম ও নাসায়ি] হাদিসটি সহিহ।

- 11- عن أبي هريرة -رضي الله عنه- قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: « ألمَ تَرَوْا إلى ما قال ربُّكم؟ قال: ما أنعَمْتُ على عبادي من نعمةٍ إلا أصْبَح فريقٌ منهم بها كافرين يقولون: الكواكبُ وبالكواكبِ » . ( م, ن ) صحيح

Link: http://www.hadithbd.com/share.php?hid=21325
 
পবিত্র কুরআন থেকে “রব্বানা” দিয়ে শুরু ২৫টি দোয়া

আল্লাহ সালাতের মাধ্যমে প্রার্থনা করতে বলেছেন (২:৪৩; ২:১৫৩)। আর সালাতের সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ হলো সিজদা। সিজদাতে একজন মুসলিম/মুসলিমা আল্লাহ তায়ালার সবচেয়ে নিকটবর্তী হয়।
এই সময় আমরা আল্লাহর কাছে করুণভাবে কাকুতি-মিনতি করতে পারি। এছাড়াও বিভিন্ন সময় আল্লাহর কাছে চাওয়ার জন্য পবিত্র কুরআনে বেশ কিছু আয়াতে এই চাওয়ার প্রার্থনাগুলো আল্লাহ আগেই বলে দিয়েছেন।
নিচে ২৫টি প্রার্থনামূলক আয়াতাংশের উদ্ধৃতি দেয়া হল। এখানে মূল আরবীর বাংলা উচ্চারণ ও এর অর্থ দেয়া হয়েছে, সহীহ শুদ্ধভাবে শেখার জন্য সুরা ও আয়াত নাম্বার দেখে সরাসরি আরাবী এবারত পড়বেন। আশা করি আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস আপনাদের কাজে লাগবে।

(১) রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাত ওয়াফিল আখিরাতি হাসানাতাউ ওয়াক্বিনা অ্বাজাবান্নার।

رَبَّنا آتِنا فِي الدُّنيا حَسَنَةً وَفِي الآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنا عَذابَ النّارِ

অর্থ: হে পরওয়ারদেগার! আমাদিগকে দুনিয়াতেও কল্যাণ দান কর এবং আখেরাতেও কল্যাণ দান কর এবং আমাদিগকে দোযখের আযাব থেকে রক্ষা কর। (সুরা বাক্বারাহ ২:২০১)

(২) রাব্বানা আফরিগ অ্বালাইনা সবরন ওয়া ছাব্বিত আক্বদা মানা ওয়াআনছুরনা অ্বালাল ক্বাউমিল কাফিরীন।
[২:২৫০] আল বাকারা

رَبَّنا أَفرِغ عَلَينا صَبرًا وَثَبِّت أَقدامَنا وَانصُرنا عَلَى القَومِ الكافِرينَ
অর্থ: হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের মনে ধৈর্য্য সৃষ্টি করে দাও এবং আমাদেরকে দৃঢ়পদ রাখ-আর আমাদের সাহায্য কর সে কাফের জাতির বিরুদ্ধে। (সুরা বাক্বারাহ ২:২৫০)

(৩) রাব্বানা লাতুআখিজনা ইন্নাসিনা আউ আখতা'না
رَبَّنا لا تُؤاخِذنا إِن نَسينا أَو أَخطَأنا
অর্থ: হে আমাদের পালনকর্তা, যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী করো না। (সুরা বাক্বারাহ ২:২৮৬)

(৪) রাব্বানা ওয়ালা তাহমিল অ্বালাইনা ইসরান কামা হামালতু অ্বালাল্লাজিনা মিন ক্বাবলিনা

رَبَّنا وَلا تَحمِل عَلَينا إِصرًا كَما حَمَلتَهُ عَلَى الَّذينَ مِن قَبلِنا
অর্থ: হে আমাদের পালনকর্তা! এবং আমাদের উপর এমন দায়িত্ব অর্পণ করো না, যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর অর্পণ করেছ। (সুরা বাক্বারাহ ২:২৮৬)

(৫) রাব্বানা ওয়ালা তুহাম্মিলনা মা লা তা ক্বাতা লানা বিহ, ওয়া'ফু অ্বান্না ওয়াগ্বফির লানা ওয়ারহামনা আনতা মাওলানা ফানছুরনা অ্বালাল ক্বাউমিল কাফিরীন।

