কুরবানী

Muslim Woman

Super Moderator
Messages
12,286
Reaction score
1,449
Gender
Female
Religion
Islam
আস সালামু আলাইকুম।

এবছর কোভিড-১৯ এর জন্য যে বেকারত্ব, আয় আর কাজের স্বল্পতা তৈরি হয়েছে তাতে উদহিয়া দেবার সামর্থ্য আর সুযোগ দুটোই যে বহু সংখ্যক মানুষ হারিয়ে ফেলেছেন তা খুব সহজেই অনুমেয়।

খুব নির্মম একটা সময় আমরা পার করছি। ২০১১ থেকে ২০১৯ এর মধ্যে গোস্তের দাম বেড়েছে ১০০% এরও বেশি। এখন সর্বনিম্ন গরুর দাম ৫৮০ টাকা/কেজি।

খাসীর গোস্ত তো স্বপ্ন - ৮০০ টাকা/কেজি।

সূদূর নীলফামারির যে ছেলেটা প্রতিবছর তার পুরো দুপুরটা চুলার পাশে এক টুকরো গোস্তের ঘ্রাণে কাটিয়ে দিতো, এ বছর তার পাতে কি জুটবে আল্লাহ সুবহানাহুতায়ালাই জানেন কেবল।

এমন বহু মানুষ আমরা দেখেছি যারা তাদের পুরো বছরটা কবে ঈদ আসবে, আর সাদা ভাত দিয়ে টুকরো টুকরো গরুর গোস্ত খেতে পাব সেই প্রতিক্ষায় কেটে যায় !
সরোবর প্রতিবছরের মত এবারও উদহিয়া প্রজেক্ট করতে যাচ্ছে ইন শা আল্লাহ। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে গরু ও ছাগল কুরবানী দেয়া এবং সে গোস্তগুলো দেশের ২৪ টি দারিদ্র্য-পীড়িত জেলায় গরীব মানুষের মাঝে বিতরন করা।

জেলাগুলো হলো - চাঁপাইনবাবগঞ্জ, দিনাজপুর, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, নীলফামারি, রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, জামালপুর, ঈশ্বরদি, রাজশাহী, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, খুলনা, বাগেরহাট, নেত্রকোণা, খাগড়াছড়ি রাঙামাটি, সিলেট, কক্সবাজার, কুমিল্লা, এবং গাজীপুর।

কেন আমরা এ কাজটি করছি?

প্রথমত উদহিয়া বা কুরবানি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত।
فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْ
“সুতরাং তোমার রবের কাছেই প্রার্থনা কর ও কুরবানী দাও (একমাত্র তার জন্যেই)।” [১০৮ঃ২]
দ্বিতীয়ত, কুরবানী না দেয়াটা খুবই অপছন্দনীয়।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
যে-ই নামাজের পর কুরবানী করল, সে তার ইবাদত পূর্ণ করল (ঈদের দিনে) এবং মুসলিমদের অনুসরণ করল। (বুখারী - ৫৫৪৫)
কোভিড- ১৯ এর কারণে অনেকের জন্যই এবার হাট থেকে গরু কিনে, কসাই ম্যানেজ করে উদহিয়ার পুরো প্রক্রিয়াটা সম্পন্ন করা খুব কঠিন আর ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাবে। তাদের জন্য একটা সহজ সমাধান দিতে পারা।
তৃতীয়ত, যদিও ভিক্ষুকেরা গোস্ত পাবার উপযুক্ত, তবু আমরা চাই পেশাদার ভিক্ষাটা বন্ধ হোক, কেননা এতে করে দেখা যায় সংগৃহীত গোস্ত তারা আবার বাজারে এনে বিক্রি করছে।

পক্ষান্তরে অনেক গ্রামের দিকে বা মানুষের কাছে মুখ ফুটে বলতে না পারা ঘরগুলো ঈদের দিন থেকে যায় গোস্তবিহীন।

আমরা চাই আল্লাহর নাম স্মরণ করে সবাই নিজ হাতে পশু কুরবানী দিয়ে এর গোস্ত গরিবদের মাঝে বিলিয়ে দিক।

কিন্তু যদি এমন কেউ থাকেন পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে তিনি নিজ হাতে উদহিয়া দিতে পারছেন না, কিংবা যারা অভাবে আছে তাদের গোস্ত বিলিয়ে দিতে পারছেন না, আমরা চাই তিনিও আমাদের সাথে থাকুন, কেবল আর্থিকভাবে হলেও।

গরুর একটি ভাগের দাম আমরা রাখছি ৭,৫০০ টাকা এবং একটি ছাগল / ভেড়ার দাম পড়বে ৮,৫০০ টাকা। যারা আমাদের সাথে যোগ দিতে চান, আমাদের ওয়েব সাইট থেকে সরাসরি কেনা যাবে। এই প্রজেক্টের মাধ্যমে যে গোস্ত পাওয়া যাবে তার পুরোটাই আমরা প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র মানুষদের বিলিয়ে দেব।

তাই ভাগে অংশীদার হলেও সেই গোস্ত কারও হাতে বা হোম ডেলিভারি পৌঁছানো সম্ভব হবে না।

বিতরণের জন্য গরুর ভাগ বা ছাগল কেনার লিঙ্ক।
কোন জিজ্ঞাসা থাকলে যোগাযোগ করুন [email protected] বা [email protected] এই মেইলে।
অথবা হোয়াটস অ্যাপে মেসেজ করতে পারেন 01861005555 কিংবা 01750180055 নম্বরে।
আল্লাহ আমাদের কে কেবল তার জন্যেই কুরবানী করার তাওফিক দান করুন।



বি. দ্র. বাচ্চারা ছবি তুললে খুশি হয়। এই বাচ্চাটা মাংস পেয়ে খুশি, ছবি তুলতে পেরেও। গত বছরে কুরবানির মাংস বিতরণের সময়কার দৃশ্য।
বাবুটাকে দেখে আদর লাগলে দয়া করা বারাকাল্লাহু ফিক বলতে ভুলবেন না।
--

Sharif Abu Hayat Opu
 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার দুর্ভিক্ষের সময় তিন দিনের বেশি কোরবানির মাংস খেতে মানা করেছিলেন।

তখন কুরবানী দাতারা নিজেদের ভাগের মাংস জমা না করে বিলিয়ে দেন । এভাবে বহু অভাবী মানুষ ক্ষুধার যন্ত্রণা থেকে রক্ষা পান।

করোনা আর বন্যার এই ভয়াবহ দুঃসময়ে আমরা যদি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ঐ আদেশ
মানি , মানুষের কষ্ট ইন শা আল্লাহ কিছুটা হলেও কমবে।

যারা কোরবানি দেন , তাদের এই সামর্থ আছে যে বাজার থেকে সারা বছর মাংস কিনে নিজে খাবেন , প্রিয়জনদের খাওয়াবেন।

কোরবানির মাংস তিনদিনের বেশি না খেলে আপনার বা আপনার প্রিয়জনের তেমন কোন কষ্ট হবে না ; অথচ হাসি ফুটবে হাজারো মুখে।

হয়তো এই উসিলায় আল্লাহ আমাদের কোরবানি কবুল করে আযাব সরিয়ে নিবেন।

تَقَبَّلَ اللهُ مِنَّا وَ مِنْكُم
"তাক্বাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম"

অর্থঃ

আল্লাহ আমাদের এবং আপনাদের সৎকর্মগুলো কবুল করুন।

ঈদ মোবারক
 

Similar Threads

Back
Top