Muslim Woman
Super Moderator
- Messages
- 12,286
- Reaction score
- 1,449
- Gender
- Female
- Religion
- Islam
মনের খারাপের দিনেও, মধ্যপ্রাচ্যে ভারতে মুসলিম নিধনের বিরুদ্ধে যে জনমত গড়ে উঠছে, সেটা অত্যন্ত আনন্দ এবং ভালো লাগার।
বিজেপির এক এমপির আরব নারীদের নিয়ে খুব বাজেভাবে করা টুইটারের প্রতিবাদে সরব মধ্যপ্রাচ্যের সোশ্যাল একটিভিস্টরা।
এমনকি, আরব দেশগুলোর সরকার পর্যায় থেকেও এই ইস্যুতে বয়ান এসেছে।
জানা গেছে, খোদ আমিরাতেই নাকি ইতোমধ্যে চাকরি গেছে তিনশো'র মতোন ভারতীয় নাগরিকের।
তারা বলছে, ভারত সরকার যদি ভারতের মুসলমানদের ওপর অত্যাচার বন্ধ না করে, তাহলে গোটা মধ্যপ্রাচ্য তথা মুসলিম বিশ্ব ভারতের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে বাধ্য হবে। একযোগে ভারতীয় পণ্য বর্জন সহ, মধ্যপ্রাচ্যে কাজ করা লাখ লাখ ভারতীয় নাগরিকদের চাকরিচ্যুত করে দেশে ফেরত পাঠাবার হুমকিও উঠে আসছে।
এরই প্রতিক্রিয়া ইতোমধ্যে ভারত থেকে আসা শুরু করেছে। যে বিজেপি এমপি আরব নারীদের নিয়ে ওই টুইট করেছিলো, ভয়ে সেটা এখন ডিলেট করে ফেলেছে।
নরেন্দ্র মোদীর সুরও নরম নরম শোনা যাচ্ছে। কোভিড-১৯ ইস্যুতে মুসলমানদের দুষে যাওয়া মোদী গতকাল টুইটে বলেছে- 'করোনা ভাইরাস জাত-পাত চিনে না। ধর্ম চিনে না। বর্ডার মানে না'। বুঝেন অবস্থা!
বেশ কয়েকবছর আগে, ভারতীয় গায়ক সনু নিগম আযান নিয়ে বেশ আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলো টুইটারে। সেটা নিয়ে তখন ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছিলো।
মজার ব্যাপার হলো, সেই সনু নিগম করোনা ভাইরাসের কারণে আটকা পড়েছে দুবাইতে। এদিকে, মধ্যপ্রাচ্যের কিউট এক্টিভিস্টরা সনু নিগমের ওই টুইটকে নতুন করে সামনে নিয়ে এসেছে, এবং দুবাইয়ের সরকার প্রধানদের টুইটারে ট্যাগ করে সনু নিগমের এই মন্তব্য দেখতে বলছে এবং বর্তমানে দুবাইতে থাকা সনু নিগমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলছে। ভয়ে বেচারা সনু নিগম নিজের টুইটার একাউন্ট ডিএক্টিভেট করে বসে আছে।
মুসলমানদের ওপর হওয়া ভারত সরকারের নির্যাতনগুলো নিয়ে এতোদিন পরে বেশ সরব মধ্যপ্রাচ্য। তারা ইচ্ছে করলে ভারতকে রাতারাতি শিক্ষা দিতে পারে।
এটা তাদের জন্য খুব সহজ, কারণ ভারতের রেমিটেন্সের বিশাল বড় একটা অংশ আসে এই মধ্যপ্রাচ্য থেকে। লাখ লাখ ভারতীয় মধ্যপ্রাচ্যে কাজ করে। এর বাইরে, মধ্যপ্রাচ্য ভারতের সবচেয়ে বড় ব্যবসার জায়গা।
ভারতীয় পণ্যের বিশাল বড় মার্কেট এখানে৷ তাই, মধ্যপ্রাচ্যের সরকারি পর্যায়ের এই তৎপরতা অব্যাহত থাকলে মোদি-অমিত শাহের দম্ভকে নাকানিচুবানি খেতে দেখাটা জমে উঠবে ইন শা আল্লাহ।
নতুন দিনের অপেক্ষায়...