رَبَّنا وَلا تُحَمِّلنا ما لا طاقَةَ لَنا بِهِ وَاعفُ عَنّا وَاغفِر لَنا وَارحَمنا أَنتَ مَولانا فَانصُرنا عَلَى القَومِ الكافِرينَ
অর্থ: হে আমাদের প্রভূ! এবং আমাদের দ্বারা ঐ বোঝা বহন করিও না, যা বহন করার শক্তি আমাদের নাই। আমাদের পাপ মোচন কর। আমাদেরকে ক্ষমা কর এবং আমাদের প্রতি দয়া কর। তুমিই আমাদের প্রভু। সুতরাং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের কে সাহায্যে কর। (সুরা বাক্বারাহ ২:২৮৬)

(৬) রাব্বানা লা তুজিগ্ব ক্বুলুবানা বা'দা ইজ হাদাইতানা ওয়া হাবলানা মিল্লা দুংকা রাহমাতান, ইন্নাকা আনতাল ওয়াহ্-হাব।
[رَبَّنا لا تُزِغ قُلوبَنا بَعدَ إِذ هَدَيتَنا وَهَب لَنا مِن لَدُنكَ رَحمَةً إِنَّكَ أَنتَ الوَهّابُ
অর্থ: হে আমাদের পালনকর্তা! সরল পথ প্রদর্শনের পর তুমি আমাদের অন্তরকে সত্যলংঘনে প্রবৃত্ত করোনা এবং তোমার নিকট থেকে আমাদিগকে অনুগ্রহ দান কর। তুমিই সব কিছুর দাতা। (সুরা আল-ইমরান ৩:৮)

(৭) রাব্বানাগ্বফির লানা জুনুবানা ওয়া ইছরা ফানা ফি আমরিনা ওয়া ছাব্বিত আক্বদা মানা ওয়ানছুরনা অ্বালাল ক্বাউমিল কাফিরীন।
رَبَّنَا اغفِر لَنا ذُنوبَنا وَإِسرافَنا في أَمرِنا وَثَبِّت أَقدامَنا وَانصُرنا عَلَى القَومِ الكافِرينَ
অর্থ: হে আমাদের পালনকর্তা! মোচন করে দাও আমাদের পাপ এবং যা কিছু বাড়াবাড়ি হয়ে গেছে আমাদের কাজে। আর আমাদিগকে দৃঢ় রাখ এবং কাফেরদের উপর আমাদিগকে সাহায্য কর। (সুরা আল-ইমরান ৩:১৪৭)

(৮) রাব্বানা ইন্নাকা মান তুদখিলিন্নারা ফাক্বাদ আখযাইতাহ; ওয়া মা লিজ্-জালিমীনা মিন আনছার।
رَبَّنا إِنَّكَ مَن تُدخِلِ النّارَ فَقَد أَخزَيتَهُ وَما لِلظّالِمينَ مِن أَنصارٍ
অর্থ: হে আমাদের পালনকর্তা! নিশ্চয় তুমি যাকে দোযখে নিক্ষেপ করলে তাকে সবসময়ে অপমানিত করলে; আর জালেমদের জন্যে তো সাহায্যকারী নেই। (সুরা আল ইমরান ৩:১৯২)

(৯) রাব্বানা ইন্নানা সামিঅ্বনা মুনাদি আই উনা দী লিল ইমানি আন আ মিনু বিরাব্বিকুম ফাআ মান্না
[৩:১৯৩] আল ইমরান
رَبَّنا إِنَّنا سَمِعنا مُنادِيًا يُنادي لِلإيمانِ أَن آمِنوا بِرَبِّكُم فَآمَنّا

অর্থ: হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা নিশ্চিতরূপে শুনেছি একজন আহবানকারীকে ঈমানের প্রতি আহবান করতে যে, তোমাদের পালনকর্তার প্রতি ঈমান আন; তাই আমরা ঈমান এনেছি। (সুরা আল ইমরান ৩:১৯৩)

