Muslim Woman
Super Moderator
- Messages
- 12,286
- Reaction score
- 1,449
- Gender
- Female
- Religion
- Islam
[২০০৪ এ ডেনমার্কে যখন রাসূলুল্লাহ ﷺ এর অবমাননা করা হয় তখন বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ হয়।
অনেক দেশে ড্যানিশ দূতাবাস ঘেরাও করা হয়।
ড্যানিশ পণ্য বর্জনের আহবান করা হয়। প্রথমে একগুয়েমি করলেও ডেনমার্কের সরকার একসময় দুঃখপ্রকাশ করতে বাধ্য হয়। ড্যানিশ প্রধানমন্ত্রী বলতে বাধ্য হয়, এই ঘটনা ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ডেনমার্কের জন্য সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক সংকট।
২০১২ তে অ্যামেরিকাতে ইসলামবিদ্বেষী শর্ট ফিল্মে রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর অবমাননার পর সারা বিশ্বে বিক্ষোভ হয়।
এটা ছিল ৯/১১ এর পরের যুগে অ্যামেরিকার সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক সংকটের অন্যতম। প্রথমে বাকস্বাধীনতার গালগপ্প করলেও বিক্ষোভের মুখে অ্যামেরিকাও পিছু হটতে বাধ্য হয়।
.
ফ্রান্স এখন যা করছে তা আগের সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে। আগের ঘটনাগুলো ছিল কিছু লোকের ব্যক্তিগত কাজকর্ম। কিন্তু ফ্রান্সে রাষ্ট্রযন্ত্র, সরকার এবং সাধারণ জনগণ সামষ্টিকভাবে রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর অবমাননায় সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছে। খোলা রাস্তায় প্রজেক্টর দিয়ে ব্যাঙ্গচিত্র দেখানো হচ্ছে। ফ্রেঞ্চ পুলিশ তথা সরকার সেখানে অস্ত্র হাতে নিরাপত্তা দিচ্ছে। ফ্রেঞ্চ প্রধানমন্ত্রী দম্ভভরে ঘোষণা দিচ্ছে তারা ‘কখনোই কার্টুন প্রদর্শন বন্ধ করবে না’। এরা বেইসিকালি সামষ্টিকভাবে ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।
.
বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ, পণ্য বর্জন – রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর অবমাননাকারীর উপযুক্ত শাস্তি না। তবে এগুলোর ইফেক্টিভনেস একেবারে উড়িয়ে দেয়া যায় না। ফ্রান্সের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া এবং প্রতিবাদ করা আজ সব মুসলিমদের দায়িত্ব। বিশেষ করে ইসলামী দল, সংগঠন, আন্দোলন, আলিম এবং দা’ঈদের জন্য। সবার উচিৎ নিজ নিজ পদ্ধতি অনুযায়ী এর প্রতিবাদ করা। স্পষ্টভাবে ফ্রান্স এবং পশ্চিমা বিশ্বের কাছে এ বার্তা দেয়া যে, মুসলিমরা এই অবমাননা সহ্য করবে না।
.
যদি আল্লাহ রাসূল এর অবমাননার প্রতিবাদে, তা প্রতিরোধে কিছু করা না যায়, তাহলে এতো ইসলামী দল, আন্দোল কিংবা সংগঠন থাকার কী ফায়দা? যদি প্র্যাগম্যাটিসমের দোহাই দিয়ে রাসূলুল্লাহ এর সম্মান রক্ষায় অবস্থান নেয়া না যায় তাহলে ঐ প্র্যাগম্যাটিসমের কী দাম? আর এমন ইসলামী রাজনীতি কিংবা আন্দোলন করার কী অর্থ? এতো সব দল, সংগঠন, বক্তা, লেখক, বই, সেলিব্রিটি থাকার কী অর্থ? ইন ফ্যাক্ট, যদি রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর অবমাননার জবাবে কিছু করা না যায়, তাহলে ঐ জীবনের কী মূল্য?
.