(আরিফ আজাদ)
বিজেপির এক এমপির আরব নারীদের নিয়ে খুব বাজেভাবে করা টুইটারের প্রতিবাদে সরব মধ্যপ্রাচ্যের সোশ্যাল একটিভিস্টরা।
এমনকি, আরব দেশগুলোর সরকার পর্যায় থেকেও এই ইস্যুতে বয়ান এসেছে।
জানা গেছে, খোদ আমিরাতেই নাকি ইতোমধ্যে চাকরি গেছে তিনশো'র মতোন ভারতীয় নাগরিকের।
তারা বলছে, ভারত সরকার যদি ভারতের মুসলমানদের ওপর অত্যাচার বন্ধ না করে, তাহলে গোটা মধ্যপ্রাচ্য তথা মুসলিম বিশ্ব ভারতের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে বাধ্য হবে। একযোগে ভারতীয় পণ্য বর্জন সহ, মধ্যপ্রাচ্যে কাজ করা লাখ লাখ ভারতীয় নাগরিকদের চাকরিচ্যুত করে দেশে ফেরত পাঠাবার হুমকিও উঠে আসছে।
এরই প্রতিক্রিয়া ইতোমধ্যে ভারত থেকে আসা শুরু করেছে। যে বিজেপি এমপি আরব নারীদের নিয়ে ওই টুইট করেছিলো, ভয়ে সেটা এখন ডিলেট করে ফেলেছে।
নরেন্দ্র মোদীর সুরও নরম নরম শোনা যাচ্ছে। কোভিড-১৯ ইস্যুতে মুসলমানদের দুষে যাওয়া মোদী গতকাল টুইটে বলেছে- 'করোনা ভাইরাস জাত-পাত চিনে না। ধর্ম চিনে না। বর্ডার মানে না'। বুঝেন অবস্থা!
বেশ কয়েকবছর আগে, ভারতীয় গায়ক সনু নিগম আযান নিয়ে বেশ আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলো টুইটারে। সেটা নিয়ে তখন ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছিলো।
মজার ব্যাপার হলো, সেই সনু নিগম করোনা ভাইরাসের কারণে আটকা পড়েছে দুবাইতে। এদিকে, মধ্যপ্রাচ্যের কিউট এক্টিভিস্টরা সনু নিগমের ওই টুইটকে নতুন করে সামনে নিয়ে এসেছে, এবং দুবাইয়ের সরকার প্রধানদের টুইটারে ট্যাগ করে সনু নিগমের এই মন্তব্য দেখতে বলছে এবং বর্তমানে দুবাইতে থাকা সনু নিগমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলছে। ভয়ে বেচারা সনু নিগম নিজের টুইটার একাউন্ট ডিএক্টিভেট করে বসে আছে।
মুসলমানদের ওপর হওয়া ভারত সরকারের নির্যাতনগুলো নিয়ে এতোদিন পরে বেশ সরব মধ্যপ্রাচ্য। তারা ইচ্ছে করলে ভারতকে রাতারাতি শিক্ষা দিতে পারে।
এটা তাদের জন্য খুব সহজ, কারণ ভারতের রেমিটেন্সের বিশাল বড় একটা অংশ আসে এই মধ্যপ্রাচ্য থেকে। লাখ লাখ ভারতীয় মধ্যপ্রাচ্যে কাজ করে। এর বাইরে, মধ্যপ্রাচ্য ভারতের সবচেয়ে বড় ব্যবসার জায়গা।
ভারতীয় পণ্যের বিশাল বড় মার্কেট এখানে৷ তাই, মধ্যপ্রাচ্যের সরকারি পর্যায়ের এই তৎপরতা অব্যাহত থাকলে মোদি-অমিত শাহের দম্ভকে নাকানিচুবানি খেতে দেখাটা জমে উঠবে ইন শা আল্লাহ।
নতুন দিনের অপেক্ষায়...
(আরিফ আজাদ)