(১০) রাব্বানা ফাগ্বফির লানা জুনু বানা ওয়া কাফ্-ফির অ্বান্না সাইয়িআতিনা ওয়া তাওয়াফ্-ফানা মাঅ্বাল আব্-রার।
رَبَّنا فَاغفِر لَنا ذُنوبَنا وَكَفِّر عَنّا سَيِّئَاتِنا وَتَوَفَّنا مَعَ الأَبرارِ
অর্থ: হে আমাদের পালনকর্তা! অতঃপর আমাদের সকল গোনাহ মাফ কর এবং আমাদের সকল দোষত্রুটি দুর করে দাও, আর আমাদের মৃত্যু দাও নেক লোকদের সাথে। (সুরা আল ইমরান ৩:১৯৩)

(১১) রাব্বানা ওয়া আতিনা মা ওয়া অ্বাত্তা অ্বালা রুসুলিকা ওয়ালা তুখজিনা ইয়াউমাল ক্বিইয়ামাহ, ইন্নাকা লা তুখলিফুল মিঅ্বাদ।
رَبَّنا وَآتِنا ما وَعَدتَنا عَلى رُسُلِكَ وَلا تُخزِنا يَومَ القِيامَةِ إِنَّكَ لا تُخلِفُ الميعادَ
অর্থ: হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদেরকে দাও, যা তুমি ওয়াদা করেছ তোমার রসূলগণের মাধ্যমে এবং কিয়ামতের দিন আমাদিগকে তুমি অপমানিত করো না। নিশ্চয় তুমি ওয়াদা খেলাফ করো না। (সুরা আল ইমরান ৩:১৯৪)

(১২) রাব্বানা জালামনা আনফুসানা ওয়া ইল্লাম তাগ্বফির লানা ওয়া তারহামনা লানাকুনান্না মিনাল খাছিরীন।
رَبَّنا ظَلَمنا أَنفُسَنا وَإِن لَم تَغفِر لَنا وَتَرحَمنا لَنَكونَنَّ مِنَ الخاسِرينَ
অর্থ: হে আমাদের পালনকর্তা আমরা নিজেদের প্রতি জুলম করেছি। যদি আপনি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং আমাদের প্রতি অনুগ্রহ না করেন, তবে আমরা অবশ্যই অবশ্যই ধ্বংস হয়ে যাব। (সুরা অ্বারাফ ৭:২৩)

(১৩) রাব্বানা লা তাজঅ্বালনা মাঅ্বাল ক্বাউমিজ জালিমিন
رَبَّنا لا تَجعَلنا مَعَ القَومِ الظّالِمينَ
অর্থ: হে আমাদের প্রতিপালক, আমাদেরকে এ জালেমদের সাথী করো না। (সুরা অ্বারাফ ৭:৪৭)

(১৪) রাব্বানাফ তাহ বাইনানা ওয়া বাইনা ক্বাউমিনা বিল হাক্বক্বি ওয়া আনতা খাইরুল ফাতিহীন
رَبَّنَا افتَح بَينَنا وَبَينَ قَومِنا بِالحَقِّ وَأَنتَ خَيرُ الفاتِحينَ
অর্থ: হে আমাদের প্রতিপালক আমাদের ও আমাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে ফয়সালা করে ছিল যথার্থ ফয়সালা। আপনিই শ্রেষ্টতম ফসলা ফয়সালাকারী। (সুরা অ্বারাফ ৭:৮৯)

(১৫) রাব্বানা আফরিগ্ব অ্বালাইনা সাবরাউ ওয়া তা ওয়াফ্-ফানা মুসলিমীন
رَبِّنا لَمّا جاءَتنا رَبَّنا أَفرِغ عَلَينا صَبرًا وَتَوَفَّنا مُسلِمينَ
অর্থ: হে আমাদের পরওয়ারদেগার আমাদের জন্য ধৈর্য্যের দ্বার খুলে দাও এবং আমাদেরকে মুসলমান হিসাবে মৃত্যু দান কর। (সুরা অ্বারাফ ৭:১২৬)

(১৬)

رَبَّنا لا تَجعَلنا فِتنَةً لِلقَومِ الظّالِمينَ
وَنَجِّنا بِرَحمَتِكَ مِنَ القَومِ الكافِرينَ
অর্থ: হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের উপর এ জালেম কওমের শক্তি পরীক্ষা করিও না। আর আমাদেরকে অনুগ্রহ করে ছাড়িয়ে দাও এই কাফেরদের কবল থেকে। (সুরা ইউনুস ১০:৮৫-৮৬)