ফ্রান্স এবং পশ্চিমা কুফফারকে স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দেয়া দরকার যে আমাদের নবীর সম্মান হল এমন এক সীমা যার লঙ্ঘন আমরা মেনে নেবো না। রাসূলুল্লাহ ﷺ কে আক্রমন করা হলে এমন এক ঝড়ের জন্ম হেবে যে ঝড়ের ধূলো কখনো মিটবে না।
লিখেছেনঃ আসিফ আদনান]
এই লিখা পিক সহ কপি করে পোস্ট দিন।
শেয়ার করলে বেশি মানুষের কাছে পৌছাবে না।
অনেক দেশে ড্যানিশ দূতাবাস ঘেরাও করা হয়।
ড্যানিশ পণ্য বর্জনের আহবান করা হয়। প্রথমে একগুয়েমি করলেও ডেনমার্কের সরকার একসময় দুঃখপ্রকাশ করতে বাধ্য হয়। ড্যানিশ প্রধানমন্ত্রী বলতে বাধ্য হয়, এই ঘটনা ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ডেনমার্কের জন্য সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক সংকট।
২০১২ তে অ্যামেরিকাতে ইসলামবিদ্বেষী শর্ট ফিল্মে রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর অবমাননার পর সারা বিশ্বে বিক্ষোভ হয়।
এটা ছিল ৯/১১ এর পরের যুগে অ্যামেরিকার সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক সংকটের অন্যতম। প্রথমে বাকস্বাধীনতার গালগপ্প করলেও বিক্ষোভের মুখে অ্যামেরিকাও পিছু হটতে বাধ্য হয়।
.
ফ্রান্স এখন যা করছে তা আগের সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে। আগের ঘটনাগুলো ছিল কিছু লোকের ব্যক্তিগত কাজকর্ম। কিন্তু ফ্রান্সে রাষ্ট্রযন্ত্র, সরকার এবং সাধারণ জনগণ সামষ্টিকভাবে রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর অবমাননায় সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছে। খোলা রাস্তায় প্রজেক্টর দিয়ে ব্যাঙ্গচিত্র দেখানো হচ্ছে। ফ্রেঞ্চ পুলিশ তথা সরকার সেখানে অস্ত্র হাতে নিরাপত্তা দিচ্ছে। ফ্রেঞ্চ প্রধানমন্ত্রী দম্ভভরে ঘোষণা দিচ্ছে তারা ‘কখনোই কার্টুন প্রদর্শন বন্ধ করবে না’। এরা বেইসিকালি সামষ্টিকভাবে ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।
.
বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ, পণ্য বর্জন – রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর অবমাননাকারীর উপযুক্ত শাস্তি না। তবে এগুলোর ইফেক্টিভনেস একেবারে উড়িয়ে দেয়া যায় না। ফ্রান্সের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া এবং প্রতিবাদ করা আজ সব মুসলিমদের দায়িত্ব। বিশেষ করে ইসলামী দল, সংগঠন, আন্দোলন, আলিম এবং দা’ঈদের জন্য। সবার উচিৎ নিজ নিজ পদ্ধতি অনুযায়ী এর প্রতিবাদ করা। স্পষ্টভাবে ফ্রান্স এবং পশ্চিমা বিশ্বের কাছে এ বার্তা দেয়া যে, মুসলিমরা এই অবমাননা সহ্য করবে না।
.
যদি আল্লাহ রাসূল এর অবমাননার প্রতিবাদে, তা প্রতিরোধে কিছু করা না যায়, তাহলে এতো ইসলামী দল, আন্দোল কিংবা সংগঠন থাকার কী ফায়দা? যদি প্র্যাগম্যাটিসমের দোহাই দিয়ে রাসূলুল্লাহ এর সম্মান রক্ষায় অবস্থান নেয়া না যায় তাহলে ঐ প্র্যাগম্যাটিসমের কী দাম? আর এমন ইসলামী রাজনীতি কিংবা আন্দোলন করার কী অর্থ? এতো সব দল, সংগঠন, বক্তা, লেখক, বই, সেলিব্রিটি থাকার কী অর্থ? ইন ফ্যাক্ট, যদি রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর অবমাননার জবাবে কিছু করা না যায়, তাহলে ঐ জীবনের কী মূল্য?
.
ফ্রান্স এবং পশ্চিমা কুফফারকে স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দেয়া দরকার যে আমাদের নবীর সম্মান হল এমন এক সীমা যার লঙ্ঘন আমরা মেনে নেবো না। রাসূলুল্লাহ ﷺ কে আক্রমন করা হলে এমন এক ঝড়ের জন্ম হেবে যে ঝড়ের ধূলো কখনো মিটবে না।
লিখেছেনঃ আসিফ আদনান]
এই লিখা পিক সহ কপি করে পোস্ট দিন।
শেয়ার করলে বেশি মানুষের কাছে পৌছাবে না।