(১৭) রাব্বানা ইন্নাকা তাঅ্বলামু মা নুখফি ওয়া মা নুঅ্বলিনু; অ মা ইয়াখফা অ্বালাল্লাহি মিন শাইয়িন ফির আরদি ওয়া লা ফিসসামায়ি
رَبَّنا إِنَّكَ تَعلَمُ ما نُخفي وَما نُعلِنُ وَما يَخفى عَلَى اللَّهِ مِن شَيءٍ فِي الأَرضِ وَلا فِي السَّماءِ
অর্থ: হে আমাদের পালনকর্তা, আপনি তো জানেন আমরা যা কিছু গোপনে করি এবং যা কিছু প্রকাশ্য করি। আল্লাহর কাছে পৃথিবীতে ও আকাশে কোন কিছুই গোপন নয়। (সুরা ইব্রাহীম ১৪:৩৮)

(১৮) রাব্বানা আতিনা মিল্লাদুনকা রাহমাতাউ ওয়া হাইয়ি লানা মিন আমরিনা রাশাদ
رَبَّنا آتِنا مِن لَدُنكَ رَحمَةً وَهَيِّئ لَنا مِن أَمرِنا رَشَدًا
অর্থ: হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদেরকে নিজের কাছ থেকে রহমত দান করুন এবং আমাদের জন্যে আমাদের কাজ সঠিকভাবে পূর্ণ করুন। (সুরা আল-কাহফি ১৮:১০)

(১৯) রাব্বানা হাবলানা মিন আজ ওয়াজিনা ওয়া জুররিই ইয়াতিনা ক্বুররাতা আঅ্ব ইয়ুনিউ ওয়াজঅ্বালনা লিল মুত্তাকিনা ইমামা
رَبَّنا هَب لَنا مِن أَزواجِنا وَذُرِّيّاتِنا قُرَّةَ أَعيُنٍ وَاجعَلنا لِلمُتَّقينَ إِمامًا
অর্থ: হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের স্ত্রীদের পক্ষ থেকে এবং আমাদের সন্তানের পক্ষ থেকে আমাদের জন্যে চোখের শীতলতা দান কর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্যে আদর্শস্বরূপ কর। (সুরা ফুরকান ২৫:৭৪)

(২০) রাব্বানা ওয়াসিঅ্বতা কুল্লা শাইয়ির রাহমাতাও ওয়া ঈ্বলমান তাগ্বফির লিল্লাজিনা তাবু ওয়াত্তাবাউ্ব সাবিলাকা ওয়াক্বিহিম অ্বাজাবাল জাহিম
رَبَّنا وَسِعتَ كُلَّ شَيءٍ رَحمَةً وَعِلمًا فَاغفِر لِلَّذينَ تابوا وَاتَّبَعوا سَبيلَكَ وَقِهِم عَذابَ الجَحيمِ
অর্থ: হে আমাদের পালনকর্তা, আপনার রহমত ও জ্ঞান সবকিছুতে পরিব্যাপ্ত। অতএব, যারা তওবা করে এবং আপনার পথে চলে, তাদেরকে ক্ষমা করুন এবং জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা করুন। (সুরা মু'মিন ৪০:৭)

(২১) রাব্বানা ওয়া আদখিলহুম জান্নাতি অ্বাদনিল্লাতি ওয়া অ্বাত্তাহুম মান সালাহা মিন আ বা ইহিম ওয়া আজওয়াজিহিম ওয়া জুর্-রিই ইয়াতিহিম; ইন্নাকা আনতাল অ্বাজিজুল হাকিম
رَبَّنا وَأَدخِلهُم جَنّاتِ عَدنٍ الَّتي وَعَدتَهُم وَمَن صَلَحَ مِن آبائِهِم وَأَزواجِهِم وَذُرِّيّاتِهِم إِنَّكَ أَنتَ العَزيزُ الحَكيمُ
অর্থ: হে আমাদের পালনকর্তা, আর তাদেরকে দাখিল করুন চিরকাল বসবাসের জান্নাতে, যার ওয়াদা আপনি তাদেরকে দিয়েছেন এবং তাদের বাপ-দাদা, পতি-পত্নী ও সন্তানদের মধ্যে যারা সৎকর্ম করে তাদেরকে। নিশ্চয় আপনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। (সুরা মু'মিন ৪০:৮)

(২২) রাব্বানাকশিফ অ্বান্নাল অ্বাজাবা ইন্না মুঅ্বমিনুন
رَبَّنَا اكشِف عَنَّا العَذابَ إِنّا مُؤمِنونَ
অর্থ: হে আমাদের পালনকর্তা আমাদের উপর থেকে শাস্তি প্রত্যাহার করুন, আমরা বিশ্বাস স্থাপন করছি। (সুরা দুখান ৪৪:১২)

(২৩) রাব্বানাগ্ব ফিরলানা ওয়ালি ইখওয়ানিনাল লাজিনা সাবাক্বুনা বিল ঈমানি ওয়ালা তাজঅ্বাল ফি ক্বুলুবিনা গিল্লাল লিল্লাজিনা আমানু; রাব্বানা ইন্নাকা রাউফুর রাহিম
رَبَّنَا اغفِر لَنا وَلِإِخوانِنَا الَّذينَ سَبَقونا بِالإيمانِ وَلا تَجعَل في قُلوبِنا غِلًّا لِلَّذينَ آمَنوا رَبَّنا إِنَّكَ رَءوفٌ رَحيمٌ
অর্থ: হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদেরকে এবং ঈমানে আগ্রহী আমাদের ভ্রাতাগণকে ক্ষমা কর এবং ঈমানদারদের বিরুদ্ধে আমাদের অন্তরে কোন বিদ্বেষ রেখো না। হে আমাদের পালনকর্তা, আপনি দয়ালু, পরম করুণাময়। (সুরা হাশরি ৫৯:১০)

(২৪) রাব্বানা অ্বালাইকা তাওয়াক্কালনা ওয়া ইলাইকা আনাবনা ওয়া ইলাইকাল মাছির
رَبَّنا عَلَيكَ تَوَكَّلنا وَإِلَيكَ أَنَبنا وَإِلَيكَ المَصيرُ
অর্থ: হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা তোমারই উপর ভরসা করেছি, তোমারই দিকে মুখ করেছি এবং তোমারই নিকট আমাদের প্রত্যাবর্তন। (সুরা মুমতাহিনাহ ৬০:৪)

(২৫) রাব্বানা আতমিম লানা নুরানা ওয়াগ্বফিরলানা, ইন্নাকা অ্বালা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদির
رَبَّنا أَتمِم لَنا نورَنا وَاغفِر لَنا إِنَّكَ عَلى كُلِّ شَيءٍ قَديرٌ
অর্থ: হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের নূরকে পূর্ণ করে দিন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন। নিশ্চয় আপনি সবকিছুর উপর সর্ব শক্তিমান। (সুরা তাহরীম ৬৬:৮)

এছাড়াও প্রার্থনার আরও অনেক দু'আ আছে। মাতৃভাষায় আল্লাহর কাছে চাওয়ার পাশাপাশি চলুন না কোরআনের ভাষায় আল্লাহর কাছে চাই।
رَ-بَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا إِنَّكَ أَنتَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
রাব্বানা তাকাব্বাল মিন্না ইন্নাকা আনতাস সামিউল আলীম
পরওয়ারদেগার! আমাদের থেকে কবুল কর। নিশ্চয়ই তুমি শ্রবণকারী, সর্বজ্ঞ।

কৃতজ্ঞতায়: Inshaschool
 
আজকের আয়াত/হাদীস



উম্মে হাবীবা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেন যে,

“কোন মুসলিম যখন আল্লাহ্-র জন্য প্রতিদিন ফরয নামাযগুলো ছাড়াও আরো বার রাকআ’ত সুন্নত নামায পড়ে, আল্লাহ্ তার জন্য জান্নাতের একটি ঘর তৈরী করেন।” (মুসলিম)

*সুন্নত নামায হলো বার রাকআ’ত যোহরের পূর্বে চার রাকআ’ত ও পরে দু’রাকআ’ত, মাগরিবের পরে দু’রাকআ’ত, ইশার পর দু’রাকআত এবং ফজরের পূর্বে দু’রাকআত।

Copied from Muslims Day Android App
Download Link: https://play.google.com/store/apps/details?id=theoaktroop.appoframadan
 

Similar Threads

Back
Top